জামিলের নেতৃত্বে জামশেদপুরের রক্ষণ শক্তিশালী করার নয়া পরিকল্পনা

জামশেদপুর এফসি (Jamshedpur FC) ২০১৭-১৮ মরসুমে ইন্ডিয়ান সুপার লিগে (ISL) যোগ দেওয়ার পর তাদের সেরা মরসুম কাটিয়েছে। ক্লাবটি শুধু আইএসএলের সেমিফাইনালে পৌঁছায়নি, বরং মুম্বাই সিটি…

Khalid Jamil Jamshedpur FC

জামশেদপুর এফসি (Jamshedpur FC) ২০১৭-১৮ মরসুমে ইন্ডিয়ান সুপার লিগে (ISL) যোগ দেওয়ার পর তাদের সেরা মরসুম কাটিয়েছে। ক্লাবটি শুধু আইএসএলের সেমিফাইনালে পৌঁছায়নি, বরং মুম্বাই সিটি এফসি’কে হারিয়ে কলিঙ্গ সুপার কাপের ফাইনালে প্রথমবারের মতো প্রবেশ করে। তবে, দুর্দান্ত পারফরম্যান্স সত্ত্বেও, জামশেদপুর এফসি ট্রফি ছাড়াই মরসুম শেষ করে। প্রশিক্ষক খালিদ জামিল, ভারতীয় ফুটবলে তার বিশাল অভিজ্ঞতা এবং স্থানীয় পরিচিতির জন্য পরিচিত। তিনি দলের দুর্বলতাগুলি শক্তিশালী করতে এবং ট্রফি জয়ের স্বপ্ন পূরণে মনোযোগী।

১. বাঁ-প্রান্তের ডিফেন্ডার
মুহাম্মদ উভাইসের পাঞ্জাব এফসি’তে যাওয়ার গুঞ্জনের মধ্যে জামশেদপুর এফসি’র বাঁ-প্রান্তের ডিফেন্ডার পজিশনে শূন্যতা তৈরি হতে পারে। উভাইস ছিলেন রেড মাইনার্সের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। তিনি তার ওভারল্যাপিং রান এবং লং থ্রো দিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করেছিলেন। তার প্রস্থান দলের বাঁ-প্রান্তকে কাউন্টার-অ্যাটাকের জন্য আরও দুর্বল করে তুলতে পারে।

   

এই শূন্যতা পূরণে জেরি লালরিনজুয়ালা বা নারায়ণ দাসের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের বিবেচনা করা যেতে পারে। ওড়িশা এফসি’র হতাশাজনক পারফরম্যান্স সত্ত্বেও, জেরি তার গতি এবং বল সরবরাহের দক্ষতা দিয়ে সানান এবং ঋত্বিক দাসের জন্য আক্রমণাত্মক সুযোগ তৈরি করতে পারেন। অন্যদিকে, টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমির প্রাক্তন ছাত্র নারায়ণ দাস ইন্টার কাশির হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর জামশেদপুরে ফিরে আইএসএল-এ নতুন করে শুরু করতে আগ্রহী হতে পারেন।

Jamshedpur FC Reserves Make History, Enter RFDL Semi-Finals for First Time
Jamshedpur FC Reserves Make History, Enter RFDL Semi-Finals for First Time

২. ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার
খালিদ জামিল ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডে সঠিক সমন্বয় খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়েছেন। মোবাশির রহমান, লাজার সিরকোভিচ, সৌরভ দাস থেকে প্রণয় হালদার—বিভিন্ন খেলোয়াড়ের সঙ্গে পরীক্ষা করা হলেও কোনোটিই দীর্ঘমেয়াদে কার্যকর হয়নি। রেই তাচিকাওয়াও প্রতিরক্ষায় সহায়তা করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছেন। তাই একজন শক্তিশালী ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের প্রয়োজনীয়তা এখন সবচেয়ে বেশি।

Advertisements

সুসংবাদ হল, বেশ কিছু মানসম্পন্ন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের চুক্তি শেষ হতে চলেছে। ভারতীয় বিকল্প হিসেবে চেন্নাইয়িন এফসি’র তরুণ জিতেশ্বর সিং, মুম্বই সিটি এফসি’র জয়েশ রানে বা এফসি গোয়ার রাউলিন বোর্গেসের কথা ভাবা যায়। রাউলিন গোয়ায় কম খেলার সুযোগ পাওয়ায় জামশেদপুরে আসতে আগ্রহী হতে পারেন। বিদেশি বিকল্প হিসেবে কার্ল ম্যাকহিউ, ফিলিপ ম্রজলিয়াক, ইয়োয়েল ফান নিফ বা মোহাম্মদ আলি বেমাম্মারের মতো খেলোয়াড়দের বিবেচনা করা যেতে পারে। বিশেষ করে বেমাম্মারের স্বাক্ষর জামশেদপুরের জন্য বড় অর্জন হতে পারে।

৩. সেন্টার ফরোয়ার্ড জুটি
জাভি সিভেরিও এবং জর্ডান মারে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখালেও, তারা জাভি হার্নান্দেজের মিডফিল্ড সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে গোল করতে ব্যর্থ হয়েছেন। উভয় খেলোয়াড়ের চুক্তি শেষ হওয়ার পথে, জামশেদপুরকে বাজারে নতুন বিকল্প খুঁজতে হবে।

নিকোলাস কারেলিস এবং দিয়েগো মাউরিসিও খালিদের রাডারে থাকতে পারেন। এই দুই স্ট্রাইকার তাদের ক্লাবের হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন। ওড়িশা এফসি’র বিদেশি খেলোয়াড়দের তালিকায় বড় পরিবর্তনের গুঞ্জনের মধ্যে মাউরিসিও জামশেদপুরের জন্য দারুণ সংযোজন হতে পারেন। এছাড়া কোয়ামে পেপ্রাহ এবং রাফায়েল মেসি বাউলিও বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হতে পারেন।