পরিবেশ দূষণ কমানো থেকে শুরু করে ফিটনেসের প্রচার (Kolkota Cyclothon 2025)। বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলির মতো ভারতেও এখন জোর দেওয়া হচ্ছে ‘গ্রিন মোবিলিটি’র দিকে। ব্যক্তিগত যানবাহনের বদলে সাইকেল ও গণপরিবহণের ব্যবহারকে উৎসাহ দিতে এবার শহর কলকাতায় শুরু হচ্ছে এক অভিনব উদ্যোগ। ‘কলকাতা সাইক্লোথন ২০২৫’।
আয়োজক লোহা ফাউন্ডেশন, সহযোগিতায় স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (SAI) ও ফিট ইন্ডিয়া মুভমেন্ট, আর পৃষ্ঠপোষক কোল ইন্ডিয়া। আগামী ৯ নভেম্বর (রবিবার) ভোর পৌনে চারটা থেকে শুরু হবে এই একদিনের সাইকেল উৎসব। সেখানে অংশ নেবেন ৩,০০০ বেশি অংশগ্রহণকারী। সাইক্লিং প্রেমী, পরিবার, ছাত্রছাত্রী, কর্মজীবী, এমনকি প্রবীণ নাগরিকরাও।
‘Ride for Change, Ride for Kolkata’ মূল মন্ত্রে সজ্জিত ইভেন্টের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র প্রতিযোগিতা নয়, বরং নাগরিকদের মধ্যে ফিটনেস, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং পরিবেশবান্ধব চলাচলের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া। কলকাতার বিভিন্ন প্রতীকী ল্যান্ডমার্ক হয়ে সাইক্লিস্টদের দল একদিনের জন্য শহরকে পরিণত করবে এক রঙিন সাইকেল-উৎসবে (Kolkota Cyclothon 2025)।
সাইক্লোথনে মূলত ৭০ কিমি, ৫০ কিমি ও ২৫ কিমি, তিনটি প্রতিযোগিতামূলক রাইড ক্যাটেগরি রাখা হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ১০ কিমি ফান রাইড ও ৫ কিমি ফান রান, যাতে অংশ নিতে পারবেন সাইকেলবিহীন অংশগ্রহণকারীরাও। মোট ৫.৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।
৭০ কিমি ইভেন্ট: বিজয়ী ৩০,০০০, রানার আপ ২০,০০০ ও দ্বিতীয় রানার আপ ১৫,০০০
৫০ কিমি ইভেন্ট: বিজয়ী ২০,০০০, রানার আপ ১৫,০০০ ও দ্বিতীয় রানার আপ ১০,০০০
২৫ কিমি ইভেন্ট: বিজয়ী ১৫,০০০, রানার আপ ১০,০০০ ও দ্বিতীয় রানার আপ ৫,০০০
ফান ক্যাটেগরির জন্যও নগদ পুরস্কারের কথা ভাবা হচ্ছে। পাশাপাশি থাকবে লাকি ড্র-এর মাধ্যমে বিশেষ হ্যাম্পার জেতার সুযোগও।রাইড চলাকালীন থাকবে হেলমেট, লাইট ও রিফ্লেক্টর ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা। পথে পথে থাকবে মেডিক্যাল ও টেকনিক্যাল সাপোর্ট টিম, হাইড্রেশন স্টেশন এবং পোস্ট-রাইড রিফ্রেশমেন্টের ব্যবস্থা।
ইভেন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কলকাতা ও বিধাননগর পুলিশ প্রশাসনের পূর্ণ সহায়তা থাকবে। ডিসিপি কুলদীপ সোনাওয়ানে জানিয়েছেন, “শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই সবরকম সহায়তা করা হবে।”
পাশাপাশি মর্যাদাপূর্ণ ইভেন্টের সম্মানীয় রেস ডিরেক্টর হয়েছেন মহারাষ্ট্র পুলিশের আইপিএস কৃষ্ণ প্রকাশ, যিনি ভারতের প্রথম ইউনিফর্মধারী অফিসার হিসেবে ‘আয়রনম্যান ট্রায়াথলন’ সম্পূর্ণ করেছেন। তিনি বলেন, “আমরা তো হাঁটার পরই সাইকেল চালানো শিখি, তাই সাইকেল আমাদের জীবনের অঙ্গ। সচিন তেন্ডুলকর একবার বলেছিলেন, ভারত স্পোর্টস-লাভিং কান্ট্রি, কিন্তু স্পোর্টস-প্লেয়িং কান্ট্রি নয়। সেই মানসিকতাই বদলাতে চাই আমরা।”
সাইয়ের কলকাতার রিজিওনাল ডিরেক্টর অমর জ্যোতি বলেন, “একজন সুস্থ মানুষই পারে একটি সুস্থ সমাজ গড়তে। কলকাতা সাইক্লোথন সেই বার্তাই বহন করছে। চলুন, ফিটনেসের জন্য, আনন্দের জন্য, আর আমাদের শহরের জন্য সাইকেল চালাই।”



