বর্তমানে ভারতীয় ক্লাব ফুটবলে অন্যতম শক্তিশালী একটি দল মোহনবাগান (Mohun Bagan) সুপার জায়ান্ট। শেষ কিছু সিজন ধরে তাঁদের পারফরম্যান্স এবং সাফল্যের ধারাবাহিকতা নিঃসন্দেহে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সকলকে। বছর বছর এএফসির টুর্নামেন্টে প্রতিনিধিত্ব করা নিঃসন্দেহে অনেকটাই এগিয়ে দিয়েছে বাংলার ফুটবল দলকে। সবুজ-মেরুনের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা বা মাঠে নামার স্বপ্ন দেখেন দেশের বহু তরুণ ফুটবলার। তাঁদের মধ্যেই একজন ইভান থাপা (Ivan Thapa)। বর্তমানে জর্জ টেলিগ্রাফের হয়ে প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগ খেলছেন এই সেন্টার ব্যাক। একটা সময় গ্যাংটকের হিমালয়ান স্পোর্টস ক্লাবের যুব দল থেকে আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল এই ফুটবলারের।
পরবর্তীতে সেখান থেকেই যোগদান করেছিলেন ইন্ডিয়ান অ্যারোজে। সেখানে রিজার্ভ দলের হয়ে কয়েক বছর ফুটবল খেলার পর তাঁকে দলে টেনে নিয়েছিল নর্থইস্ট ইউনাইটেড। ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ফুটবল ক্লাবের যুব দলের হয়ে নিজেকে মেলে ধরার চেষ্টা করেছেন বারংবার। পরের মরসুমেই তাঁকে সই করিয়ে নেয় রিয়াল কাশ্মীর। সেখান থেকেই খিদিরপুর সহ কর্নাটকের কিকস্টার্ট এফসি হয়ে বর্তমানে জর্জের হয়ে কলকাতা লিগের সুপার সিক্স খেলার টার্গেট বছর একুশের ডিফেন্ডারের। সেইসাথে কলকাতা ময়দানের অন্যতম প্রধান তথা মোহনবাগান দলের হয়ে মাঠে নামার স্বপ্ন দেখেন এই ডিফেন্ডার।

আইএসএল হোক কিংবা ডুরান্ড কাপ। নিয়মিত নজর রাখেন সবুজ-মেরুনের ম্যাচের দিকে। বিশেষ করে আশীষ রাই ও মনবীর সিংয়ের পারফরম্যান্স যথেষ্ট মুগ্ধ করে আসছে এই তরুণ ফুটবলারকে। পাশাপাশি বিশ্ব ফুটবলে ও সমান নজর রাখেন ইভান। ব্রাজিলিয়ান তারকা থিয়াগো সিলভার পাশাপাশি ইংলিশ রাইট ব্যাক আলেকজান্ডার আর্নল্ডকে ও যথেষ্ট পছন্দ জর্জের এই ফুটবলারের। মাঝে চোট আঘাতের মত সমস্যা দেখা দেওয়ায় কিছুটা ব্যাকফুটে চলে আসতে হলেও এবার জর্জ টেলিগ্রাফের জার্সিতে নিজেকে প্রমাণ করার চ্যালেঞ্জ।
এক্ষেত্রে ইভানকে যথেষ্ট সমর্থন করে আসছে তাঁর পরিবার। Kolkata24x7 কে ফোনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই ডিফেন্ডার বলেন, ” পেশাদার ফুটবলার হিসেবে নিজেকে মেলে ধরার ক্ষেত্রে আমার মা-বাবা থেকে শুরু করে সকল বন্ধুরা প্রথম থেকেই আমাকে যথেষ্ট সমর্থন করে আসছে। যেটা আমার কাছে বিরাট বড় পাওনা। তাঁদের সমর্থন আমাকে যথেষ্ট অনুপ্রাণিত করে। মাঠের মধ্যে আমি সব সময় নিজের সেরাটা দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে যাই। ভবিষ্যতে ও করে যাবো।”