অনেক আগে থেকেই নয়া সিজনের জন্য দল গোছাতে শুরু করেছিল প্রত্যেকটি ফুটবল ক্লাব। বিশেষ করে ট্রান্সফার উইন্ডো খোলার পর থেকেই আরও সক্রিয়তা দেখাতে শুরু করে আইএসএলের পাশাপাশি আইলিগের দল গুলি। এক্ষেত্রে দেশীয় ফুটবলারদের পাশাপাশি একাধিক হাইপ্রোফাইল বিদেশি ফুটবলারদের দিকে নজর রয়েছে অধিকাংশ দলের। নিজেদের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলোয়াড়দের চূড়ান্ত করতে মরিয়া প্রত্যেকে। সেক্ষেত্রে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বারংবার উঠে আসতে শুরু করেছিল শক্তিশালী মুম্বাই সিটি এফসির নাম। শুধুমাত্র নয়া ফুটবলার চূড়ান্ত করাই নয় দলের বেশকিছু ফুটবলারদের বদল করার ও পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
পরবর্তীতে সেটাই দেখা যেতে শুরু করে ব্যাপকভাবে। বিশেষ করে গত মরসুম শেষ হওয়ার পর থেকেই একের পর এক ফুটবলারদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে শুরু করেছিল দেশের বানিজ্য নগরীর এই ফুটবল ক্লাব। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র বিদেশি ফুটবলার নয়। সমান ভাবেই দল থেকে বাদ পড়তে শুরু করেছিলেন একাধিক দেশীয় ফুটবলার। স্বাভাবিকভাবেই নয়া মরসুমে কিরঘিজ কোচ পেট্র ক্র্যাটকির তত্ত্বাবধানে এবার যে নতুন করে সেজে উঠতে চলেছে রনবীর কাপুরের ফুটবল ক্লাব সেটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল সকলের কাছেই। সেখানে স্থান পাননি ভারতীয় মিডফিল্ডার জয়েশ রানে (Jayesh Rane )।
গত সিজনে রনবীর কাপুরের এই ফুটবল ক্লাবের হয়ে খেললেও নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি মহারাষ্ট্রের এই ফুটবলার। যা নিঃসন্দেহে হতাশ করেছিল সকল সমর্থকদের। স্বাভাবিকভাবেই নয়া মরসুমে তাঁকে যে আর স্কোয়াডে রাখা হবে না সেই ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। সেইদিক নজরে রেখেই অনেক আগে থেকে এই ফুটবলারের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করেছিল খালিদ জামিলের জামশেদপুর এফসি। যা চূড়ান্ত হয়ে যায় শেষ পর্যন্ত। যারফলে এই নয়া সিজনে শিল্প নগরীর এই দলের হয়ে খেলতে দেখা যেতে চলেছে জয়েশ রানেকে।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিজেদের সোশ্যাল সাইট থেকে তাঁর যোগদানের কথা ঘোষণা করে দিয়েছে জামশেদপুর ম্যানেজমেন্ট। নতুন সিজনে নিজেকে আদৌও কতটা মেলে ধরতে পারেন এখন সেটাই দেখার।