আইপিএল ২০২৫-এর (IPL 2025) একটি রোমাঞ্চকর সুপার সানডে-তে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি) এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স (এমআই) তাদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের মাধ্যমে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে। দিনের প্রথম ম্যাচে আরসিবি রাজস্থান রয়্যালসকে নয় উইকেটে পরাজিত করেছে। দ্বিতীয় ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ১২ রানের রুদ্ধশ্বাস জয় অর্জন করেছে। এই ম্যাচগুলির পর অরেঞ্জ এবং পার্পল ক্যাপের তালিকায়ও কিছু পরিবর্তন দেখা গেছে।
দিনের প্রথম ম্যাচ: আরসিবি বনাম রাজস্থান রয়্যালস
রাজস্থান রয়্যালস প্রথমে ব্যাট করে যশস্বী জয়সওয়ালের দুর্দান্ত ৭৫ রানের সৌজন্যে ১৭৪ রানের লড়াকু স্কোর গড়ে। তবে, আরসিবির ওপেনার ফিল সল্ট (৬৫) এবং বিরাট কোহলির (৬২*) অসাধারণ ব্যাটিংয়ের সামনে এই রান তেমন বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। আরসিবি মাত্র এক উইকেট হারিয়ে ১৫ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। বিরাটের এই ইনিংস তাকে অরেঞ্জ ক্যাপের তালিকায় পঞ্চম স্থানে নিয়ে এসেছে।
দিনের দ্বিতীয় ম্যাচ: মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স বনাম দিল্লি ক্যাপিটালস
দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স প্রথমে ব্যাট করে তিলক বর্মার ৫৯, রায়ান রিকেলটনের ৪১, সূর্যকুমার যাদবের ৪০ এবং নমন ধীরের ১৭ বলে ৩৮* রানের বিস্ফোরক ইনিংসের সুবাদে ২০৫ রানের বিশাল স্কোর গড়ে। জবাবে দিল্লি ক্যাপিটালসের ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার করণ নায়ার প্রথম ম্যাচেই ৪০ বলে ৮৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। তবে, তিনি দলকে জয়ের দোরগোড়ায় নিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত দিল্লি ১২ রানে হেরে যায়। এই জয় মুম্বাইয়ের এই মরশুমে দ্বিতীয় জয়।
অরেঞ্জ ক্যাপ তালিকা
২৯তম ম্যাচের পরেও অরেঞ্জ ক্যাপের শীর্ষে রয়েছেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের নিকোলাস পুরান। তিনি ৬ ম্যাচে ৩৪৯ রান সংগ্রহ করেছেন, গড় ৬৯.৮০ এবং স্ট্রাইক রেট ২১৫.৪৩। দ্বিতীয় স্থানে আছেন গুজরাট টাইটান্সের সাই সুদর্শন। যিনি ৬ ম্যাচে ৩২৯ রান করেছেন, গড় ৫৪.৮৩ এবং স্ট্রাইক রেট ১৫১.৬১। তৃতীয় স্থানে লখনউয়ের মিচেল মার্শ। যিনি ৫ ম্যাচে ২৬৫ রান করেছেন। চতুর্থ স্থানে পাঞ্জাব কিংসের শ্রেয়াস আইয়ার ৫ ম্যাচে ২৫০ রান নিয়ে, এবং পঞ্চম স্থানে আরসিবির বিরাট কোহলি। যিনি ৬ ম্যাচে ২৪৮ রান করেছেন, গড় ৬২ এবং স্ট্রাইক রেট ১৪৩.৩৫। বিরাটের সাম্প্রতিক ৬২* রানের ইনিংস তাকে এই তালিকায় উঠে আসতে সাহায্য করেছে।
পার্পল ক্যাপ তালিকা
পার্পল ক্যাপের দৌড়ে শীর্ষে রয়েছেন চেন্নাই সুপার কিংসের নুর আহমেদ। যিনি ৬ ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়েছেন, গড় ১৩.১৬ এবং ইকোনমি রেট ৭.৯০। দ্বিতীয় স্থানে লখনউয়ের শার্দূল ঠাকুর ৬ ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়ে। দিল্লি ক্যাপিটালসের কুলদীপ যাদব মুম্বাইয়ের বিরুদ্ধে ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছেন। তিনি ৫ ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছেন, গড় ১১.২০ এবং ইকোনমি ৫.৬০। মুম্বাইয়ের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া এই ম্যাচে ২ ওভারে ২১ রান দিয়ে কোনো উইকেট না পাওয়ায় চতুর্থ স্থানে নেমে গেছেন। তার ৫ ম্যাচে ১০ উইকেট রয়েছে। পঞ্চম স্থানে গুজরাটের প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, যিনি ৬ ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছেন। তৃতীয় থেকে পঞ্চম স্থানের খেলোয়াড়দের উইকেট সংখ্যা সমান, তবে গড় এবং ইকোনমি রেটের ভিত্তিতে তাদের স্থান নির্ধারিত হয়েছে।