বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে অন্যতম চমক বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার শাকিব আল হাসানের (Shakib Al Hasan) ভোট লড়াই।তিনি দেশটির শাসক দল আওয়ামী লীগের হয়ে ভোটে নেমেছেন। যদিও ক্রিকেট বিশ্বকাপে তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ দল চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়। তীব্র বিতর্কের মাঝে শাকিব রাজনীতিতে নেমে পড়েন। কবে তিনি অবসর নেবেন সে বিষয়ে নীরব।
বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে শাকিব আল হাসানের মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে মাগুরা-১ আসনে। তিনি এই আসনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের হয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। শাকিসের নির্বাচনী হলফনামায় উঠে এসেছে বিপুল বিপুল ঋণে জর্জরিত হওয়ার তথ্য।
শাকিব আল হাসানের ব্যাংক লোন ৩১ কোটি ৯৮ লাখ ৬৮ হাজার ৩৮২ টাকা। এত ধারের পর প্রশ্ন, বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার ক্রিকেট কিংবা এত শোরুম উদ্বোধন করেও কি বিলাস জীবনযাপনে পেরে উঠছেন না? সম্প্রতিক ক্রিকেট মাঠের পাশাপাশি রাজনীতির মাঠেও নেমে পড়েছেন বাংলাদেশের এই ক্রিকেটার।
শাকিবের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলাশাসক। শাকিবের হলফনামায় আয় ব্যয়ের হিসাবে সেখানেই ৩১ কোটিরও বেশি লোনের কথা বলা হয়েছে। শিক্ষাগত যোগ্যতা লিখেছেন বিবিএ পাস। এছাড়া হলফনামায় শাকিব আল হাসান নিজের পেশার জায়গায় ক্রিকেটার লিখেছেন।
এই হলফনামা থেকে দেখা যাচ্ছে ক্রিকেট থেকে শাকিবের বার্ষিক আয় ৫ কোটি ৩২ লাখ ৭৪ হাজার ৭৬৯ টাকা। তিনি তার হলফনামায় বার্ষিক গড় আয় দেখিয়েছেন, ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৭১ হাজার ২৬২ টাকা। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা দেখিয়েছেন ২৪ হাজার ২৬১ ডলার। অস্থাবর সম্পত্তি হিসেবে ব্যাংক জমা রয়েছে ১১ কোটি ৫৬ লাখ ৯১ হাজার ৮৭৬ টাকা। তার শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ৪৩ কোটি ৬৩ লাখ ৯৬ হাজার ৮৭৪ টাকা। এছাড়া সংগ্রহে সোনা রয়েছে ২৫ ভরি।
হলফনামায় দেখা গিয়েছে, বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের ঘরের জিনিসপত্র আসবাব সামগ্রী ও ইলেকট্রনিক্স জিনিস রয়েছে ১৩ লাখ টাকার। ব্যাংক আমানত রয়েছে ২২ লাখ ৯৬ হাজার ৪৯৩ টাকা। মনোনয়নপত্র থেকে আরাও জানা গিয়েছে শাকিব আল হাসানের ইস্টার্ন ব্যাংক থেকে লোন রয়েছে ১ কোটি ৫০ লাখ ২০ হাজার ৩৬৩ টাকা।
২০২২ সালে এক অনলাইন জুয়ার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হন শাকিব। এরপর থেকেই বিতর্কের মুখে পড়েন।বাংলাদেশ ক্রিকেটে নিয়ম অনুযায়ী কোনও ধূমপান, নেশা, জুয়ার কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করা যাবে না। কিন্তু সেই নিয়ম শাকিব ভঙ্গ করে দুই বার। পরে অবশ্য ব্যাপক সমালোচনা ও বিসিবির শাস্তির হুমকিতে সেই চুক্তি বাতিল করতে বাধ্য হন।
২০২৩ বিশ্বকাপের বাংলাদেশ দলে তামিম ইকবালকে না রাখার ইস্যুতে তীব্র বিতর্কে ছিলেন শাকিব আল হাসান। বিশ্বকাপে একের পর এক হার। মাত্র দুই জয় পায় বাংলাদেশ চরম সমালোচনার মুখে পড়েন বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের ক্যাপ্টেন শাকিব। আপাতত তিনি ভোটে ব্যাস্ত।