আইলিগের প্রথম বছরটা খুব একটা মধুর ছিল না ইন্টার কাশী ফুটবল (Inter Kashi FC) ক্লাবের। অনবদ্য লড়াই করে ও চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়ে ছিল না বারাণসীর এই দল। যা নিঃসন্দেহে হতাশ করেছিল সকলকে। তবে পরবর্তীতে স্প্যানিশ কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল দলের দায়িত্ব। যা নিঃসন্দেহে বড়সড় চমক ছিল সকলের কাছেই। এই হাইপ্রোফাইল কোচের হাত ধরেই আইলিগ অভিযান শুরু করেছিল সুমিত পাসিরা। প্রথম ম্যাচেই তাঁরা আটকে দিয়েছিল স্পোটিং ক্লাব বেঙ্গালুরুকে। পরবর্তীতে ও বজায় থেকেছে সেই জয়ের ধারা। মাঝে চার্চিল ব্রাদার্সের পাশাপাশি রিয়াল কাশ্মীরের মতো দল গুলির কাছে আটকে যেতে হলেও সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে খুব একটা সমস্যা হয়নি তাঁদের।
সময় যত এগিয়েছিল ততোই নিজেদের দুরন্ত ছন্দে ধরা দিয়েছিল বারাণসীর এই দল। যারফলে দেশের দ্বিতীয় ডিভিশন ফুটবল লিগ তথা আইলিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অন্যতম দাবিদার হিসেবে উঠে এসেছিল আইলিগের এই দল। এক্ষেত্রে তাঁদের অন্যতম প্রতিপক্ষ ছিল চার্চিল ব্রাদার্স। তবে পরিস্থিতি খুব একটা সহজ ছিল না। টুর্নামেন্টের শেষের দিকে পয়েন্ট বিভাজনকে কেন্দ্র করে দেখা দিয়েছিল নানা জটিলতা। পরবর্তীতে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা অনুকূলে আনার প্রচেষ্টা থাকলেও সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। যারফলে গত সিজনের আইলিক চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আদো কাদের হাতে উঠবে ট্রফি সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি।
এসবের মাঝেই নতুন সিজনের জন্য ঘর বোঝাতে শুরু করে দিয়েছে প্রত্যেকটি ফুটবল ক্লাব। খুব একটা পিছিয়ে নেই ইন্টার কাশী। নয়া ফুটবলারদের চূড়ান্ত করার পাশাপাশি দলের মধ্যে বেশকিছু বদল করার ও পরিকল্পনা ছিল এই শক্তিশালী ফুটবল ক্লাবের। এক্ষেত্রে বারংবার উঠে আসতে শুরু করেছিল একাধিক ভারতীয় ফুটবলারদের নাম। যার মধ্যে গত কয়েকদিন আগেই এস কে সাহিলকে রিলিজ করে দিয়েছিল ইন্টার কাশী। তবে সেখানেই শেষ নয়। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে বাঙালি ফুটবলার নারায়ণ দাসের নাম।
গত মরসুমে দলের হয়ে প্রায় একুশটি ম্যাচ খেলেছিলেন এই ডিফেন্ডার। সুযোগ মতো নিজেকে মেলে ধরার চেষ্টা করেছেন প্রত্যেক ক্ষেত্রেই। কিন্তু তাঁকে নিয়ে খুব একটা খুশি ছিল না ম্যানেজমেন্ট। সেজন্যই এবার তাঁকে বিদায় জানাল আইলিগের এই ফুটবল দল।