দক্ষিণ আফ্ৰিকা নয়, ব্রাজিলে ফুটবল খেলেছেন মহাত্মা গান্ধী!

মহাত্মা গান্ধী (Mahatma Gandhi) নাম শুনলেই সবার প্রথমে যে ব্যক্তির কথা মনে আসে, তিনি হলেন ভারতের জাতির জনক (India Father of the Nation) মোহনদাস করমচাঁদ…

Mahatma Gandhi is Brazilian Footballer

মহাত্মা গান্ধী (Mahatma Gandhi) নাম শুনলেই সবার প্রথমে যে ব্যক্তির কথা মনে আসে, তিনি হলেন ভারতের জাতির জনক (India Father of the Nation) মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী (Mohandas Karamchand Gandhi)। তবে আজকের এই গল্পে মহাত্মা গান্ধী অন্য এক ব্যক্তি। যিনি একজন ফুটবলার এবং তিনি ভারতের নয়, বরং ব্রাজিলের নাগরিক। এ যেন এক অবাক কাণ্ড ব্রাজিলের একজন ফুটবল খেলোয়াড়ের নাম মহাত্মা গান্ধী হেবেরপিও মাতেও পিরেস (Heberpio Mattos Pires)।

এই ফুটবলারের পুরো নাম হেবেরপিও মাতেও পিরেস, কিন্তু তিনি বিশ্ববিখ্যাত হয়েছেন মহাত্মা গান্ধী নাম নিয়ে। ৩২ বছর বয়সী এই ব্রাজিলীয় ফুটবলার তার কেরিয়ার এবং নামের জন্য দারুণ পরিচিত। মূলত তাঁর নামের কারণে তিনি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। ব্রাজিলের ফুটবল জগতের অন্যতম পরিচিত মুখ হলেও তাঁর খ্যাতির বিশেষ কারণ হল, মহাত্মা গান্ধী নামটি।

   

এটি এক ধরনের সম্মানজনক পদবি, যা তার বাবা-মায়ের দেওয়া। তারা মহাত্মা গান্ধীর আদর্শ অনুসরণ করে নিজেদের সন্তানকে এই নাম দেন। ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের অমর নায়ক মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই পিরেসের বাবা-মা তাদের সন্তানের নামের সঙ্গে এই মহাত্মা উপাধি যোগ করেছিলেন। তবে এই “মহাত্মা গান্ধী” শুধুমাত্র শান্তির প্রতীক নন, বরং তিনি একজন আক্রমণাত্মক এবং দক্ষ ফুটবলার।

হেবেরপিও মাতেও পিরেস ২০১১ সালে ব্রাজিলের আতলেতিকো গোয়ইনেস ক্লাবের মাধ্যমে পেশাদার ফুটবল কেরিয়ার শুরু করেন। এরপর তিনি ত্রিনডাডে এবং ইপোরার মতো ক্লাবেও খেলেছেন। ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে তার খেলার ধরন ছিল প্রশংসনীয়। পাশাপাশি, মাঝেমধ্যে তিনি লেফট ব্যাক এবং সেন্ট্রাল মিডফিল্ডারের ভূমিকাও পালন করেছেন। তার ফুটবল কেরিয়ারে অনেকগুলো উল্লেখযোগ্য মুহূর্ত ছিল, তবে ২০১৭ সালে তিনি ফুটবল থেকে অবসর নেন।

আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় তার উপস্থিতি তেমন চোখে পড়ে না, কারণ তার কোনও ব্যক্তিগত সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টও নেই। তবে তার নামটা এখনও ফুটবলপ্রেমীদের মনে উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে, বিশেষত তার নামের সঙ্গে যুক্ত মহাত্মা গান্ধীর মহত্ত্ব।

মহাত্মা গান্ধী হেবেরপিও মাতেও পিরেসের জীবন এক চমৎকার উদাহরণ, যেখানে ফুটবল এবং ইতিহাসের মিশেল ঘটেছে। এর মধ্যে শান্তির আদর্শের সঙ্গে খেলার মাঠে আক্রমণাত্মক ফুটবল—একটি অদ্ভুত মিল, যা দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।