সোমবার শেষ হয়েছে আইপিএল ২০২৫ মেগা নিলাম (IPL Mega Auction 2025)। সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত এই নিলামে একাধিক তারকা ক্রিকেটারের ভাগ্য নির্ধারণ হয়েছে, এবং কিছু অদ্বিতীয় চমকও দেখতে পাওয়া গেছে। যেখানে সর্বোচ্চ দর পাওয়া প্লেয়ার হিসেবে উঠে এসেছেন ঋষভ পন্থ, যাঁকে ২৭ কোটি টাকায় কিনেছে লখনউ সুপার জায়ান্টস। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রাক্তন অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার, যাকে ২৬.৭৫ কোটি টাকায় দলে নিয়েছে পঞ্জাব কিংস। আইপিএল ২০২৫-এর (IPL 2025) আগে সবচেয়ে আলোচিত খবর হল মিচেল স্টার্কের (Mitchell Starc) পরিবর্তে কলকাতা নাইট রাইডার্সের (KKR) জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার ফাস্ট বোলার (Bowler) অ্যানরিখ নোখিয়ার (Anrich Nortje) আগমন।
Mohammedan SC : বেঙ্গালুরু ম্যাচে নিষেধাজ্ঞা জারি মহামেডান ক্লাবের!
গত বছর কলকাতা নাইট রাইডার্স ২৪.৭৫ কোটি টাকা দিয়ে অজি ফাস্ট বোলার মিচেল স্টার্ককে দলে নিয়েছিল। কিন্তু এবারের মেগা নিলামে নাইট শিবির তাকে রিটেন করেনি। স্টার্ককে পুনরায় দলে না নিয়ে, কলকাতা কিনেছে সাউথ আফ্রিকার তুখোড় পেসার অ্যানরিখ নোখিয়াকে। ৬.৫ কোটি টাকায় কলকাতা তাঁকে দলে নিয়েছে। অ্যানরিখ নোখিয়ার আগমন কেকেআরের জন্য একটি বড় পুঁজির বিনিয়োগ হতে পারে, কারণ তাঁর গতির বোলিং এবং অভিজ্ঞতা কলকাতার পেস আক্রমণকে আরও শক্তিশালী করতে পারে।
২০১৯ সালে আইপিএলে অভিষেক ঘটে অ্যানরিখ নোখিয়ার। যদিও প্রথম সিজনে কাঁধের চোটের কারণে তিনি মাঠে নামতে পারেননি, তবে পরবর্তী সময়ে তাঁর অভিজ্ঞতা এবং পারফরমেন্স আইপিএলে আলাদা একটি জায়গা তৈরি করেছে। সেবার কলকাতা নাইট রাইডার্স তাকে মাত্র ২০ লাখ টাকায় নিয়েছিল, তবে চোটের কারণে তিনি খেলতে পারেননি। ২০২০ সালে দিল্লি ক্যাপিটলসের হয়ে আইপিএলে ফিরে আসেন নোখিয়া। এরপর ২০২১ সালে দিল্লি তাকে ৮৯.৮২ লাখ টাকায় নোখিয়া পারফরমেন্সের ভিত্তিতে দলে নেয়, এবং ২০২২ সালে তার দাম বেড়ে দাঁড়ায় সাড়ে ৬ কোটি টাকায়।
Mohunbagan SG : প্রকাশ্যে এল বড় আপডেট চেন্নাই ম্যাচে মাঠে নামছেন আশিস রাই? জানুন
এখন পর্যন্ত ৪৬টি আইপিএল ম্যাচে অংশ নিয়ে অ্যানরিখ নোখিয়া ১৭৫.৪ ওভার বল করেছেন। এই সময়ে তার ইকোনমিক রেট ৮.৯৬ এবং ৬০ উইকেট নিয়েছেন। আইপিএল জীবনে তার সেরা পারফরমেন্স ছিল ৩৩/৩ উইকেট, আর গড় ছিল ২৬.৩৩। এই পরিসংখ্যান দেখে বোঝা যায় যে, নোখিয়া একজন নির্ভরযোগ্য বোলার হিসেবে নিজের জায়গা তৈরি করেছেন।
গত বছর মিচেল স্টার্ক কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য পারফরমেন্স দেখাতে পারেননি। তবে প্লে-অফে তার বোলিং ছিল বেশ ভালো। সেবার তাঁর বোলিংয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত এসেছিল, তবে পুরো টুর্নামেন্টে তিনি সর্বোচ্চ প্রভাব ফেলতে পারেননি। অন্যদিকে, অ্যানরিখ নোখিয়া, তার আক্রমণাত্মক গতির বোলিং দিয়ে আইপিএলে যথেষ্ট ভালো পারফরমেন্স করেছেন। ২০২৩ সালে, দিল্লি ক্যাপিটলসের হয়ে খেলতে গিয়ে নোখিয়া প্রতিপক্ষদের কাছে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন।
Dimitri Petratos : ‘দিমি, দিমি, দিমি…’ ফুটবলারই কেন? ব্যাখ্যা বাগান সুপারষ্টার পেত্রাতোসর
কেকেআরের দলে নরকিয়ার আসাটা কিছুটা স্টার্কের সেকেন্ড চয়েসের মতো হলেও, স্টার্কের তুলনায় তার খেলার ধরন আলাদা। নোখিয়ার অনেক বেশি দ্রুত এবং সোজা লাইন লেংথে বল করেন, যা বিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের জন্য আরও চ্যালেঞ্জিং। তাঁর বলের গতিতে এবং বিভিন্ন ধরনের সুইংয়ে স্নায়ুচাপে পড়েন ব্যাটসম্যানরা।
যদিও কলকাতা নাইট রাইডার্স মিচেল স্টার্ককে এই বছর দলে নেয়নি, তবে অ্যানরিখ নোখিয়ারকে দলে নেওয়া কেকেআরের বোলিং আক্রমণকে আরও শক্তিশালী করবে। বিশেষ করে, তাঁর গতির বল এবং অভিজ্ঞতা কেকেআরের পেস আক্রমণকে একটি নতুন দিশা দিতে পারে। স্টার্কের বদলে নোখিয়ার আগমন যে খুবই কার্যকর হবে, তা নিয়ে সংশয় নেই। এখন শুধু অপেক্ষা করতে হবে কিভাবে নরকিয়া কেকেআরের হয়ে মাঠে তাঁর সেরা পারফরমেন্স তুলে ধরেন।