আগের সিজনের প্রথম থেকেই ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের (East Bengal FC) রক্ষণভাগ নিয়ে উঠতে শুরু করেছিল একাধিক প্রশ্ন। যার প্রভাব পড়েছিল গত ডুরান্ডের চ্যাম্পিয়নশিপের রাউন্ডে। ছিটকে যেতে হয়েছিল কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে। তারপরে ও দেশের প্রথম ডিভিশন লিগ তথা আইএসএলে ভালো পারফরম্যান্স করতে মরিয়া ছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। পরাজিত হতে হয়েছিল টানা ছয়টি ম্যাচ। এমন পরিস্থিতিতে দলের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। পরবর্তীতে দায়িত্বে আসেন অস্কার ব্রুজন।
এই স্প্যানিশ কোচের হাত ধরেই সাময়িকভাবে নিজেদের ছন্দে ফিরেছিল ইস্টবেঙ্গল। আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের গ্ৰুপ পর্বে ভালো ফল করার পর আইএসএলে ও জয়ের স্বাদ পেয়েছিল এই ফুটবল ক্লাব। কিন্তু চোট আঘাতের সমস্যা ফের ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছিল দলকে। যারফলে একটা সময় সুপার সিক্সে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা দেখার দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। শেষ পর্যন্ত বেঙ্গালুরু এফসির সঙ্গে ড্র করার পরেই স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় ইস্টবেঙ্গলের। কিন্তু তবুও কলিঙ্গ সুপার কাপ নিয়ে আশায় বুক বেঁধেছিল লাল-হলুদ জনতা। সেখানেও মিলেছে হতাশা। ছিটকে যেতে হয়েছে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে। আসলে দলের রক্ষণভাগের দুর্বলতা ব্যাপকভাবে সমস্যায় ফেলেছিল দলকে।

এক্ষেত্রে বিশেষ করে দলের বিদেশি ফুটবলারদের ভূমিকা নিয়ে ও উঠতে শুরু করেছিল একাধিক প্রশ্ন। উল্লেখ্য, গত ২০২৩-২০২৪ মরসুমের মাঝামাঝি সময় কার্লেস কুয়াদ্রাতের সাথে ভারতে এসেছিলেন হিজাজি মাহের (Hijazi Maher)। সময় এগোনোর সাথে সাথেই নিজের জাত চেনাতে শুরু করেছিলেন জর্ডানের এই দাপুটে ডিফেন্ডার। সবদিক মাথায় রেখেই তাঁর সঙ্গে চুক্তি বাড়িয়ে নিয়েছিল ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু শেষ সিজনটা যথেষ্ট হতাশ করেছিলেন এই বিদেশি ফুটবলার। চোট আঘাতের পাশাপাশি তাঁর অফ ফর্ম ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলেছিল দলের মধ্যে।
এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে নতুন মরসুমে তাঁকে যে আর দলে রাখা হবে না সেই ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। সেটাই হয়েছে এবার। ভারতবর্ষ ছেড়ে জর্ডানের প্রথম টায়ারের ফুটবল ক্লাব আল ফাইসলি এফসিতে যোগ দিয়েছেন হিজাজি মাহের। ঘন্টাখানেক আগেই নিজেদের সোশ্যাল সাইট থেকে তাঁর সঙ্গে চুক্তি বদ্ধ হওয়ার কথা জানিয়ে দেয় জর্ডানের এই ফুটবল ক্লাবটি। যতদূর খবর, আগামী তিনটি সিজনের জন্য এই ফুটবল দলের জার্সিতেই হয়তো খেলতে দেখা যেতে চলেছে তাঁকে।