কলকাতা লিগের জন্য মনিপুরের এই ফুটবলারকে দলে টানল খিদিরপুর

দিন দশেকের অপেক্ষা মাত্র। তারপরেই শুরু হতে চলেছে কলকাতা ফুটবল লিগের (Calcutta Football League) নতুন মরসুম। গত মাসের শেষের দিকে জাঁকজমকপূর্ণ একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে…

Khidirpur Signs Manipur’s Seiminmang Manchong for Calcutta Football League

দিন দশেকের অপেক্ষা মাত্র। তারপরেই শুরু হতে চলেছে কলকাতা ফুটবল লিগের (Calcutta Football League) নতুন মরসুম। গত মাসের শেষের দিকে জাঁকজমকপূর্ণ একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রকাশ করা হয়েছিল এই প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগের বিভাগ সমূহ। যেখানে মূলত ময়দানের প্রাক্তন তারকা ফুটবলার সহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতি ও সক্রিয়তার মধ্যে দিয়েই অনুষ্ঠিত হয়েছিল লিগের লটারি পর্ব। যা নিঃসন্দেহে নজর কেড়েছিল বাংলার সকল ফুটবলপ্রেমী মানুষদের। সেই অনুযায়ী এবার একই গ্ৰুপে অর্থাৎ গ্ৰুপ ‘এ’তে স্থান পেয়েছে কলকাতা ময়দানের দুই প্রধান তথা ইমামি ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব এবং মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট।

অন্যদিকে গ্ৰুপ ‘বি’ তে রয়েছে মহামেডান স্পোর্টিং থেকে শুরু করে ডায়মন্ড হারবার এফসির মতো ফুটবল ক্লাব। তাঁদের সাথে সেই গ্ৰুপেই রয়েছে খিদিরপুর স্পোর্টিং ক্লাব। বলাবাহুল্য, শুধুমাত্র এই চারটি ফুটবল ক্লাব নয় কলকাতা ফুটবল লিগের এই প্রিমিয়ার ডিভিশনে প্রত্যেক বছরই প্রভাব ফেলে আসে ময়দানের একাধিক দল। যাদের পারফরম্যান্স নিঃসন্দেহে চাপে ফেলে দিতে পারে বড় দলগুলিকে। তবে সবদিক মাথায় রেখে অনেক আগে থেকেই দল গোছানোর কাজ শুরু করে দিয়েছিল প্রত্যেকটি ক্লাব। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী দল গঠন করে বর্তমানে জোর কদমে অনুশীলন করছে অংশগ্রহণকারী ক্লাবগুলি। বাদ নেই খিদিরপুর স্পোর্টিং ক্লাব।

   

আসন্ন এই ফুটবল টুর্নামেন্টের কথা মাথায় রেখে এবার মনিপুরের এক দাপুটে ফরোয়ার্ডকে দলের সঙ্গে যুক্ত করল খিদিরপুর ক্লাব। তিনি সেইমিনমাং মানচং। ফুটবল মহলে মাংকু নামেই অধিক পরিচিত বছর পঁচিশের এই ফুটবলার। শেষ মরসুমে আইলিগের ফুটবল ক্লাব রাজস্থান ইউনাইটেডের হয়ে খেলেছিলেন এই তারকা। যেখানে ১৭টি ম্যাচ খেলে ৪টে গোলের পাশাপাশি ১টি অ্যাসিস্ট ছিল এই ফুটবলারের। তবে শুধুমাত্র রাজস্থান নয়, ট্রাউ এফসির পাশাপাশি ওডিশা এবং মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে ও খেলেছেন এই ফুটবলার।

Advertisements

তবে আসন্ন এই ফুটবল লিগে নিজেকে মেলে ধরাই অন্যতম লক্ষ্য এই ফুটবলারের। বলাবাহুল্য, তাঁর উপস্থিতি নিঃসন্দেহে অনেকটাই শক্তিশালী করে তুলবে দলের আক্রমণভাগকে।