মিউনিখে শুক্রবার মহিলাদের ১০ মিটার এয়ার পিস্তল ফাইনালে ১৯ বছর বয়সী ভারতীয় শ্যুটার সুরুচি সিং (Suruchi Singh) অত্যন্ত নাটকীয়ভাবে তৃতীয় টানা ISSF বিশ্বকাপ সোনা জিতেছেন। তিনি ভারতীয় শুটিংয়ের উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আট প্রতিযোগীর ফাইনালে তিনি ২৪১.৯ স্কোর করে ফ্রান্সের প্যারিস অলিম্পিক রূপো পদক বিজয়ী ক্যামিল জেদ্রজেওস্কির (২৪১.৭) থেকে মাত্র ০.২ পয়েন্ট এগিয়ে প্রথম হন। চীনের ইয়াও কিয়ানক্সুয়ান ২২১.৭ স্কোর নিয়ে ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করেন।
জাতীয় চ্যাম্পিয়ন সুরুচি এ বছর বুয়েনস আইরেস এবং লিমায় প্রথম দুটি বিশ্বকাপ পর্বেও এই ইভেন্টে সোনা জিতেছিলেন। বুয়েনস আইরেসে তার অভিষেক টুর্নামেন্টে শুরু থেকেই তিনি অপ্রতিরোধ্য। গত ডিসেম্বরের জাতীয় প্রতিযোগিতা থেকে তার অসাধারণ ফর্ম অব্যাহত রয়েছে। কোয়ালিফিকেশনে তিনি ৫৮৮ স্কোর করে অলিম্পিক পদকজয়ী মনু ভাকেরের জাতীয় রেকর্ডের সমকক্ষ হন। ইয়াও ৫৮৯ স্কোর নিয়ে জুনিয়র বিশ্ব রেকর্ড গড়ে ১১০ জনের কোয়ালিফিকেশন ফিল্ডে শীর্ষে থাকেন। মানু ৫৭৪ স্কোর নিয়ে ২১তম এবং পলক ৫৭০ স্কোর নিয়ে ৩০তম হন।
ফাইনালে সুরুচি প্রথম সিরিজে ৫২.১ স্কোর করে এগিয়ে যান, কিন্তু দ্বিতীয় পাঁচ-শট সিরিজে দ্বিতীয় স্থানে নেমে যান। ১১তম শটে ৯.৭ স্কোর তাকে চতুর্থ স্থানে নামায়, তবে এটি তার মধ্যে নতুন উদ্যম জাগায়। ১২তম শটে ১০.৮ স্কোর করে তিনি পুনরায় নেতৃত্ব নেন। ক্যামিল এবং ইয়াও তাকে কঠিন টক্কর দেন। ১৮তম শটে ক্যামিল সুরুচির কিছু ৯ স্কোরের সুযোগ নিয়ে এগিয়ে যান। ২২তম শটে ইয়াওর ৯.৪ স্কোরের পর সুরুচি দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসেন, তখন তিনি ক্যামিলের থেকে ০.৫ পিছিয়ে ছিলেন। ২৩তম শটে সুরুচির ১০.৫ এবং ক্যামিলের ৯.৫ স্কোর তাকে ০.৫ পয়েন্টের লিড এনে দেয়। শেষ শটে উভয়ের ৯ স্কোর সত্ত্বেও সুরুচি জয় নিশ্চিত করেন।
ধারাভাষ্যকার হিসেবে থাকা মনু ভাকের সুরুচির এই জয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ফাইনালে সুরুচি কিছুটা উত্তেজিত মনে হয়েছেন। সুরুচি বলেন, “এটি আমার তিনটি বিশ্বকাপ ফাইনালের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন ছিল, ভাগ্যও আমাকে সাহায্য করেছে।” এই টুর্নামেন্টে এটি ভারতের প্রথম স্বর্ণপদক। এর আগে অঞ্জুম মৌদগিল এবং সিফট কৌর সামরা ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন।