যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ শামি, মায়াঙ্ক যাদব, উমরান মালিক, তালিকাটা (Injuries in Cricket) ক্রমাগত দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। ব্যাঙ্গালোরে ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমি যেন একটা আস্ত হাসপাতাল। এই একাডেমির মূল উদ্দেশ্যই এখন যেন পাল্টে গেছে। এখানে খনি থেকে তুলে আনা হিরের খন্ডকে ঘসে মেজে কোহিনুর তৈরির জন্যই গড়ে তোলা হয়েছিল আন্তর্জাতিক মানের এই প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে সমস্ত নজর আটকে গেছে ক্ষত -বিক্ষত হীরক খন্ডের পরিচর্যায়।
চোট জখম এড়িয়ে, নিজের সেরাটা উজাড় করে দিয়ে আজও দৃষ্টান্ত হয়ে আছেন, দুনিয়ার সর্বকালের অন্যতম সেরা বোলার কপিল দেব। আজ তিনিও ব্যথিত ভারতীয় বোলারদের এই পরিণতি দেখে। কপিল দেব মনে করেন, যারা দায়িত্বে রয়েছেন, ‘তাদের এটা মাথায় রাখতে হবে, আমার হাতের সেরা অস্ত্রগুলো যাতে যুদ্ধক্ষেত্রে অকেজো হয়ে না পড়ে।”‘
দেশের হয়ে গুরুত্বপুর্ন টুর্নামেন্টেগুলো খেলতে নামার সময় যদি তাদের মাঠের বাইরে থাকতে হয় তাহলে এই যন্ত্রণা উপেক্ষার নয়। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারতীয় দল গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে রাজকীয় দাপট দেখাতে পেরেছিল বুমরা -সামি জুটির হাত ধরে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সময় এই জুটি শুধু ভেঙেই গেল না, সামি একা দলে থাকলেও চোট থেকে এখনও ফিরতে পারেনি স্বমহিমায়। এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কপিল দেবে বলেন, এদের জন্য আলাদাভাবে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করতেই হবে।
আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টগুলোর কথা মাথায় রেখে এদের প্রয়োজনীয় বিশ্রাম দিতে হবে। এখন বছরে দশমাস ক্রিকেট খেলা হয় সুতরাং চোট-আঘাত এখন নিত্য সঙ্গি হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতি থেকে এই ধরণের বোলারদের কী ভাবে রক্ষা করা যেতে পারে সেটা নিয়ে আলাদা করে ভাবনা জরুরি।
বর্তমানে ক্রিকেট ব্যবসার অমোঘ হাতছানিতে জড়িয়ে পড়েছে বিসিসিআই কিন্তু ব্যবসা করতে গিয়ে নিজেদের সেরা পণ্যই যদি ধংস হয়ে যায় তাহলে সেই বাণিজ্যও প্রশ্নের মুখে পড়তে বাধ্য। বাণিজ্যের পাশাপাশি নিজেদের সেরা প্লেয়ারদের রক্ষা করার দায়িত্বও নিতে হবে বিসিসিআই-কেই। কপিলের মন্তব্য আদৌ কানে তুলবে বোর্ড?