পিছিয়ে থেকেও লড়াইয়ে কীভাবে ফিরে আসতে হয় তা বারংবার বুঝিয়ে চলেছে মোহনবাগান (Mohun Bagan) সুপার জায়ান্ট। গত সপ্তাহের শেষের দিকে দেশের এই প্রথম ডিভিশন ফুটবল লিগের প্রথম সেমিফাইনাল খেলতে নেমেছিল কলকাতা ময়দানের এই প্রধান। যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হয়েছিল শক্তিশালী জামশেদপুর এফসির সঙ্গে। পূর্ণ সময়ের শেষে সেই ম্যাচে পরাজিত হতে হলেও দ্বিতীয় লেগে ঘুরে দাঁড়াতে বদ্ধপরিকর ছিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। সেটাই হয়েছে শেষ পর্যন্ত। গত সোমবার যুবভারতীর বুকে পরবর্তী লেগের সেমিফাইনাল খেলতে নেমেছিল শুভাশিস বসুরা। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে এগ্ৰিগেডের হিসাবে একটি গোলের ব্যবধানে জয় সুনিশ্চিত করে ফেলে মেরিনার্সরা।
Also Read | আপুইয়ারের গোলে আইএসএল ফাইনালে সবুজ-মেরুন
সেই নিয়ে যথেষ্ট খুশি সমর্থকরা। তবে এই ম্যাচে গোলের মুখ খোলা খুব একটা সহজ ছিল না বাগানের কাছে। ঘরের মাঠেই ম্যাচ থাকলেও প্রতিপক্ষের রক্ষণাত্মক ফুটবল ক্রমশ চাপ বাড়াতে শুরু করেছিল মেরিনার্সদের। জেসন কামিন্স থেকে শুরু করে অনিরুদ্ধ থাপা হোক কিংবা আশীষ রাই প্রথমার্ধে গোলের মুখ খোলার বহু চেষ্টা করে গিয়েছিলেন সকলে। কিন্তু জামশেদপুরের জমাট বাঁধানো রক্ষণকে ভোঁতা করতে কালঘাম ছুঁটে গিয়েছিল বাগান ব্রিগেডের। প্রথমার্ধে গোলের দেখা না মিললেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই পেনাল্টি থেকে গোল করে যান জেসন কামিন্স। তারপর ম্যাচের শেষ লগ্নে আপুইয়ার গোলে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলে সবুজ-মেরুন।
Also Read | ফুটবল ফেডারেশনের এক্সিকিউটিভ কমিটির বৈঠকে গৃহীত সেরা পাঁচ সিদ্ধান্ত
দলের এমন পারফরম্যান্স নিয়ে যথেষ্ট খুশি বাগান কোচ জোসে মোলিনা। পরবর্তীতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ” আমাদের এই জয়টা খুব একটা সহজ ছিল না। কারণ, জামশেদপুর এফসি যথেষ্ট ভাল খেলেছে। তাঁদের পরিকল্পনায় যথেষ্ট সফল থেকেছে। ফুটবলাররা যথেষ্ট ভালো ডিফেন্স করেছে। এমনকি আমাদের চাপে ফেলে জিততেও চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আজ আমাদের জয়টা প্রাপ্য ছিল। আপুইয়ার শেষ গোলটা, শেষ মুহূর্তে ওর গোলে শট সত্যিই অসাধারণ ছিল। আমাদের পক্ষে এক দুর্দান্ত মুহূর্ত। এই গোলটা পাওয়ার জন্য আমাদের ছেলেরা যথেষ্ট লড়াই করেছে। অবশেষে, আপুইয়া হয়ে ওঠে আমাদের সেই সৌভাগ্যবান খেলোয়াড়। তাঁর পা থেকেই জয়সূচক গোল এসেছে।”
সেইসাথে আপুইয়ার মনোভাব নিয়ে তিনি বলেন, ” শেষ মুহূর্তের সেই সময় আপুইয়া নিশ্চয় ভাবছিল যে শট থেকে গোল করব। না হলে কেউ শট নেবে না। এটা দলের সঠিক বোঝাপড়ার ফসল। এমন একটি দলের কোচ হিসেবে আমি গর্বিত।”