শেষ মুহূর্তে ২০২৪–২৫ আই লিগে (I League 2024-25) শিরোপার লড়াই একেবারে টানটান উত্তেজনার মধ্যে দিয়ে চলছে। সেখানেই নিজেদের শক্তিশালী অবস্থান জানান দিল ইন্টার কাশী (Inter Kashi)। সোমবার শিলং-লাজং এফসিকে (Shillong Lajong FC) ঘরের মাঠে ২-১ গোলে পরাজিত করল আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের (Antonio Lopez Habas) দল। এই ম্যাচ জিতে শিরোপার আশা বাঁচিয়ে রাখল তারা। এই জয় এসেছে ঠিক একদিন পরে, যখন লিগের শীর্ষে থাকা চার্চিল ব্রাদার্স শ্রীনিধি ডেকানের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে হতাশ হয়েছে। এখন আগামী রবিবার চার্চিলের (Churchill Brothers) ঘরের মাঠে দুই দলের মধ্যে শিরোপা নির্ধারক ম্যাচের মঞ্চ তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশের ‘মেসি’ হামজাকে নিয়ে সতর্ক মার্কুয়েজ! কষছেন নতুন অঙ্ক
প্রথমার্ধে নিকোলা স্টোজানোভিচ ও মারিও বার্কোর গোলের সৌজন্যে অ্যান্তোনিও লোপেজ হাবাসের দল গুরুত্বপূর্ণ তিন পয়েন্ট অর্জন করেছে। এই জয়ের ফলে ইন্টার কাশী ২০ ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে চার্চিল ব্রাদার্সের সমান পয়েন্টে পৌঁছেছে। তবে হেড-টু-হেড রেকর্ডে পিছিয়ে থাকায় তারা দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এই পরিস্থিতি আগামী ম্যাচটিকে আরও রোমাঞ্চকর করে তুলেছে, যেখানে শিরোপার ভাগ্য নির্ধারিত হতে পারে।
শিলং লাজং দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুললেও ম্যাচের বেশিরভাগ সময় তারা ইন্টার কাশীর আধিপত্যের কাছে পরাস্ত হয়েছে। ২০ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে তারা সপ্তম স্থানে রয়েছে।
ইন্টার কাশী ম্যাচের শুরু থেকেই তীব্রতা ও উদ্দেশ্য নিয়ে খেলতে শুরু করে। তাদের আক্রমণাত্মক মনোভাব প্রথম দিকেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ব্রাইস মিরান্ডা এক চমৎকার থ্রু বলে বার্কোকে সুযোগ করে দেন, কিন্তু স্প্যানিশ স্ট্রাইকারের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। তবে ৩৩তম মিনিটে লাজংয়ের রক্ষণের দুর্বলতা প্রকাশ পায়। রেনান পলিনোর ভুল পাস ধরে স্টোজানোভিচ বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ে দুর্দান্ত শটে গোল করে লাজংয়ের গোলরক্ষক রানিত সরকারকে পরাস্ত করেন।
‘শূন্য’ কোটিপতি পন্থ! মার্শ-পুরানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২০৯, জ্বলে উঠল নাইটদের প্রাক্তন বোলার
মাত্র ছয় মিনিট পরে লাজংয়ের জন্য পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। এডমন্ড লালরিন্দিকা ডিফেন্ডারদের মাঝ দিয়ে একটি সূক্ষ্ম পাস দেন, আর বার্কো এবার কোনও ভুল না করে শান্তভাবে গোল করে ইন্টার কাশীর লিড দ্বিগুণ করেন। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে প্রশান্ত করুথাদাথকুনি এককভাবে গোলরক্ষকের সামনে এসেও সুযোগ নষ্ট করেন।
দ্বিতীয়ার্ধেও ইন্টার কাশী আধিপত্য বজায় রাখে এবং সুযোগ তৈরি করে, কিন্তু সরকারের দৃঢ়তার কারণে লাজং ম্যাচে টিকে থাকে। ৭৮তম মিনিটে লাজং অবশেষে গোলের দেখা পায়। ইন্টার কাশির ডিফেন্সের দুর্বল ক্লিয়ারেন্স থেকে বল পেয়ে থাংখিয়েউ দারুণ টাচ নিয়ে নিচু শটে গোলরক্ষক অরিন্দম ভট্টাচার্যকে পরাজিত করেন।
১৬ বছর পর ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে জাপানের পর বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন কিউইর
শেষ মুহূর্তে লাজংয়ের চাপ সত্ত্বেও ইন্টার কাশী তাদের রক্ষণাত্মক গঠন বজায় রেখে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে রাখে। স্টপেজ টাইমে বার্কো দুই গোলের লিড ফিরিয়ে আনার সুযোগ পান, কিন্তু গোলরক্ষকের সামনে শট মিস করেন।
এই জয়ের মাধ্যমে ইন্টার কাশী শিরোপার দৌড়ে নিজেদের শক্ত অবস্থান জানান দিয়েছে। আগামী রবিবার চার্চিল ব্রাদার্সের বিপক্ষে ম্যাচটি এখন সবার নজর কাড়ছে, কারণ এটি হতে পারে শিরোপা নির্ধারক লড়াই।