নয়া ফুটবল মরসুমের শুরুটা খুব একটা সুখকর থাকেনি ইমামি ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal)। তৎকালীন কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের হাত ধরে ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি। প্রথমেই ধাক্কা খেতে হয় ডুরান্ড কাপে। গত মরসুমে এই ঐতিহ্যবাহী টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেললেও এবার ছিটকে যেতে হয়েছে টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে। পরাজিত হতে হয়েছে আইলিগের ক্লাব শিলং লাজং এফসির কাছে। এক কথায় যা বিরাট ধাক্কা ছিল সকলের কাছে। তারপর ইন্ডিয়ান সুপার লিগ থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি।
পরাজিত হতে হয়েছে একের পর এক ম্যাচ। মরসুমের শুরুতে ময়দানের এই প্রধানকে নিয়ে সকলের বাড়তি উন্মাদনা থাকলেও সেটা পূরণ হয়নি। পর পর ম্যাচ হেরে পয়েন্ট টেবিলের একেবারে তলানিতে চলে আসে লাল-হলুদ ব্রিগেড। এমন হতাশাজনক পরিস্থিতিতে অস্কার ব্রুজনের হাতে তুলে দেওয়া হয় দলের দায়িত্ব। তাঁর তত্ত্বাবধানে ডার্বি ম্যাচের পাশাপাশি ওডিশার বিপক্ষে দল পরাজিত হলেও ভুটানে গিয়ে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ থেকেই ঘুরে দাঁড়ায় মশাল ব্রিগেড। প্রথম ম্যাচে ভুটানের পারো এফসির বিপক্ষে ড্র করলেও শেষ দুইটি ম্যাচে বসুন্ধরা কিংসের পাশাপাশি শক্তিশালী নাজমেহ এফসিকে পরাজিত করে ইস্টবেঙ্গল।
সেই সুবাদে টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে আসে লাল-হলুদ। সেই ছন্দ বজায় রাখার লক্ষ্য নিয়েই গত শনিবার নিজেদের ঘরের মাঠে মরসুমের দ্বিতীয় ডার্বি খেলতে নেমেছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল। যেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল পড়শী ক্লাব মহামেডান স্পোর্টিং। ম্যাচের প্রথমার্ধে লাল-হলুদের দুই দাপুটে ফুটবলার লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লেও নিজেদের দূর্গ অক্ষত রাখতে খুব একটা সমস্যা হয়নি হিজাজি মাহেরদের। যারফলে নির্ধারিত সময়ের পর গোলশূন্য ফলাফলে শেষ হয় এই ফুটবল ম্যাচ।
দলের এই পারফরম্যান্স নিঃসন্দেহে চমকে দিয়েছে সকলকে। পাশাপাশি দলের দুই ডিফেন্ডার হিজাজি মাহের এবং লালচুংনুঙ্গাদের (Lalchungnunga) পারফরম্যান্স রীতিমতো তাঁক লাগিয়ে দিয়েছে সকলকে। বলাবাহুল্য, গত মরসুম থেকেই এই দুই ডিফেন্ডারের পারফরম্যান্স নিয়ে বিতর্ক তৈরি হলেও উপযুক্ত সময় নিজেদের জাত চিনিয়ে দেন এই দুই ফুটবলার। পরবর্তীতে দলের এমন পারফরম্যান্স নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে লাল বলেন, ” টানা দুইটি লাল কার্ডের পর ও শক্তিশালী মহামেডানের বিপক্ষে আমরা ক্লিনশিট রাখতে সক্ষম হয়েছি। এই থেকে পরিষ্কার যে আইএসএলে আমাদের দল শক্তিশালী হয়ে উঠছে।”