বাংলা নববর্ষের (Bengali New Year) আনন্দে মেতে উঠেছে কেকেআর (KKR)। খেলোয়াড়রা ঐতিহ্যবাহী পোশাকে সেজে, মিষ্টি ভাগ করে এবং বাংলায় কিছু সংলাপ বলে উৎসব উদযাপন করেছেন। দলের সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা একটি ভিডিওতে তারা লিখেছে, “আমাদের নাইটদের তরফ থেকে আপনাদের জন্য, শুভ নববর্ষ! মিষ্টি আর হাসি দিয়ে উৎসব পালন করি!”
অজিঙ্ক্য রাহানের নেতৃত্বাধীন কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর) এবারের আইপিএল-এ উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছে। গতবারের চ্যাম্পিয়ন দলটি এখনো শক্তিশালী হলেও তাদের পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতার অভাব স্পষ্ট। এই মরশুমে তারা টানা দুটি ম্যাচ জিততে পারেনি, যা তাদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আইপিএল-এর মতো তীব্র প্রতিযোগিতায় জয়ের গতি ধরে রাখা জরুরি। এই ক্ষেত্রে কেকেআর কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে। প্রতি দ্বিতীয় ম্যাচে হার তাদের গতির চাকায় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
Also Read | প্রাক্তন-নায়ক শ্রেয়াসের পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে কেকেআরের একাদশে বড় পরিবর্তন
কেকেআর-এর এই ওঠানামার পিছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। আইপিএল ২০২৫-এর আগে দলটি বড় ধরনের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছে। মেন্টর গৌতম গম্ভীর ভারতীয় দলের প্রধান কোচ হওয়ায় তাকে ছাড়তে হয়েছে। এছাড়া, দলের দুই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মিচেল স্টার্ক এবং অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ারের বিদায়ও দলের গঠনে প্রভাব ফেলেছে। শ্রেয়াস গতবার কেকেআর-কে তৃতীয় শিরোপা এনে দিয়েছিলেন। তাই তার অনুপস্থিতি দলের জন্য বড় ক্ষতি। তবে, নতুন নেতৃত্বে দলটি এখনো লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
View this post on Instagram
মঙ্গলবারের ম্যাচে কেকেআর-এর মুখোমুখি হবে পাঞ্জাব কিংস- এর সঙ্গে। এই দুই দলের মধ্যে রয়েছে পুরোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা। ২০১৪ সালে আইপিএল ফাইনালে পাঞ্জাবকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল কেকেআর। ঐতিহাসিকভাবে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে কেকেআর-এর রেকর্ড ভালো। কিন্তু এবারের পাঞ্জাব দল ভিন্ন গল্প বলছে। শ্রেয়াস আইয়ারের নেতৃত্বে এবং রিকি পন্টিংয়ের কৌশলী নির্দেশনায় তারা আগ্রাসী ক্রিকেট খেলছে। তাদের দিনে যেকোনো শক্তিশালী দলকে হারানোর ক্ষমতা রয়েছে।
Also Read | নতুন গানে নববর্ষের শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর, ‘বাংলা দিবস’-এ বিশেষ বার্তা শান্তি-সম্প্রীতির
কেকেআর-ও পিছিয়ে নেই। তাদের দলে রয়েছে বিধ্বংসী ব্যাটিং লাইনআপ এবং বৈচিত্র্যময় বোলিং আক্রমণ। পাঞ্জাবের আগ্রাসনের জবাব দেওয়ার মতো শক্তি তাদের আছে। তবে, ধারাবাহিকতা ফিরিয়ে আনাই এখন তাদের প্রধান লক্ষ্য। এই ম্যাচে জয় তাদের জন্য মনোবল বাড়ানোর পাশাপাশি টুর্নামেন্টে ফিরে আসার পথ সুগম করবে।