ডার্বি জয়ের পর ফের ধাক্কা খেয়েছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। গত শুক্রবার আইএসএলের অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ময়দানের এই প্রধান। টাটা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে তাঁদের লড়াই করতে হয়েছিল শক্তিশালী জামশেদপুর এফসির বিপক্ষে। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে অমীমাংসিত ফলাফলে শেষ হয় এই ফুটবল ম্যাচ। সেই নিয়ে যথেষ্ট হতাশ মোহনবাগান সমর্থকরা। আসলে একটা সময় অধিনায়ক শুভাশিস বসুর করা একমাত্র গোলে এগিয়ে ছিল মেরিনার্সরা। কিন্তু সেটা বজায় থাকেনি ম্যাচের শেষ পর্যন্ত। দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সময় স্টিফেন এজের করা গোলে সমতায় ফিরে আসে জামশেদপুর।
তারপর ও ব্যবধান বাড়ানোর বেশ কয়েকবার সুযোগ পেয়েছিল মোহনবাগান। কিন্তু দলের হয়ে গোল করতে পারেননি অজি বিশ্বকাপার জেমি ম্যাকলারেন থেকে শুরু করে লিস্টন কোলাসোর মতো ফুটবলাররা। ম্যাচের বয়স বাড়ার সাথে সাথেই আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াতে দিমিত্রি পেত্রাতোস থেকে শুরু করে গ্ৰেগ স্টুয়ার্টের মতো ফুটবলারদের মাঠে এনেছিলেন বাগান কোচ জোসে মোলিনা। কিন্তু কাজের কাজ করা সম্ভব হয়নি কারুর পক্ষেই। বাগান ফুটবলারদের তরফ থেকে ঘন ঘন আক্রমণ সংগঠিত হলেও অনায়াসেই দলের সাক্ষাৎ পতন রোধ করে দিতে থাকেন জামশেদপুর এফসির গোলরক্ষক আলবিনো গোমস।
যারফলে শেষ পর্যন্ত পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই মাঠ ছাড়ে দুই দল। সেই নিয়ে একেবারেই খুশি নন সবুজ-মেরুনের স্প্যানিশ কোচ। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “আমার মতে, আমরা প্রথমার্ধে দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছি। কিন্তু এটা বোঝা কঠিন যে প্রথমার্ধের শেষে আমরা কেন একাধিক গোল করে ড্রেসিংরুমে ফিরে আসিনি। আমাদের গোল করার অনেক সুযোগ ছিল। আমরা সবকিছুতেই আধিপত্য বিস্তার করেছিলাম কিন্তু মাত্র একটি গোল করতে পেয়েছি। তারপর, দ্বিতীয়ার্ধে, তাঁরা পরিবর্তন করে এবং দুই স্ট্রাইকার নিয়ে খেলতে শুরু করে। যার জবাবে আমাদের যথেষ্ট নিষ্ক্রিয় লাগছিল।”
তবে এই হতাশা ভুলে শীঘ্রই ঘুরে দাঁড়াতে চান মোলিনা। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ” আমরা এদিন অনেক সুযোগ হাতছাড়া করেছি। তবে পরিসংখ্যান হিসেবে দেখলে আমরা এই টুর্নামেন্টের অন্যতম শক্তিশালী দল নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসির সাথে লিগে সর্বোচ্চ স্কোরিংয়ে রয়েছি। হয়তো আজ আমাদের ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল না। তবে আমি নিশ্চিত যে গোল হবেই। আমরা এভাবেই নিজেদের কাজ করে যেতে চাই।”