গত সপ্তাহের শেষেই আইএসএলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বেঙ্গালুরু এফসির মুখোমুখি হয়েছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল। প্রথমার্ধের প্রথম কোয়ার্টারে রাফায়েল মেসি বাউলির গোলে দল এগিয়ে থাকলেও কাজের কাজ তেমন কিছুই হয়নি। বরং ম্যাচের শেষ মুহুর্তে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান সুনীল ছেত্রী। যারফলে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াই থেকে একেবারেই ছিটকে যায় মশাল ব্রিগেড। সেই নিয়ে যথেষ্ট হতাশা দেখা দিয়েছিল লাল-হলুদ সমর্থকদের মধ্যে। । হিসাব অনুযায়ী দেখলে সুপার সিক্সের লড়াইয়ে নিজেদের টিকিয়ে রাখতে হলে শেষ দুইটি ম্যাচে জয় পেতে হত ইস্টবেঙ্গলকে। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি।
এমনকি পরবর্তীতে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দেওয়া প্রধান লক্ষ্য থাকলেও সেটা কার্যকরী হয়নি। গত বুধবার নিজেদের ঘরের মাঠে তুর্কমেনিস্তানের শক্তিশালী ফুটবল ক্লাব আরকাদাগ এফকের কাছে ধরাশায়ী হতে হয় মশাল ব্রিগেডকে। প্রথমার্ধের প্রথম কোয়ার্টারের শেষের দিকেই সুযোগ বুঝে বল গোলে ঠেলে দিয়ে যান ইয়াজগিলিচ গুরবানভ। যার কোনও জবাব ছিল না লাল-হলুদ ডিফেন্ডারদের কাছে। যারফলে আনোয়ার আলির (Anwar Ali) অনুপস্থিতি যেন ব্যাপকভাবে প্রকাশ পাচ্ছিল গোটা ম্যাচ জুড়ে।
উল্লেখ্য, গত রবিবার বেঙ্গালুরু ম্যাচ খেলতে গিয়ে চোটের সমস্যায় পড়তে হয়েছিল দলের এই তারকা ডিফেন্ডারকে। যারফলে প্রথমার্ধের তিরিশ মিনিটের মাথায় তাঁকে উঠিয়ে নিয়ে জিকসন সিংকে মাঠে নামাতে বাধ্য হয়েছিলেন অস্কার ব্রুজন। যা নিঃসন্দেহে বড়সড় ধাক্কা ছিল সকলের কাছেই। ম্যাচ পরবর্তীতে সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত থেকে দলের হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পাশাপাশি আনোয়ারের চোট নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন দলের স্প্যানিশ কোচ। যা স্পষ্ট হয়ে যায় গত মঙ্গলবার। বর্তমানে যা পরিস্থিতি তাঁতে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরতে প্রায় সপ্তাহ কয়েক সময় লাগবে আনোয়ার আলির।
এই পরিস্থিতিতে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের কোন ও ম্যাচেই তাঁকে মাঠে পাবে না ইস্টবেঙ্গল। তবে শুধুমাত্র ক্লাব ফুটবল টুর্নামেন্ট নয়। যতদূর খবর, সেক্ষেত্রে হয়তো আসন্ন এএফসি এশিয়ান কাপ কোয়ালিফিকেশনের ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ও খেলতে পারবেন না এই তারকা সেন্টার ব্যাক। যদিও এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয় বিষয়টি। এক্ষেত্রে পরিস্থিতি বুঝে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন কোচ মানোলো মার্কুয়েজ।