ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (IPL)-এর চেয়ারম্যান অরুণ ধুমাল (Arun Dhumal) সম্প্রতি টুর্নামেন্টের ভবিষ্যৎ সম্প্রসারণের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত দিয়েছেন। ধুমাল জানিয়েছেন, আইপিএল বর্তমান ৭৪ ম্যাচের পরিবর্তে ২০২৮ থেকে ৯৪ ম্যাচের টুর্নামেন্টে রূপান্তরিত হতে পারে। তবে নতুন দল যোগ করার কোনও পরিকল্পনা নেই। আইপিএল ১০টি দল নিয়েই চলবে।
ধুমাল (Arun Dhumal) বলেন, “আমরা চাই একটি বড় সময়সীমা, যাতে ম্যাচের সংখ্যা ৭৪ থেকে ৮৪ বা ৯৪-এ নিয়ে যাওয়া যায়। এর ফলে প্রতিটি দল প্রতিটি দলের বিরুদ্ধে হোম এবং অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে পারবে, যার জন্য ৯৪টি ম্যাচ প্রয়োজন।” এই পরিকল্পনা ভক্তদের জন্য আরও প্রতিযোগিতামূলক এবং উত্তেজনাপূর্ণ আইপিএল অভিজ্ঞতা নিয়ে আসবে।
আইপিএল-এর বর্তমান কাঠামো
বর্তমানে আইপিএল (IPL)-এ ১০টি দল রয়েছে। সব দল একে অপরের বিরুদ্ধে দুইবার (হোম এবং অ্যাওয়ে) খেলে না। প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি গ্রুপ পর্বে ১৪টি ম্যাচ খেলে, যা সময়সূচীতে কিছুটা অস্পষ্টতা তৈরি করে। দলগুলি দুটি গ্রুপে বিভক্ত। মরশুম শুরুর আগে তারা জানতে পারে কোন দলের বিরুদ্ধে তারা দুইবার খেলবে। উদাহরণস্বরূপ, এই মরশুমে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি) এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স (এমআই) মাত্র একবার মুখোমুখি হয়েছে। কিন্তু আরসিবি এবং চেন্নাই সুপার কিংস (সিএসকে) দুইবার খেলবে। এই অসমতা দূর করতে আইপিএল ২০২৮ থেকে পূর্ণ হোম-অ্যাওয়ে ফরম্যাট প্রয়োগের পরিকল্পনা করছে। যাতে প্রতিটি দল একে অপরের বিরুদ্ধে দুইবার খেলতে পারে।
কুলদীপের স্পিন জালে রাসেল? দিল্লি-কলকাতা মহারণে নজরকাড়া খেলোয়াড়দের দ্বৈরথ
তবে, এই পরিবর্তন ২০২৮-এর আগে সম্ভব নয়, কারণ আইসিসি-র ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম (এফটিপি) অনুযায়ী ২০২৭ পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারিত রয়েছে। ধুমাল জানান, বর্তমান সময়সীমা এবং দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট ও আইসিসি ইভেন্টের প্রতিশ্রুতির কারণে অল্প সময়ে ম্যাচের সংখ্যা বাড়ানো সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, “আমরা অস্ট্রেলিয়া থেকে টেস্ট সিরিজ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবং আইপিএল-এর মতো ব্যস্ত ক্রিকেট ক্যালেন্ডারের মধ্যে রয়েছি। তাই ২০২৫-এ ৭৪ থেকে ৮৪ ম্যাচে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে, উপযুক্ত সময়ে আমরা এই সিদ্ধান্ত নেব।”
দিল্লি বনাম কলকাতা হাইভোল্টেজ লড়াই ফ্রী-তে কোথায় দেখবেন? জেনে নিন
ধুমাল (Arun Dhumal) স্পষ্ট করেছেন আইপিএল (IPL)-এ দলের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই। তিনি বলেন, “দশটি দল বর্তমানে একটি ভালো সংখ্যা। টুর্নামেন্টের প্রতি ভক্তদের আগ্রহ এবং ক্রিকেটের গুণমান আমাদের কাছে অগ্রাধিকার।” তিনি ভক্তদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে জানান, আইপিএল প্রতি বছর বড় হচ্ছে এবং সম্প্রচার ও স্টেডিয়ামে দর্শক সংখ্যা অসাধারণ। এই সম্প্রসারণ আইপিএল-কে আরও প্রতিযোগিতামূলক এবং জনপ্রিয় করে তুলবে। ভক্তদের জন্য আরও উত্তেজনা নিয়ে আসবে।