চলতি ডুরান্ড কাপে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী ছন্দেই যাত্রা শুরু করেছে মোহনবাগান (Mohun Bagan) সুপার জায়ান্ট। প্রথম দুই ম্যাচেই প্রতিপক্ষকে কার্যত সহজেই হারিয়ে নিজেদের শক্তির জানান দিয়েছে হোসে মোলিনার দল। প্রথমে মহামেডান স্পোর্টিং এবং তারপর বিএসএফ। দুই ম্যাচেই জয় এসেছে বড় ব্যবধানে। দুটি ম্যাচেই জোড়া গোল করেছেন লিস্টন কোলাসো (Liston Colaco)।
এবার সামনে আরও কঠিন চ্যালেঞ্জ। আগামী ৯ আগস্ট যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে কিবু ভিকুনার ডায়মন্ড হারবার এফসি মুখোমুখি হতে চলেছে মেরিনার্সরা। দু’দলই সমান পয়েন্টে রয়েছে, তবে গোল পার্থক্যে এগিয়ে রয়েছে ডায়মন্ড হারবার। ফলে এই ম্যাচ কার্যত ‘নকআউট’, জিতলেই কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার রাস্তা সহজে খুলে যাবে।
এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে মোহনবাগান কোচ হোসে মোলিনা জানিয়েছেন, “আমরা মোহনবাগান। আমাদের প্রতিটি ম্যাচ জিততেই হবে। দলে যারা রয়েছে, তাদের নিয়েই নামব। কোনও অজুহাত দেওয়ার জায়গা নেই।” তিনি আরও যোগ করেন, ডায়মন্ড হারবার শক্তিশালী দল, তবে তাঁর দলের খেলোয়াড়রা প্রস্তুত এবং আত্মবিশ্বাসী।
ডায়মন্ড ম্যাচে নেই বাগানের গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলাররা? জানালেন কোচ মোলিনা
গত দুই ম্যাচেই গোল করে নজর কেড়েছেন লিস্টন কোলাসো। ডায়মন্ড হারবারের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিকের লক্ষ্য নিয়ে নামবেন কি? প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “গোল করতে তো ভালই লাগে। তবে তার থেকেও জরুরি দলের জয়। ব্যক্তিগত সাফল্যের চেয়ে দলকে জয় এনে দেওয়াই আমার প্রথম লক্ষ্য। ডায়মন্ড ভাল দল, তাই আমাদের সেরাটা দিয়েই খেলতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “এই ধরনের ‘মাস্ট উইন’ ম্যাচ আমাদের বাড়তি অনুপ্রেরণা দেয়। আমরা জানি, এই ম্যাচটা জিততেই হবে, তাই আমরা মানসিক ও শারীরিকভাবে তৈরি।”
ব্যক্তিগত জীবনের অনুপ্রেরণার উৎস নিয়ে প্রশ্নে লিস্টন হাসিমুখে বলেন, “হ্যাঁ”। মাঠে তাঁর পারফরম্যান্সের পেছনে পারিবারিক সমর্থনের ভূমিকাও যে যথেষ্ট, তা স্পষ্ট করেই বোঝালেন তিনি। এই মরসুমে মোহনবাগানের লক্ষ্য শুধুমাত্র ডুরান্ড কাপ জেতা নয়, বরং এএফসি কাপেও ভালো পারফর্ম করা। এই প্রসঙ্গে লিস্টন বলেন, “এএফসি কাপ আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি ব্যক্তিগতভাবে নিজেকে আরও উন্নত করার সুযোগ দেখছি এই টুর্নামেন্টে। গত মরসুমের মতো এবারও আমরা ট্রফি জিততে চাই।”
প্রতিপক্ষ হিসেবে ডায়মন্ড হারবার এফসি সম্পর্কে লিস্টনের মূল্যায়ন যথেষ্ট বাস্তববাদী। তিনি বলেন, “আমি ওদের প্রথম ম্যাচটাই দেখেছি। খুব ভাল দল, দলে ভাল মানের বিদেশি খেলোয়াড় আছে। ওদের অভিজ্ঞতাও রয়েছে। আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং ম্যাচ হতে চলেছে। তবে আমরা তৈরি।”
৯ আগস্টের ম্যাচটা শুধুমাত্র কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার টিকিট নয়, বরং মোহনবাগানের ছন্দ বজায় রাখার বড় মঞ্চ। ডায়মন্ড হারবারের মতো প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে জিতে নিজেদের মানসিক দৃঢ়তা ও মাঠের পারফরম্যান্সের প্রমাণ দিতেই তৈরি লিস্টন-মোলিনারা। সমর্থকদের চোখ এখন যুবভারতীর সবুজ ঘাসে ইতিহাসের আরেকটি অধ্যায় লেখার অপেক্ষায় সবুজ-মেরুন শিবির।