ফোডেন-ডোকুর গোলে সহজ জয়, বিশ্বকাপের অভিযান শুরুতেই দাপুটে সিটি

ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে ২০২৫ (FIFA Club World Cup 2025) গ্রুপ ‘জি’র প্রথম ম্যাচে মরোক্কোর ক্লাব উইদাদ কাসাব্লাঙ্কার (Wydad AC) বিরুদ্ধে ২-০ গোলের সহজ জয় তুলে…

Manchester City win 2-0 against of Wydad AC FIFA Club World Cup 2025

ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে ২০২৫ (FIFA Club World Cup 2025) গ্রুপ ‘জি’র প্রথম ম্যাচে মরোক্কোর ক্লাব উইদাদ কাসাব্লাঙ্কার (Wydad AC) বিরুদ্ধে ২-০ গোলের সহজ জয় তুলে নিল ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার সিটি (Manchester City)। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ায় অবস্থিত লিঙ্কন ফাইনান্সিয়াল ফিল্ডে। ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে সিটির। মাত্র দুই মিনিটেই ফিল ফোডেনের গোলে এগিয়ে যায় পেপ গুয়ার্দিওলার দল।

তবে স্কোরলাইন যতটা সহজ মনে হয়, ম্যাচটি মোটেও ততটা সহজ ছিল না। মরোক্কোর ক্লাব উইদাদ বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ তৈরি করলেও তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়। প্রথমার্ধের শেষদিকে বেলজিয়ান উইঙ্গার জেরেমি ডোকুর দুর্দান্ত হেড থেকে আসে দ্বিতীয় গোলটি। এই গোলটি মূলত নিশ্চিত করে দেয় ম্যাচের ফলাফল। যদিও ম্যাচের শেষ দিকে সিটির একজন খেলোয়াড় লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন, তবুও ১০ জন নিয়েই তারা সহজেই জয় ধরে রাখতে সক্ষম হয়।

   

ফোডেনের পারফরম্যান্স ও মন্তব্য’
ম্যাচ শেষে ফিল ফোডেন বলেন, “তাপমাত্রা ছিল বেশ চ্যালেঞ্জিং, আমরা সাধারণত এইরকম আবহাওয়ায় খেলি না। উইদাদ কন্ট্রা-অ্যাটাকে ভালো খেলেছে। এই টুর্নামেন্ট আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ, এবং সবারই শার্পনেস ফিরে পাওয়া জরুরি, বিশেষ করে রড্রির মতো খেলোয়াড়দের জন্য।” ফোডেনের এই বক্তব্য থেকেই বোঝা যায়, ক্লাব বিশ্বকাপে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার জন্য কতটা আগ্রহী ম্যানচেস্টার সিটির খেলোয়াড়রা।

নতুনদের পারফরম্যান্স: রেইজ্যান্ডার্স ও চেরকি
এই ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটির দুই নতুন সাইনিং প্রথমবারের মতো মূল একাদশে জায়গা পান। তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ছিলেন ডাচ মিডফিল্ডার তিয়ান রেইজ্যান্ডার্স, যিনি এসি মিলান থেকে যোগ দিয়েছেন ক্লাবে। তাঁর পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতো। বল দখল, পাসিং ও মধ্যমাঠ নিয়ন্ত্রণে অসাধারণ দক্ষতা দেখান তিনি।

Advertisements

অন্যদিকে, ফরাসি তরুণ রায়ান চেরকির জন্য এটি ছিল কিছুটা হতাশাজনক অভিষেক। মাঝমাঠে জায়গার অভাবে নিজেকে প্রমাণ করার বেশি সুযোগ পাননি তিনি। মাঝে মাঝে তাঁর স্কিলে ঝলক দেখা গেলেও, ম্যাচের গতি পরিবর্তনে তেমন ভূমিকা রাখতে পারেননি।

এদিনের জয় সিটিকে গ্রুপ ‘জি’র শীর্ষে নিয়ে গেছে এবং পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার পথ সহজ করেছে। যদিও গুয়ার্দিওলার দল জানে, প্রতিযোগিতা যত এগোবে, চ্যালেঞ্জ ততই বাড়বে। ফিটনেস ও কৌশলগত দিক থেকে নিজেদের আরও উন্নত করতে হবে তাদের।

একাধিক টুর্নামেন্টে হতাশাজনক ফলাফলের পর, ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের শুরুটা দারুণ করল ম্যানচেস্টার সিটি। এই পারফরম্যান্স যদি ধরে রাখতে পারে, তবে এই টুর্নামেন্টে তাদের থামানো কঠিনই হবে। বিশ্বমঞ্চে আবারো নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে মরিয়া তারা।