শেষ ফুটবল মরসুমের শুরুটা খুব একটা ভালো ছিল না ওডিশা এফসির (Odisha FC)। হতাশাজনক ভাবে শুরু করতে হয়েছিল ইন্ডিয়ান সুপার লিগ। পরাজিত হতে হয়েছিল টানা কয়েকটি ম্যাচ। তবে ম্যাচ এগোনোর সাথে সাথেই ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিল ওডিশা ফুটবল দল। গত বছরের শেষের দিকে দুর্বল মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে অমীমাংসিত ফলাফলে ম্যাচ শেষ করলেও নতুন বছর থেকেই একেবারে দুরন্ত ছন্দে ধরা দিয়েছিল হুগো বুমোসরা। যদিও তাঁর পরের ম্যাচে চেন্নাইয়িন এফসির সঙ্গে পয়েন্ট নষ্ট করতে হলেও ঘুরে দাঁড়াতে খুব একটা সমস্যা হয়নি ওডিশা এফসির (Odisha FC)।
অনায়াসেই তাঁরা আটকে দিয়েছিল কেরালা ব্লাস্টার্সকে। তারপর সেই ছন্দ বজায় রেখেই বেঙ্গালুরু এফসিকে টেক্কা দিয়েছিল সার্জিও লোবেরার ছেলেরা। যা নিঃসন্দেহে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছিল গোটা দলের। তবে সুপার সিক্সে স্থান করে নেওয়া একেবারেই সম্ভব হয়নি। তাঁদের টেক্কা দিয়ে চ্যাম্পিয়নশিপ রাউন্ডে চলে গিয়েছিল মুম্বাই সিটি এফসি। মাঝে দলের রিজার্ভ বেঞ্চকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে তরুণ গোলরক্ষক মানস দুবেকে নিলেও চূড়ান্ত সাফল্য পায়নি জগন্নাথের রাজ্যের এই ফুটবল দল। বলাবাহুল্য, সেবার প্রথম শিলং লাজং এফসির হয়ে যথেষ্ট দাপটের সাথে খেলতে দেখা গিয়েছিল এই গোলরক্ষককে।
বিশেষ করে ডুরান্ড কাপে তাঁর পারফরম্যান্স তাঁক লাগিয়ে দিয়েছিল সকলকে। পরবর্তীতে দেশের দ্বিতীয় ডিভিশন ফুটবল লিগ তথা আইলিগে ও যথেষ্ট নজর কেড়েছিলেন উত্তর প্রদেশের এই গোলরক্ষক। সবদিক মাথায় রেখেই তাঁকে দলে টেনেছিল আইএসএলের এই ফুটবল ক্লাব। এক্ষেত্রে মূলত দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে তাঁকে সই করিয়েছিল ওডিশা ম্যানেজমেন্ট। যা নিঃসন্দেহে বড়সড় চমক ছিল সকলের কাছে। কিন্তু পরবর্তীতে কলিঙ্গ সুপার কাপে তাঁকে নিয়ে সাফল্য পাওয়ার ভাবনা থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি। প্রথম ম্যাচে পাঞ্জাব এফসির কাছে পরাজিত হয়ে ছিটকে যেতে হয়েছিল টুর্নামেন্ট থেকে।
এবার এই গোলরক্ষককে নিয়ে উঠে আসছে নয়া তথ্য। বিশেষ সূত্র মারফত খবর, এই নয়া মরসুমের জন্য তাঁকে নিতে আগ্ৰহী আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের ইন্টার কাশী ফুটবল ক্লাব। সেইমতো কথাবার্তাও নাকি এগিয়ে গিয়েছে অনেকটা দূর। কিন্তু আগামী ২০২৭ সাল পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে চুক্তি রয়েছে ওডিশা এফসির (Odisha FC। শেষ পর্যন্ত তিনি বারাণসীর ক্লাবে যোগদান করেন কিনা এখন সেটাই দেখার।