East Bengal vs Punjab FC: গত ম্যাচের হতাশা ভুলে আজ পাঞ্জাব এফসির বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া ছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল। তবে এক্ষেত্রে সকলকে ব্যাপক চিন্তায় রেখেছিল দলের মাঝমাঠ। আসলে দলের একাধিক খেলোয়াড়দের চোট ও কার্ড সমস্যা থাকায় এদিন প্রথম থেকেই নড়বড়ে থেকেছে দলের মাঝমাঠ। তবুও সেই হতাশা ভুলে নিজেদের একাদশ সাজিয়েছিলেন স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজন। যেখানে এদিন প্রথম থেকেই মাঝ মাঠের দায়িত্বে দেখা গিয়েছে ভারতীয় ডিফেন্ডার আনোয়ার আলিকে। এমন সিদ্ধান্ত সকলকে অবাক করলেও দলের পরিস্থিতি অনুযায়ী এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন অস্কার।
এদিন ম্যাচের প্রথম দিকে যথেষ্ট চনমনে মেজাজে দেখা গিয়েছিল লাল-হলুদ ফুটবলারদের। এমনকি প্রথম কোয়ার্টারেই গোলের সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন ভারতীয় ফরোয়ার্ড ডেভিড লালহানসাঙ্গা। গোল বল ও রেখেছিলেন এই ভারতীয় তারকা। কিন্তু অফসাইডের ফাঁদে পড়ে বাতিল হয়ে যায় সেই গোল। পরবর্তীতে সময় যত এগোয় ততই চাপ বাড়াতে শুরু করে প্যানাজিওটিস ডিলমপেরিসের পাঞ্জাব এফসি। ঘন ঘন আক্রমণে উঠে আসতে শুরু করেন লুকা মাজসেনরা। তবে গোলরক্ষক প্রভসুখান সিং গিল এবং হিজাজি মাহেরের দক্ষতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
যদিও সেটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ম্যাচের দ্বিতীয় কোয়ার্টারের মাঝামাঝি সময় ফুলগা ভিদালের লং বল ফলো করে বল গোলে ঠেলে দিয়ে যান বসনিয়ান তারকা আজমির সুলজিক। তারপর থেকেই আত্মবিশ্বাস কমতে শুরু করে অস্কার ব্রুজনের ছেলেদের। তবুও সমতায় ফেরার আসায় আক্রমণে উঠে আসতে শুরু করেন অধিনায়ক ক্লেটন সিলভা থেকে শুরু করে নন্দকুমার সেকাররা। কিন্তু কাজের কাজ এখনও পর্যন্ত করা সম্ভব হয়নি। নন্দর উদ্দেশ্যে বেশ কয়েকবার বল বাড়ানো হলেও কাজের কাজ হয়নি।
তবে পালটা আক্রমণ করতে ছাড়েনি পাঞ্জাব দল। তারপর ৩৯ মিনিটের মাথায় উইং থেকে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে হানা দেন ভিদাল। সেখানে আনোয়ার আলি থেকে শুরু করে হিজাজি মাহেরদের বোকা বানিয়ে কর্নার পোস্ট থেকে দুরপাল্লার শট নিয়ে গোল করে যান এই বিদেশি তারকা। যারফলে প্রথমার্ধের শেষে দুই গোলে এগিয়ে আইএসএলের এই ফুটবল ক্লাব।