KKR : হারের জন্য অধিনায়ক শ্রেয়সকে কাঠগড়ায় তুলছেন সর্মথকরা

সিএসকের বিরুদ্ধে জয় দিয়ে এবারের আইপিএল অভিযান শুরু করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে মুখ থুবড়ে পড়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR)। বুধবার রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর এর কাছে 3…

সিএসকের বিরুদ্ধে জয় দিয়ে এবারের আইপিএল অভিযান শুরু করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে মুখ থুবড়ে পড়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR)। বুধবার রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর এর কাছে 3 উইকেটে হারে কেকেআর। পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচে শেষ পর্যন্ত 4 বল বাকি থাকতে জয় তুলে নেয় আরসিবি। 200-র ওপর রান করেও পঞ্জাবের কাছে হেরে এবার যাত্রা শুরু করেছিল ফাফ ডু প্লেসির দল। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচেই কামব্যাক করল তারা। তবে আরসিবির জয় নিয়ে বিশেষ মাথা ব্যথা নেই নাইট সমর্থকদের। বরং তাদের যাবতীয় আবেগ কেকেআরকে ঘিরেই আবর্তিত। স্বাভাবিকভাবেই দারুন লড়েও শেষ পর্যন্ত আরসিবির বিরুদ্ধে হাসি মুখে মাঠ ছাড়তে না পারায় অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন সমর্থকরা।

বুধবারের ম্যাচে একাধিক ভুল করেছেন শ্রেয়স, এমনটাই দাবি নাইট ভক্তদের। সবার প্রথমে ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারা। আন্দ্রে রাসেলকে কেন আট নম্বরে ব্যাট করতে পাঠানো হল, তা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে বেশ কিছু নাইট সমর্থক। তাহলে কি জ্যাকসন, বিলিংস বা নারিন ব্যাট হাতে রাসেলের থেকেও বেশি দক্ষ! প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। প্রসঙ্গত, 8 নম্বরে ব্যাট করতে নেমে বেশ স্বাভাবিক ছন্দে খেলছিলেন রাসেল। ক্যারিবিয়ান তারকার মধ্যে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল বিধ্বংসী পুরনো রাসেলকে। তিনটি বিশাল ছক্কাও হাঁকান তিনি। তবে অপর প্রান্তে উইকেট পড়তে থাকায় বাধ্য হয়ে তাড়াহুড়ো করে রান তোলার নেশায় আউট হয়ে ফিরতে হয় রাসেলকে। তাকে ব্যাটিং অর্ডারে একটু উপরের দিকে নামালে কেকেআর ইনিংসের এই করুণ পরিণতি হত না বলেই মনে করছেন অনেকে।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

বোলিংয়ের ক্ষেত্রেও নাইট অধিনায়কের বেশ কিছু সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছেন না সর্মথকরা। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ভেঙ্কটেশ আয়ারকে দিয়ে বল করানো হয়নি। কিন্তু ম্যাচ জিতে যাওয়ায় তা নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামাননি কেউই। সমর্থকদের টনক নড়েছে আরসিবির বিরুদ্ধে হারের পর। রাসেল নিজের প্রথম ওভারে 11 রান দিয়েছিলেন। তার পরেও রাসেলের ওপর ভরসা রেখেছিলেন শ্রেয়স। তবুও ভেঙ্কটেশের হাতে বল তুলে দেননি তিনি। নিজের দ্বিতীয় ওভারে রাসেল দেন 15 রান।

এখানেই শেষ নয়। অতি গুরুত্বপূর্ণ শেষ ওভার করার জন্য ফের রাসেলকে ডাকেন নাইট অধিনায়ক। অবশ্য তখন শ্রেয়সের হাতে আর কোনও বিকল্প ছিল না। কারণ পেস বিভাগের দুই স্ট্রাইক বোলার উমেশ যাদব ও টিম সাউদির স্পেল আগেই শেষ করিয়ে দিয়েছিলেন কেকেআরের নতুন নেতা। 19 তম ওভারে প্রথমবার বল দেন ভেঙ্কটেশকে। যদিও ততক্ষণে ম্যাচ প্রায় কেকেআরের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছিল। প্রবল চাপের মুখেও 10 রান দেন ভেঙ্কটেশ। সমর্থকদের ধারণা, ভেঙ্কটেশকে যদি আরও আগে বোলিংয়ে টানা যেত, তাহলে হয়তো ম্যাচের মোড় ঘুরতে পারত। অনেকের দাবি, হাতে যখন বিকল্প রয়েছে তখন কেন সেগুলির ব্যবহার করবেন না শ্রেয়স।

ডাগআউটে ব্রেন্ডন ম্যাককালাম, ডেভিড হাসি ভরত অরুণদের মতো ক্রিকেটের অন্যতম সেরা বোদ্ধারা রয়েছেন। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে শুধু যে শ্রেয়সের অবদান থাকে না, তা প্রায় সকলেরই জানা। ফলে এই সিদ্ধান্তগুলোর পিছনে নাইটদের টিম ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বও বিন্দুমাত্র কম নয়। কিন্তু ম্যাকালাম-হাসিরা রয়েছেন ‘ক্যামেরার পিছনে’। আর ক্যামেরার সামনে বন্দুক কাঁধে তুলে দেওয়া হয়েছে শ্রেয়স আয়ারের। অধিনায়ক হিসাবে তাই ব্যর্থতার সিংহভাগ দায়িত্ব স্বাভাবিকভাবে তার কাঁধে বর্তাবে। আঙুল উঠবে তার দিকেই, তাকে লক্ষ্য করে ধেয়ে আসবে তির্যক সমালোচনাও। আর এইসবের জবাব শ্রেয়সকে দিতে হবে মাঠে পারফর্ম করে। যে আশাতে বুক বাঁধছেন অগনিত নাইট সমর্থকরাও। আরসিবির বিরুদ্ধে হার ভুলে কেকেআর ফের করবে, লড়বে এবং জিতবে- এমনটাই বিশ্বাস তাদের।