দেশে প্রথম ডিভিশন ফুটবল লিগ তথা আইএসএলের (ISL) আয়োজন নিয়ে গত কয়েক মাস ধরেই দেখা দিয়েছিল ধোঁয়াশা। আয়োজক সংস্থা তথা এফএসডিএলের সঙ্গে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের এমআরএ নবীকরণ হওয়ার কথা থাকলেও তখন তা চূড়ান্ত হয়নি। যারফলে নতুন সিজনে আদৌও এই টুর্নামেন্ট আর আয়োজিত হবে কিনা সেই নিয়ে দেখা দিয়েছিল একাধিক বিতর্ক। তাই এক প্রকার বাধ্য হয়েই দল গঠন নিয়েও ধীরে চলো নীতি গ্রহণ করেছিল টুর্নামেন্টের একাধিক ফুটবল ক্লাব। পরবর্তীতে গত আগস্ট মাসের শুরুতে রাজধানীতে বিশেষ বৈঠকের আয়োজন করেছিল সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন।
Also Read | দুবাইতে তিন স্পিনার নিয়ে চক্রব্যূহ রচনা গম্ভীরের? রইল সম্ভাব্য একাদশ
যেখানে প্রথমে ডাকা হয়েছিল ইন্ডিয়ান সুপার লিগের সমস্ত ক্লাবের প্রতিনিধিদের। সেখানে আলোচনার মধ্য দিয়ে প্রথম ডিভিশন লিগ হওয়ার মৌখিক সম্মতি দিয়েছিলেন সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কল্যাণ চৌবে। পরবর্তীতে ফের বৈঠক ও মহামান্য আদালতের হস্তক্ষেপের মধ্য দিয়ে আলোচনা করা হয় গোটা বিষয়টি। তারপরেই উঠে আসে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের টেন্ডার ডাকার বিষয়টি। সেখানে বিচারপতি নাগেশ্বর রাও সহ তোদেরও কি কমিটির হাতে দেওয়া হয় দায়িত্ব। এবার আইএসএল (ISL) ব্যবস্থাপনার জন্য দীর্ঘমেয়াদি অংশীদার নির্বাচনের আর্জি জানাল টুর্নামেন্টের ক্লাব গুলি।
Also Read | শক্তিশালী চিনকে বিধ্বস্ত করে এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত
বিশেষ সূত্র মারফত খবর, টুর্নামেন্টের মোট দশটি আইএসএল (ISL) ক্লাব এআইএফএফ এবং এর তদারকি কমিটিকে এমন একটি বাণিজ্যিক অংশীদার নির্বাচন করতে বলেছে যারা আর্থিকভাবে যথেষ্ট সবল, টেকসই বিনিয়োগে সক্ষম এবং যার কোনও সমস্যার রেকর্ড নেই। পাশাপাশি ক্রীড়া ও ফুটবল প্রশাসনে দক্ষতার দিকে ও গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও আরও বলা হয়েছে, যে ভারতীয় ফুটবলের দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা এবং প্রবৃদ্ধি মূলত নির্বাচিত বাণিজ্যিক অংশীদারের বিশ্বাসযোগ্যতা, দক্ষতা এবং আর্থিক দৃঢ়তার উপর নির্ভর করবে। সেদিকে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন।
শেষ পর্যন্ত তাদের হাতে আসে এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব এখন সেটাই দেখার বিষয়। তবে আগের তুলনায় পরিস্থিতি অনেকটা বদল হওয়ায় কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে দল গুলির মধ্যে।