লর্ডসের ঐতিহাসিক মাটিতে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (WTC) ফাইনালের প্রথম দিনেই কাগিসো রাবাদা (Kagiso Rabada) তাঁর অসাধারণ বোলিং দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন। তাঁর আগুনঝরা ৫/৫১-এর স্পেলে অস্ট্রেলিয়া মাত্র ২১২ রানে গুটিয়ে যায়। দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের প্রথম ডব্লিউটিসি শিরোপা জয়ের পথে এক বড় পদক্ষেপ রাখে। গতি, নির্ভুলতা এবং উদ্দেশ্যে ভরপুর এই স্পেল ম্যাচের গতিপথ বদলে দিয়েছে।
৩০ বছর বয়সী এই পেসার তাঁর ৭১তম টেস্টে ৩৩২ উইকেট নিয়ে কিংবদন্তি অ্যালান ডোনাল্ডের ৩৩০ উইকেটের রেকর্ড ভেঙে দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ইতিহাসে চতুর্থ সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হয়েছেন। এই কীর্তি শুধু তাঁর ধারাবাহিকতারই প্রমাণ নয়, বরং বিশ্ব ক্রিকেটে তাঁর আধিপত্যেরও সাক্ষ্য বহন করে। রাবাদা এখন ডব্লিউটিসি ফাইনালে পাঁচ উইকেট নেওয়া দ্বিতীয় বোলার, নিউজিল্যান্ডের কাইল জেমিসনের (২০২১) পর তিনিই এই কৃতিত্ব অর্জন করলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে শুধু জ্যাক ক্যালিসই (১৯৯৮ আইসিসি নকআউট ফাইনালে ৫/৩০) এর আগে আইসিসির কোনো ফাইনালে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন।
রাবাদার আইসিসি নকআউট ম্যাচের রেকর্ডও ক্রমশ অসাধারণ হয়ে উঠছে। পাঁচটি নকআউট ম্যাচে তিনি ১৯.২৭ গড়ে ১১ উইকেট নিয়েছেন। লর্ডসে তাঁর এই পাঁচ উইকেট তাঁর ক্যারিয়ারের সেরা আইসিসি নকআউট পারফরম্যান্স। এই কীর্তিতে তিনি শান পোলক এবং অ্যালান ডোনাল্ডের সঙ্গে যুগ্মভাবে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। শুধু জ্যাক ক্যালিস (১৪ উইকেট) তাঁর ওপরে।
লর্ডস রাবাদার জন্য যেন এক দুর্গে পরিণত হয়েছে। মাত্র তিন টেস্টে এই মাঠে তিনি ১০.৮৩ গড়ে ১৮ উইকেট নিয়েছেন, যার স্ট্রাইক রেট মাত্র ৩০.২। তিনি মরনে মরকেলের ১৫ উইকেটের রেকর্ড ভেঙে লর্ডসে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হয়েছেন। অ্যালান ডোনাল্ড এবং মাখায়া নিনির সঙ্গে তিনিই এখন লর্ডসে একাধিক পাঁচ উইকেট নেওয়া দক্ষিণ আফ্রিকান বোলার।