বর্ষসেরা কোচ নির্বাচিত হলেন খালিদ জামিল

ভারতীয় ফুটবলে অতি পরিচিত একটি নাম খালিদ জামিল (Khalid Jamil)। দেশীয় ফুটবল ক্লাবের পাশাপাশি বিদেশে ও কোচিং করিয়েছেন তিনি। গত মরসুম থেকেই জামশেদপুর এফসির দায়িত্ব…

Khalid Jamil of Jamshedpur FC Coach on East Bengal FC

ভারতীয় ফুটবলে অতি পরিচিত একটি নাম খালিদ জামিল (Khalid Jamil)। দেশীয় ফুটবল ক্লাবের পাশাপাশি বিদেশে ও কোচিং করিয়েছেন তিনি। গত মরসুম থেকেই জামশেদপুর এফসির দায়িত্ব পালন করে আসছেন খালিদ। তাঁর তত্ত্বাবধানে অনেকটাই ছন্দে ফেরে এই ফুটবল দল। একটা সময় আইএসএলের টপ সিক্সের অন্যতম দাবিদার হিসেবে উঠে আসতে শুরু করেছিল ঝাড়খণ্ডের এই ফুটবল ক্লাবের নাম।

Advertisements

যদিও তা ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে সেই সমস্ত কিছু ভুলে নয়া সিজনে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই একবারের শিল্ড জয়ীদের। সেক্ষেত্রে এই কোচের উপরেই ভরসা রেখেছে ম্যানেজমেন্ট। এবার তাঁকেই বর্ষসেরা কোচের সম্মান দিল সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। শুক্রবার রাতে নিজেদের সোশ্যাল সাইট থেকে তা উল্লেখ করা হয়।

Advertisements

গত মরসুমে দলের দায়িত্ব সামাল দিয়েছেন ব্যাপকভাবে। ইন্ডিয়ান সুপার লিগের পাশাপাশি সুপার কাপে ও যথেষ্ট সক্রিয় হয়ে উঠেছিল জামশেদপুর। তাই এই কোচের সঙ্গে চুক্তি বাড়িয়েছে ক্লাব। তবে আসন্ন ডুরান্ড কাপের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে বদলাতে পারে পরিস্থিতি।

গত ২০০৯ সালে মুম্বাই এফসির দায়িত্ব পাওয়ার মধ্য দিয়ে কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেন খালিদ জামিল। সেখানেই থেকেছেন অনেকটা সময়। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে আইলিগের ফুটবল ক্লাব আইজল এফসির কোচ হিসেবে নিযুক্ত করা হয় তাঁকে। প্রথমবারেই দলকে সাফল্য এনে দিতে সক্ষম থাকেন এই কোচ। স্বাভাবিকভাবেই নতুন সিজনে খালিদকে স্বাক্ষর করায় কলকাতা ময়দানের অন্যতম হেভিওয়েট দল ইস্টবেঙ্গল।

যদিও সেখানে সাফল্য পাননি তিনি। পরের বছর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব মোহনবাগান তাঁকে দায়িত্ব দেয়। সেখানে ও একরাশ হতাশা। ২০১৯ সালে জন আব্রাহামের নর্থইস্ট ইউনাইটেডের সহকারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব গ্ৰহন করেন আইলিগ জয়ী কোচ। বছর তিনেক পর ফিরে আসেন আইলিগে।

রাজস্থান ইউনাইটেডের দায়িত্বে। বছরখানেক পর চলে যান নেপালের ক্লাব চিতওয়ানে। কিন্তু সেখানে বেশিদিন মন টেকেনি কোচের। তারপর থেকেই জামশেদপুর এফসির দায়িত্বে। নয়া সিজনে দলকে সাফল্য এনে দেওয়াই অন্যতম চ্যালেঞ্জ খালিদ জামিলের।