আরও এক মহীরুহ পতন। চলে গেলেন সুভাষ ভৌমিক (Subhas Bhowmik)। শনিবার ভোররাত সাড়ে তিনটে নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ময়দানের আদরের ভোম্বলদা।
দীর্ঘদিন ধরেই ভুগছিলেন নানান শারীরিক সমস্যায়। ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে৷ চিকিৎসার জন্য উদ্যোগ নিয়েছিল বাংলার তিন প্রধান, আইএফএ। পাশে ছিলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরুপ বিশ্বাসও।
জানা গিয়েছিল, সংকটজন ছিল তাঁর শারীরিক অবস্থা। চার দিন হয়ে গিয়েছিল তিমি ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। দেওয়া হয়েছিল অক্সিজেন সাপোর্ট।
ইকবালপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল সুভাষ ভৌমিককে। বুধবার রাত পর্যন্ত ছিলেন বাইপ্যাপ সাপোর্টে। পরে রাখা হয়েছিল অক্সিজেনের সহায়তায়। এমনিতেও শারীরিক নানান সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। করা হয়েছিল বাইপাস সার্জারি। কিডনির অবস্থাও ভালো ছিল না। নিয়মিত করাতে হতো ডায়ালিসি। সেই সঙ্গে আক্রান্ত হয়েছিলেন করোনায়।
কোভিডের কারণে সঠিক সময়ে ডায়ালিসিস করানো হয়নি এবার। অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ময়দানের ‘ভোম্বলদা’। বাইপাসের ধারে একটি হাসপাতালে ডায়ালিস করাতে যেতেন তিনি। চিকিৎসার জন্যই খরচ হতো প্রচুর।
এক সময় ফুটবলার হিসেবে চষে বেড়িয়েছিলেন মাঠ-ময়দান। পরে কোচ হিসেবেও সাফল্য। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে জাতীয় লিগ জয়, আশিয়ান ট্রফি লেখা রয়েছে সোনার কালিতে।
কলকাতার বাইরেও সুভাষের সাফল্য ঈর্ষণীয়। চার্চিল ব্রাদার্সকেও এনে দিয়েছিলেন সেরার শিরোপা। বিতর্কেও জড়িয়েছেন মাঠের বাইরে। তবে আদ্যোপান্ত একজন ফুটবল অনুরাগী এবং বিশেষজ্ঞ হিসেবে সাধারণ মানুষ মনে রেখেছেন তাঁকে।