সূচি অনুযায়ী আজ আইএসএলের দ্বিতীয় লেগের সেমিতে নেমেছে মোহনবাগান (Mohun Bagan) সুপার জায়ান্ট। যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হচ্ছে ভারতীয় কোচ খালিদ জামিলের শক্তিশালী জামশেদপুর এফসির (Jamshedpur FC) সঙ্গে। গত লেগে ঝাড়খণ্ডের টাটা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে দুরন্ত ফুটবল খেলে ও জয় পায়নি মেরিনার্সরা। সেই ম্যাচে দল পিছিয়ে থেকে সমতায় ফিরলে ও শেষ রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। ম্যাচের শেষ লগ্নে বাগান রক্ষণে ফাটল ধরিয়ে গোল তুলে নিয়েছিল ইস্পাত নগরীর এই ফুটবল ক্লাব। যা চমকে দিয়েছিল সকলকে। এই জয়ের সুবাদে ফাইনালে ওঠার ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও এগিয়ে রয়েছে জামশেদপুর।
ম্যাচ রিপোর্ট পড়তে ক্লিক করুন: আপুইয়ারের গোলে আইএসএল ফাইনালে সবুজ-মেরুন
তবে সহজে হার মানতে নারাজ মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। সোমবার সন্ধ্যায় নিজেদের ঘরের মাঠে জামশেদপুর এফসিকে পরাজিত করে ফাইনালে উঠতে মরিয়া শুভাশিস বসুরা। যারফলে এদিন প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে দেখা গিয়েছে বাগান ফুটবলারদের। জেসন কামিন্স থেকে শুরু করে অনিরুদ্ধ থাপা হোক কিংবা আশীষ রাই। সুযোগ বুঝেই প্রতিপক্ষের রক্ষনভাগে হানা দিচ্ছেন সকলে। কিন্তু গোলের মুখ খুলতে গিয়ে কালঘাম ছোটার মতো পরিস্থিতি মেরিনার্সদের। আসলে এগ্ৰিগেডে এগিয়ে থাকার সুবাদে আজ প্রথম থেকেই রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে ধরা দিয়েছে রেই তাচিকাওয়ারা।
প্রনয় হালদার থেকে শুরু করে লাজার সিরকোভিচ কিংবা মহম্মদ উভাইস। বাগান আক্রমণ রোধ করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সক্রিয়তা দেখিয়ে আসছেন সকলে। সময় যত এগিয়েছে ততই জামশেদপুর ডিফেন্সে চাপ বাড়াতে থেকেছে জোসে মোলিনার ছেলেরা। অজি তারকা জেসন কামিন্সের পাশাপাশি অনিরুদ্ধ থাপা বেশ কয়েকটি গোলমুখী শট নিতে সক্ষম হলেও অনায়াসেই সেগুলি আটকে দেন জামশেদপুর গোলরক্ষক আলবিনো গোমস। নাহলে অনায়াসেই বিরাট বড় ব্যবধানে এগিয়ে যেতে পারত মোহনবাগান। এমনকি দ্বিতীয় কোয়ার্টারের মাঝামাঝি সময় প্রায় গোলের মুখ খুলে ফেলেছিল সবুজ-মেরুন। তবে শেষ মুহূর্তে বল গোলে ঢোকার আগেই হেড দিয়ে সেটিকে বের করে দেন বাঙালি ফুটবলার সৌরভ দাস।
তাঁর এমন পারফরম্যান্স নিঃসন্দেহে প্রশংসা কুড়োতে শুরু করেছে ফুটবলপ্রেমীদের কাছে। এছাড়াও প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ের শেষলগ্নে ফ্রি-কিক থেকে গোলের সুযোগ এসে গিয়েছিল বাগান ব্রিগেডের কাছে। তবে অনায়াসেই বলটিকে বিপদ মুক্ত করতে সক্ষম হন আলবিনো গোমস। যারফলে গোলশূন্য ফলাফলে শেষ হল দ্বিতীয় লেগের সেমিফাইনালের প্রথমার্ধে। তবে শেষ পর্যন্ত কাদের মুখে হাসি ফোটে এখন সেটাই দেখার।