ঘরের মাঠে ব্ল্যাকপ্যান্থার বধ করে ছন্দে ফিরল বাগান-বাহিনী

কান্তিরাভার হতাশা ভুলে জয়ের সরণিতে মোহনবাগান (Mohun Bagan) সুপার জায়ান্ট। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী শনিবার সন্ধ্যায় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে টুর্নামেন্টের চতুর্থ ম্যাচ খেলতে নেমেছিল জোসে মোলিনার…

Mohun Bagan vs Mohammedan SC

কান্তিরাভার হতাশা ভুলে জয়ের সরণিতে মোহনবাগান (Mohun Bagan) সুপার জায়ান্ট। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী শনিবার সন্ধ্যায় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে টুর্নামেন্টের চতুর্থ ম্যাচ খেলতে নেমেছিল জোসে মোলিনার ছেলেরা। যেখানে প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল পড়শী ক্লাব মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব (Mohammedan SC)। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে ৩-০ গোলের ব্যবধানে তাঁদের বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে নিল মেরিনার্সরা। এদিন মোহনবাগান জার্সিতে প্রথম গোল পেলেন অজি তারকা জেমি ম্যাকলারেন। এছাড়াও গোল পান যথাক্রমে শুভাশিস বসু এবং গ্ৰেগ স্টুয়ার্ট।

উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরেই এই ডার্বি ম্যাচকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার পারদ চড়েছিল সমর্থকদের মধ্যে। একদিকে যেমন দুরন্ত পারফরম্যান্সের মধ্য দিয়ে আইএসএল শুরু করে সকলকে তাক লাগিয়ে দিচ্ছিল মহামেডান অন্যদিকে ঠিক তেমন ভাবেই বেঙ্গালুরু ম্যাচ ভুলে জয় ফেরার পরিকল্পনা ছিল বাগানের। আইএসএলের এই ডার্বি ম্যাচের আগে পর্যন্ত খাতায় কলমে মহামেডান এগিয়ে থাকলেও তাঁর কোনও প্রভাব পড়েনি ম্যাচের মধ্যে। এদিন প্রথম থেকেই যথেষ্ট আক্রমণাত্মক মেজাজে ধরা দিয়েছিল সবুজ-মেরুন।

   

তাই গোলের মুখ খুলতে খুব একটা সময় লাগেনি। প্রথম দশ মিনিটের মধ্যেই গোল করে দলকে এগিয়ে দেন জেমি ম্যাকলারেন। এতদিন যার পা থেকে গোল দেখার অপেক্ষায় ছিল আপামর মোহন জনতা। তাঁর গোল থেকেই ডার্বিতে এগিয়ে যায় গঙ্গা পাড়ের এই ফুটবল ক্লাব। তারপর থেকে যতই সময় এগোয় ক্রমশ চাপ বাড়াতে শুরু করেন অনিরুদ্ধ থাপারা। অপরদিকে নিজেদের রক্ষণভাগ সামলানোর মরিয়া প্রচেষ্টা করতে থাকেন আন্দ্রে চেরনিশভ। কিন্তু সেটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ম্যাচের ৩১ মিনিটের মাথায় আসে দ্বিতীয় গোল।

এবার গোল করলেন স্বয়ং অধিনায়ক শুভাশিস বসু। সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই তৃতীয় গোল। এবার বল জালে জড়ালেন স্কটিশ ফরোয়ার্ড গ্ৰেগ স্টুয়ার্ট‌। প্রথমার্ধের শেষে এই তিনটি গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থাকে বাগান ব্রিগেড। তবে দ্বিতীয়ার্ধ থেকে আক্রমণে উঠে আসার মরিয়া প্রচেষ্টা শুরু করে সাদা-কালো শিবির। গোলের জন্য ছটফট করতে থাকেন কার্লোস ফ্রাঙ্কা থেকে শুরু করে লালরেমসাঙ্গা ফানাইরা। কিন্তু বিশালের দক্ষ হাতে আটকে যেতে হয় বারংবার। শেষ পর্যন্ত এই ব্যবধানেই আসে জয়।