টান টান উত্তেজনার মধ্যে দিয়ে শেষ হল তেন্ডুলকর-অ্যান্ডারসন টেস্ট সিরিজ এর শেষ ম্যাচ (Krishna Siraj)। ম্যাচে ভারত ৬ রানে জয় লাভ করেছে। ম্যাচের চতুর্থ দিনে খেলা শেষ হয় সময়ের আগেই। ইংল্যান্ডকে জিততে হলে করতে হত ৩৫ রান। এই পরিস্থিতিতেই ৫ম দিন ব্যাট করতে নাম ব্রিটিশ বাহিনী।
হাতে ছিল চার চারটি উইকেট। সেই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিলেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ এবং মহম্মদ সিরাজ। ১০৪ রান দিয়ে সিরাজের সংগ্রহ ৫ উইকেট। সিরাজকে সঙ্গ দিয়ে কৃষ্ণর ঝুলিতে ১২৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট।
ম্যাচের রোমাঞ্চকর মুহূর্ত
ম্যাচের শেষ দিনে ইংল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য ছিল ৩৫ রান, এবং তাদের ব্যাটিং লাইনআপে জেমি স্মিথ এবং ওভারটন ও ভালো ব্যাটার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ভারতীয় দলের জন্য এই মুহূর্তে ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনা কঠিন মনে হচ্ছিল। কিন্তু প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ এবং মহম্মদ সিরাজ তাদের আগুন ঝরানো বোলিং দিয়ে খেলার চিত্র পুরোপুরি বদলে দেন।
সিরাজের গতি এবং সুইং ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের জন্য বিভীষিকা হয়ে ওঠে। তিনি একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন, যার মধ্যে ছিল ইংল্যান্ডের মিডল অর্ডারের প্রধান স্তম্ভদের পতন। অন্যদিকে, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ তার নিয়ন্ত্রিত বোলিং এবং ধারালো বাউন্সার দিয়ে ইংল্যান্ডের লোয়ার অর্ডারকে ভেঙে ফেলেন।
তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপ মাত্র কয়েক ওভারে ধরাশায়ী হয়। মহম্মদ সিরাজ এই ম্যাচে তার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স প্রদর্শন করেন। ১০৪ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেওয়ার এই কৃতিত্ব তাকে ম্যাচের নায়ক করে তুলেছে। তার বোলিংয়ে ছিল গতি, নির্ভুলতা এবং আক্রমণাত্মক মনোভাব।
ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা তার সুইং এবং সিম মুভমেন্টের সামনে অসহায় হয়ে পড়েন। বিশেষ করে, ম্যাচের শেষ পর্যায়ে তার টানা বাউন্সার এবং ইয়র্কার ইংল্যান্ডের শেষ আশা ভেঙে দেয়। সিরাজের এই পারফরম্যান্স ভারতীয় ক্রিকেট ভক্তদের মধ্যে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।
Mumbai: পায়রাকে খাওয়ানো অপরাধ, হবে FIR, হতে পারে জেলও
কৃষ্ণর দুর্দান্ত সঙ্গ
প্রসিদ্ধ কৃষ্ণও তার বোলিং দিয়ে ম্যাচের গতিপথ বদলে দেন। ১২৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেওয়ার মাধ্যমে তিনি ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপে গভীর আঘাত হানেন। তার লম্বা উচ্চতা এবং বাউন্সারের সঠিক ব্যবহার ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের জন্য মারাত্মক হয়ে ওঠে। বিশেষ করে, ইংল্যান্ডের লেজের দিকের ব্যাটসম্যানদের তিনি দ্রুত ফিরিয়ে দেন, যা ভারতের জয় নিশ্চিত করে।
কৃষ্ণর ধারাবাহিকতা এবং চাপের মুখে শান্ত থাকার ক্ষমতা তাকে দলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদে পরিণত করেছে। তবে মন জয় করে নিয়েছেন ব্রিটিশ বোলার ক্রিস ওকস। ভাঙা হাত নিয়েও তিনি ব্যাটিং করতে নামেন এবং শেষ ব্যাটার আটকিনসনকে সঙ্গ দেন।