পিছিয়ে থাকা ম্যাচ কীভাবে জিততে হয়? দেখাল মশালবাহিনী

ফের লাল-হলুদ যুবভারতী। ওডিশা ম্যাচের হতাশা ভুলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পরবর্তী হোম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হয়েছিল শক্তিশালী পাঞ্জাব…

East Bengal

ফের লাল-হলুদ যুবভারতী। ওডিশা ম্যাচের হতাশা ভুলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পরবর্তী হোম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হয়েছিল শক্তিশালী পাঞ্জাব এফসির সঙ্গে। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে ৪-২ গোলের ব্যবধানে সেই ম্যাচ জিতে নিল অস্কার ব্রুজনের ছেলেরা। এদিন লাল-হলুদের জার্সিতে গোল করেন যথাক্রমে হিজাজি মাহের, ভানলাল পুইতিয়া এবং ডেভিড লালহানসাঙ্গা। পাশাপাশি একটি আত্মঘাতী গোল করে বসেন নংমিকাপাম সুরেশ মেইতি। অন্যদিকে পাঞ্জাব এফসির হয়ে গোল করেন যথাক্রমে আজমির সুলজিক এবং ভিদাল।

এই জয়ের সুবাদে ১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের এগারো নম্বরে থাকল লাল-হলুদ ব্রিগেড। অপরদিকে আজকের এই অ্যাওয়ে ম্যাচ জিতে তৃতীয় স্থানে যাওয়ার সুযোগ থাকলেও সেটা সম্ভব হলনা পাঞ্জাব এফসির। দলের একাধিক ফুটবলারের চোট ও কার্ড সমস্যা থাকলেও এদিন শুরু থেকেই যথেষ্ট চনমনে মেজাজে দেখা গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের। ম্যাচের প্রথম কোয়াটারই গোলের সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন তরুণ ফুটবলার ডেভিড লালহানসাঙ্গা। গোলে ও রেখেছিলেন বল। কিন্তু অফসাইডের ফাঁদে বাতিল হয়ে যায় সেই গোল।

   

Punjab FC Stuns East Bengal

তবে পাল্টা আক্রমণে উঠে গোলের মুখ খুলে যায় পাঞ্জাব এফসি। ম্যাচের দ্বিতীয় কোয়ার্টারেই আজমির সুলজিকের গোলে এগিয়ে যায় প্রতিপক্ষ দল। তাঁর ঠিক কিছুক্ষণ পরেই দ্বিতীয় গোল। ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণভাগে হানা দিয়ে কর্নার পোস্ট থেকে দুরপাল্লার শট নেন ভিদাল। সেখান থেকেই আসে দ্বিতীয় গোল। প্রথমার্ধের শেষে এই দুই গোলের ব্যবধানেই এগিয়ে থাকে পাঞ্জাব। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই নিজেদের পুরনো ছন্দে ফিরে আসে ইস্টবেঙ্গল। চতুর্থ কোয়ার্টারে দলের ব্যবধান কমান হিজাজি মাহের। তার ঠিক কিছুক্ষণ পরেই সকলকে চমকে দিয়ে গোল করে যান বিষ্ণু।

সমতায় ফিরে আসে ইস্টবেঙ্গল। তারপর যত সময় এগিয়েছে ততই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে কলকাতা ময়দানের এই প্রধান। ক্লেটন সিলভাদের আক্রমণ প্রতিহত করতে গিয়ে কার্যত কালঘাম ছুঁটে ছিল পাঞ্জাবের। তা সামাল দিতে গিয়েই ষাট মিনিটের মাথায় আত্মঘাতী গোল করে বসেন সুরেশ মেইতি। যারফলে এক গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় লাল-হলুদ। তারপর পাঞ্জাবের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে যান ডেভিড। পরবর্তীতে আরও একাধিকবার গোলের সুযোগ আসলেও সেটা কাজে লাগাতে পারেননি ফুটবলাররা। যারফলে দুই গোলের ব্যবধানে আসে জয়।