হেডিংলেতে দলের ভরাডুবি পর এই ক্রিকেটারকে খেলানোর কড়া বার্তা গাভাসকরের

হেডিংলেতে শুভমন-রাহুলদের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের পাঁচ উইকেটের জয় ভারতীয় ক্রিকেট দলের (Indian Cricket Team)জন্য যেন এক করুণ বাস্তবতা। বিশেষ করে অধিনায়ক শুভমন গিল এবং প্রধান কোচ…

Sunil Gavaskar advice to Indian Cricket Team recommended a key change

হেডিংলেতে শুভমন-রাহুলদের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের পাঁচ উইকেটের জয় ভারতীয় ক্রিকেট দলের (Indian Cricket Team)জন্য যেন এক করুণ বাস্তবতা। বিশেষ করে অধিনায়ক শুভমন গিল এবং প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরের জন্য। যদিও ভারতের তরফে ছিল পাঁচ শতরান , তবুও ৩৭১ রানের বিশাল লক্ষ্য পূরণ করতে সফল হয় ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডের ওপেনার বেন ডাকেটের ১৪৯ রানের বিস্ফোরক ইনিংস ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।

প্রথম চার দিন পর্যন্ত ভারত ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে ছিল, কিন্তু পঞ্চম দিনে এক নাটকীয় পরিবর্তন ঘটে। ইংল্যান্ড আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে রান তাড়া করে জয় ছিনিয়ে নেয়। এই হারের ফলে ভারতের দল নির্বাচন, ফিল্ডিং এবং বোলিং বিভাগ নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠে আসে।

   

প্রাক্তন কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান (Legendary Batter) সুনীল গাভাসকর (Sunil Gavaskar) এই হারের পর সোজাসাপ্টা মন্তব্য করেছেন। দ্বিতীয় টেস্টের আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছেন। তার মতে, কুলদীপ যাদবকে দ্বিতীয় টেস্টে দলে অন্তর্ভুক্ত করাই এখন সময়ের দাবি।

গাভাসকর বলেন, “জসপ্রীত বুমরাহ ফিট থাকুক বা না থাকুক, আমার মতে কুলদীপ যাদবকে অবশ্যই খেলানো উচিত। আমি মনে করি শার্দুল ঠাকুরের জায়গায় কুলদীপকে আনা উচিত, কারণ বার্মিংহামের পিচে লেগ স্পিনারদের একটু হলেও সাহায্য থাকবে।”

ভারতীয় দলে বর্তমানে বৈচিত্র্যের অভাব স্পষ্ট। শার্দুলের অলরাউন্ড ভূমিকা থাকা সত্ত্বেও তার বোলিং কার্যকর প্রমাণিত হয়নি। অন্যদিকে, কুলদীপ যাদবের লেগ স্পিন এবং উইকেট নেওয়ার ক্ষমতা প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের চাপে ফেলতে পারে।

গাভাসকর আরও বলেন, “দ্বিতীয় টেস্টে যদি ফল ইতিবাচক না হয়, তাহলে আমি কয়েকটি বড় পরিবর্তনের কথা ভাবব। হয়তো সেই সময় সাই সুদর্শন ও করুণ নায়ারকে বিবেচনা করা উচিত। আমি এখনই কাউকে বাদ দিতে চাই না, তবে ওয়াশিংটন সুন্দরকে আনাও দলের ব্যাটিং শক্তি এবং বোলিং বৈচিত্র্য বাড়াবে।”

Advertisements

ভারতীয় দলের জন্য এই হারের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল ফিল্ডিংয়ে অনেক সুযোগ নষ্ট হওয়া। ক্যাচ ফেলায় ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা বারবার সুযোগ পেয়েছেন এবং তা কাজে লাগিয়ে ম্যাচ জিতিয়ে দিয়েছেন। অন্যদিকে, ইংল্যান্ডের ব্যাটিং মনোভাব একদম পরিষ্কার ছিল। তারা চাপে পড়েনি, বরং ভারতীয় বোলারদের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে। ডাকেট এবং জ্যাক শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলা ভারতের বোলিং পরিকল্পনাকে ভেস্তে দেয়।

দ্বিতীয় টেস্টে ভারতকে ঘুরে দাঁড়াতেই হবে, নইলে সিরিজ হাতছাড়া হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে। সুনীল গাভাসকরের মত অভিজ্ঞ ক্রিকেট ব্যক্তিত্বের পরামর্শ দল পরিচালনার জন্য মূল্যবান হতে পারে।

গৌতম গম্ভীরের নেতৃত্বে নতুন করে তৈরি হওয়া এই দলের সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ। মানসিকভাবে ঘুরে দাঁড়ানো এবং দ্রুতগতিতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা। না হলে সিরিজে ভারতের স্বপ্ন অধরাই থেকে যেতে পারে।

Legendary batter Sunil Gavaskar advice to Indian Cricket Team