গত ম্যাচে নিজেদের ঘরের মাঠে শক্তিশালী ওডিশা এফসির মুখোমুখি হয়েছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। শেষ তিনটি ম্যাচের মত এই ম্যাচে ও জয় পাওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি। বিশেষ করে দলের ভরসাযোগ্য ফুটবলার মাদিহ তালাল চোট পেয়ে মাঠ ছাড়ার পর থেকেই ক্রমশ দুর্বল হতে থাকে লাল-হলুদের মাঝমাঠ। পরিবর্ত হিসেবে নন্দকুমার সেকারকে মাঠে আনেন লাল-হলুদ কোচ অস্কার ব্রুজন। যারফলে বজায় থাকে দলের ছন্দ। কিন্তু সেটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।
Also Read | বাগান প্রসঙ্গে ‘বিস্ফোরক’ মোহনত্যাগী হুগো বুমোস? জানুন
প্রথমার্ধের শেষ লগ্নেই জোড়া হলুদ কার্ড তথা লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় ভারতীয় তারকা জিকসন সিংকে। তাঁর অনুপস্থিতি অনেকটাই ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছিল কলকাতা ময়দানের এই প্রধান দলকে। তবুও সুযোগ বুঝে আক্রমণ করতে ছাড়েনি ইস্টবেঙ্গল। একটা সময় সার্জিও লোবেরার ওডিশা এফসির বিপক্ষে এগিয়ে গেলেও সেটা ধরে রাখা সম্ভব হয়নি অস্কার ব্রুজনের ছেলেদের। বরং এক গোলের ব্যবধানে ম্যাচ হেরে যুবভারতী ছাড়তে হয় গতবারের সুপার কাপ জয়ীদের।
Also Read | ইস্টবেঙ্গল আর্কাইভ প্রদর্শনী শুরু, কোথায় এবং চলবে কত দিন?
দল পরাজিত হলেও খেলোয়ারদের পারফরম্যান্স সহজেই মন জয় করে নেয় লাল-হলুদ সমর্থকদের। বর্তমানে ওডিশা ম্যাচের হতাশা ভুলে আসন্ন ম্যাচে পাঞ্জাব এফসির বিপক্ষে জয় নিশ্চিত করাই প্রধান লক্ষ্য ক্লেটনদের। কিন্তু এক্ষেত্রে সকলকে চিন্তায় রাখছে খেলোয়াড়দের চোট সমস্যা। বলাবাহুল্য, গত চেন্নাই ম্যাচ খেলতে গিয়ে চোটের কবলে পড়তে হয় স্প্যানিশ তারকা সাউল ক্রেসপোকে। এছাড়াও সেই ম্যাচেই চোটের জন্য মাঠ ছাড়তে হয়েছিল গ্ৰীক ফরোয়ার্ড দিমিত্রিওস ডায়মান্তাকসকে।
Also Read | East Bengal: সাউল-দিমির চোট সম্পর্কে কী বললেন বিভাস আগরওয়াল? জানুন
তাঁদের অনুপস্থিতি যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছিল ওডিশা ম্যাচে। বর্তমানে যা পরিস্থিতি তাঁতে আগামী কয়েকটি ম্যাচে হয়তো সাউল ক্রেসপো এবং মাদিহ তালালকে মাঠে পাবেন না লাল-হলুদ কোচ। যা নিঃসন্দেহে বড়সড় ধাক্কা মশাল ব্রিগেডের কাছে। তবে দিমিত্রিওস ডায়মান্তাকসের চোট থাকলেও ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন এই তারকা। যারফলে সব ঠিকঠাক থাকলে আসন্ন পাঞ্জাব ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধে তাঁকে মাঠে নামতে পারেন অস্কার। যা কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে গোটা দলকে।