প্রথম ম্যাচে জাপানের বিরুদ্ধে কার্যত খরকুটোর মতো উড়ে গিয়েছিল ভারতীয় মহিলা দল (Indian Women’s Football Team)। যা নিয়ে প্রবল হতাশা দেখা দিয়েছিল সকলের মধ্যে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে ভিয়েতনামের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়াতে বদ্ধপরিকর ছিল সুলঞ্জনারা। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। গতকাল ভিয়েতনামের বিপক্ষে ৩-১ গোলের ব্যবধানে ফের পরাজিত হতে হয় ভারতকে।
যারফলে, সেদিনই অনিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল পরবর্তী রাউন্ডের রাস্তা। অবশেষে সেটাই সত্যি হল এবার। পরিসংখ্যান অনুযায়ী আগামী বছরের অলিম্পিক্সে যাওয়ার রাস্তা কার্যত বন্ধ হয়ে গেল তাদের। গোটা ম্যাচের অধিকাংশ সময় জুড়েই দাপিয়ে বেড়ায় ভিয়েতনামের ফুটবলাররা। তারপর ৮০ মিনিটের মাথায় সন্ধ্যা রঙ্গনাথনের করা গোলে ব্যবধান কমলেও প্রতিপক্ষ দলকে আটকানোর জন্য সেই লড়াই যথেষ্ট ছিল না।
কিন্তু কেন এই পরিস্থিতি? আসলে প্রথম ম্যাচের ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার জন্য ভিয়েতনাম ম্যাচের আগে একাধিক বদল এনে ছিলেন ভারতীয় দলের কোচ। বালা দেবী মূলত দক্ষ ফরোয়ার্ড হিসেবে বিবেচিত হলেও সেদিন মাঝমাঠেই তাকে রাখেন কোচ। পাশাপাশি দুই উইংয়ের পাশাপাশি উপরের দিকে খেলানো হয় অঞ্জু তামাং ও সঞ্জুকে। যা নিয়ে অবাক হয়েছিলেন অনেকেই।
তবে সেখানেই শেষ নয়, দলের রক্ষনভাগের ফুটবলারদের মধ্যে ও শুরু থেকে দেখা গিয়েছিল যথেষ্ট বোঝাপড়ার অভাব। যার সুযোগ নেন এনগুয়েনরা। মাঝমাঠ থেকে থ্রু ধরে অনায়াসেই একটি ভাসানো পাস আসে হুইন নুকে। তারপর সেখান থেকেই আসছে ভিয়েতনামের প্রথম গোল। ম্যাচের মাত্র চার মিনিটের মাথায় চলে আসে প্রথম গোল। তারপর দশ মিনিটের মাথায় ফের আক্রমণে উঠে আসলে কোনো রকমে পরিস্থিতি সামাল দেন ভারতীয় ডিফেন্ডাররা।
তবে বাইশ মিনিটের মাথায় থি ভ্যানের জোড়ালো পাস থেকে গোল করে দলকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন হাই লিন। প্রথমার্ধের শেষে এই দুইটি গোলের ব্যবধানে ও এগিয়ে থাকে ভিয়েতনাম। তবে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ভারতীয় দলের তরফ থেকে ফের ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা থাকলেও কাজে আসেনি সেটি। ৭৩ মিনিটের মাথায় তৃতীয় গোল করেন ফ্যাম হাই ইয়েন। এই ব্যবধান সামাল দিতে গিয়ে কার্যত নাজেহাল হয়ে পড়ে ভারতীয় দল। আর ফেরা সম্ভব হয়নি ম্যাচের মধ্যে। এরপর উজবেকিস্তান দলের সাথে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচ খেলবে ভারত।
