অধ্যবসায়, ভালোবাসা থাকলে কি না হয়। আদ্রিয়ান লুনা (Adrian Luna) তার অন্যতম উদাহরণ। ভারতের মাটিতে নিজের সবটুকু দিয়ে খেলা বিদেশি ফুটবলারদের মধ্যে কেরালা ব্লাস্টার্স এফসির আদ্রিয়ান লুনা অবশ্যই একজন। শরীর পুরোপুরি ফিট না হওয়ার পরেও দলের স্বার্থে নেমেছিলেন মাঠে।
বুধবার ইন্ডিয়ান সুপার লীগে ছিল দক্ষিণ ভারতীয় ডার্বি। গোলের বন্যা হয়েছে এই মাঠে। ডার্বি খেলতে নেমেছিলেন লুনা। ম্যাচের পর কেরালা ব্লাস্টার্স এফসির কোচ IVAN VUKOMANOVIC জানিয়েছেন, “ও (আদ্রিয়ান লুনা) গত দু’দিন ধরে জ্বরে ভুগেছে। এমনকি একটা অনুশীলন সেশনে শারীরিক অসুস্থতার জন্য আসতে পারেনি। শরীর দূর্বল হলেও মনের জোরের তারিফ করতেই হয়। সমস্যা থাকার পরেও নিজেকে শেষ পর্যন্ত নিয়ে যেতে চায় লুনা।”
বুধবার কেরালা ব্লাস্টার্স বনাম চেন্নাইন এফসি ম্যাচের প্রথম বাঁশি বাজার পর থেকে আক্রমণের পথ বেছে নিয়েছিল দুই দল। বিরতির আগেই হল পাঁচ গোল। সেট পিস রহিম আলির গোলে প্রথমে এগিয়ে গিয়েছিল চেন্নাইন এফসি। তার মিনিট দশেক পর পেনাল্টি থেকে কেরালা ব্লাস্টার্স এফসিকে সমতায় ফেরান দিমানতিকোস। ১১ মিনিটে স্কোরলাইন ১-১ হওয়ার পর ১৩ মিনিটে ফের পেনাল্টি। এবার চেন্নাইন এফসির সামনে গোল করার সুযোগ। দিমানতিকোসের মতো জর্ডান মারে-ও মাটি ঘেঁষা শট মেরে করলেন গোল। ২৪ মিনিটে ফের মারের গোল। ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় চেন্নাইন এফসি। মিনিট পনেরোর মধ্যে স্কোরলাইন ৩-২। দারুণ দক্ষতায় প্রতিপক্ষের গোলের টপ কর্নারে বল পাঠিয়ে দিলেন কেরালা ব্লাস্টার্স এফসির তরুণ বিদেশি ফুটবলার কোয়ামে পেপরা।
বিরতির আগে পাঁচ গোল হওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধেও খেলায় সেই ঝাঁঝ। একাধিকবার বল গিয়ে পৌঁছল দুই দলের গোলরক্ষকের কাছে। ৫৮ মিনিটে খেলার ষষ্ঠ গোলটি করলেন দিমানতিকোস। ম্যাচের শেষের দিকে ব্লাস্টার্স-এর দাইসুকে সাকাই দারুণ সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন। এক হাত দুরত্ব থেকে বল গোল রাখতে পারেননি তিনি। রাখতে পারলে ম্যাচের ফল হতে পারতো অন্যরকম। শেষ পর্যন্ত স্কোরলাইন ৩-৩।