চলতি ইন্ডিয়ান সুপার লিগের শুরুটা খুব একটা ভালো ছিল না কেরালা ব্লাস্টার্সের (Kerala Blasters)। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই পরাজিত হতে হয়েছিল পাঞ্জাব এফসির কাছে। তবে সেখান থেকেই ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করলে ও সেটা বজায় থাকেনি বেশিদিন। যার প্রভাব পড়েছিল লিগের পয়েন্ট টেবিলে। দলের এমন পারফরম্যান্স নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করেছিল সমর্থকরা। এমন পরিস্থিতিতে গত বছরের শেষের দিকেই ছাঁটাই করা হয় মিকেল স্ট্যাহরে সহ তাঁর সকল সাপোর্টিং স্টাফেদের। তারপর থেকেই অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে দলের দায়িত্ব পালন করে আসছেন থেক্কাথারা পুরুষোথামণ।
বলাবাহুল্য, এই ভারতীয় কোচ হাত ধরেই নিজেদের পুরনো ছন্দে ফিরতে শুরু করে কেরালা। একটা সময় সুপার সিক্সের লড়াইয়ে কার্যত অনিশ্চিত থাকলেও সেখান থেকেই সকলকে চমকে দিয়েছে দক্ষিণের এই ফুটবল ক্লাব। এক্ষেত্রে দক্ষিণের শক্তিশালী ফুটবল ক্লাব চেন্নাইয়িন এফসিকে পরাজিত করার পর থেকেই প্রথম ছয়ে উঠে আসার অন্যতম দাবিদার হয়ে ওঠে। কিন্তু ছন্দ পতন হয় গত ম্যাচে। আইএসএলের প্রথম লেগের মতো এবার আইএসএলের দ্বিতীয় লেগে ও শক্তিশালী মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের কাছে পরাজিত হতে হয় আদ্রিয়ান লুনাদের। স্বাভাবিকভাবেই সুপার সিক্সের লড়াইয়ে ফের ধাক্কা খায় কেরালা।
সেক্ষেত্রে কিছুটা হলেও অ্যাডভান্টেজ পেয়েছে টুর্নামেন্টের অন্যান্য দল গুলি। সূচি অনুযায়ী আগামী ২২শে ফেব্রুয়ারি গোয়ার ফতোরদা স্টেডিয়ামে আইএসএলের পরবর্তী অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে নামবে দক্ষিণের এই শক্তিশালী ফুটবল দল। যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হবে মানোলো মার্কুয়েজের শক্তিশালী এফসি গোয়ার সঙ্গে। এই ম্যাচে পরাজিত হলে চলতি সিজনের আইএসএলের নক আউট পর্বে যাওয়া অনেকটাই কঠিন হয়ে যাবে সকলের কাছে। তাই সবদিক মাথায় রেখেই দলকে অনুশীলন করাচ্ছেন থেক্কাথারা পুরুষোথামণ। উল্লেখ্য, চোট সমস্যার জন্য গত মোহনবাগান ম্যাচে খেলতে পারেননি নোয়া সাদাউ। আসন্ন ম্যাচে আদৌও তিনি খেলতে পারবেন কিনা সেটা এখনও স্পষ্ট হয়নি।
তবে সেইসব ভুলে নিজের সেরাটা দিতে চান ড্যানিশ ফারুক। সেই নিয়ে একটি জনপ্রিয় মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ” আমার মনে হয় আমাদের এটাকে অন্য একটা খেলার মতো মনে করেই এগোতে হবে। বলতে গেলে গোয়া একটা ভালো দল। কিন্তু আমাদের এটাকে একটা সাধারন ম্যাচ হিসেবে নিতে হবে। খুব বেশি চাপ নেওয়া উচিত নয়। সকলকেই নিজেদের পারফরম্যান্সের দিকে মনোযোগ দিতে হবে।”