প্রিয় ক্লাবের হয়ে খেলা ভারতীয় বিশ্ব ফুটবলে দ্রুত গতির ফুটবলারের তালিকায়

ফুটবল শুধুমাত্র কৌশল এবং টেকনিকের খেলা নয়। বরং এটি একজন খেলোয়াড়ের শারীরিক সক্ষমতার ওপরও অনেক নির্ভর করে। মাঠে দক্ষতা এবং গতি উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ। দ্রুতগামী খেলোয়াড়রা…

Indian Footballer Lallianzuala Chhangte in Top 40 Fastest Football Players

ফুটবল শুধুমাত্র কৌশল এবং টেকনিকের খেলা নয়। বরং এটি একজন খেলোয়াড়ের শারীরিক সক্ষমতার ওপরও অনেক নির্ভর করে। মাঠে দক্ষতা এবং গতি উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ। দ্রুতগামী খেলোয়াড়রা দলের জন্য বিভিন্নভাবে উপকারী, বিশেষ করে দ্রুত কাউন্টার-অ্যাটাক বা প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের পেছনে ফেলতে তারা অমূল্য। ২০২৪ সালের শীর্ষ ৪০ দ্রুততম ফুটবল খেলোয়াড়দের (Top 40 Fastest Football Players) তালিকায় রয়েছে বিশেষ চমক। কারণ এই তালিকায় রয়েছে এক জন ভারতীয় ফুটবলারের (Indian Footballer) নাম।

বিদেশি তারকার সঙ্গে চুক্তি বাড়ানোর পরিকল্পনা মুম্বই

২০২৪ সালের শীর্ষ ৪০ দ্রুততম ফুটবলার :

৪০. লালিয়ানজুয়ালা ছাংতে (৩৫.১৮ কিমি/ঘণ্টা)
আইএসএল ২০২৩-২৪ মরসুমে মুম্বই সিটি এফসির ফুটবলার লালিয়ানজুয়ালা ছাংতে (Lallianzuala Chhangte) তার গতি দিয়ে সকলকে মুগ্ধ করেছেন। “মিজো ফ্ল্যাশ” নামে পরিচিত এই উইঙ্গারের গতি ছিল ৩৫.১৮ কিমি/ঘণ্টা, যা তাকে ভারতীয় ফুটবলে অন্যতম দ্রুততম খেলোয়াড় করে তুলেছে।

৩৯. শেরাল্ডো বেকার (৩৫.৫৭ কিমি/ঘণ্টা)
জার্মান বুন্দেসলিগার ইউনিয়ন বার্লিনের উইঙ্গার শেরাল্ডো বেকার। বায়ার্ন মিউনিখের আলফনসো ডেভিসের সঙ্গে সমান গতি রেকর্ড করেছেন। তার গতি তাকে একধাপ এগিয়ে নিয়ে যায় এবং এটি তাকে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের থেকে বেশ কিছুটা এগিয়ে রাখে।

৩৮. থিও হার্নান্দেজ (৩৫.৭ কিমি/ঘণ্টা)
এসি মিলানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়, থিও হার্নান্দেজ তার দ্রুত গতির জন্য অনেক প্রশংসা কুড়িয়েছেন। তার সিজনে গতি ছিল ৩৫.৭ কিমি/ঘণ্টা, যা তাকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্রুততম খেলোয়াড়দের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।

নিজামদের পাঁচ ম্যাচে জয় অধরা, দ্বিতীয় লক্ষ্য খালিদের

৩৭. রাফা সিলভা (৩৫.৯ কিমি/ঘণ্টা)
বেঞ্জিকা ক্লাবের রাফা সিলভা তার গতির মাধ্যমে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের টপকে যাওয়ার জন্য পরিচিত। ৩৫.৯ কিমি/ঘণ্টা গতির রেকর্ডটি সে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অর্জন করেছে।

৩৬. ব্রায়ান এমবেমো (৩৫.৯৪ কিমি/ঘণ্টা)
ব্রেন্টফোর্ডের ব্রায়ান এমবেমো তার গতির কারণে খুব দ্রুত আলোচনায় চলে আসেন। ২০২৩-২৪ মরসুমে চেলসির বিরুদ্ধে ৩৫.৯৪ কিমি/ঘণ্টা গতিতে তিনি প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের পিছনে ফেলে দিয়েছিলেন।

৩৫. জাস্টিন ডিহল (৩৬.০৮ কিমি/ঘণ্টা)
জার্মান বুন্দেসলিগার ভিএফবি স্টুটগার্টের খেলোয়াড় জাস্টিন ডিহল ৩৬.০৮ কিমি/ঘণ্টা গতির রেকর্ড করেছেন। তার গতি তাকে প্রতিপক্ষের থেকে কয়েক সেকেন্ড এগিয়ে রাখে, যা দলকে অনেক সুযোগ তৈরি করতে সাহায্য করে।

৩৪. কিলিয়ান এমবাপে (৩৬.০৮ কিমি/ঘণ্টা)
ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপে পিএসজি ত্যাগ করে রিয়াল মাদ্রিদে চলে গেছেন, কিন্তু তার গতি এখনও অপরিবর্তিত। তার দ্রুতগতির জন্য কোনো ডিফেন্ডার তাকে সহজেই থামাতে পারে না। কারণ তার গতি কাউন্টার-অ্যাটাকগুলোতে বিশেষভাবে উপকারী।

গোকুলামের বিপক্ষে ‘ডু অর ডাই’ হাবাসের ইন্টার কাশীর কেন?

৩৩. ডেনিস জাকারিয়া (৩৬.০৯ কিমি/ঘণ্টা)
চেলসির ডেনিস জাকারিয়া গতির দিক থেকে চমকপ্রদ পারফরম্যান্স প্রদর্শন করেছেন। ৩৬.০৯ কিমি/ঘণ্টা গতিতে তিনি বুন্দেসলিগার ম্যাচগুলিতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন।

৩২. ডোমিনিক সোলাঙ্কে (৩৬.১০ কিমি/ঘণ্টা)
বর্ণবহুল ফুটবল ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে থাকলেও ডোমিনিক সোলাঙ্কে তার দ্রুতগতির জন্য সবার নজর কেড়েছেন। তিনি ৩৬.১০ কিমি/ঘণ্টা গতিতে টটেনহ্যাম হটস্পার্সের বিরুদ্ধে একটি ম্যাচে নিজের গতি দেখিয়েছেন।

৩১. নুনো তাভারেস (৩৬.২ কিমি/ঘণ্টা)
ফ্রান্সের মার্সেই ক্লাবের নুনো তাভারেস চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্রুততম খেলোয়াড়দের তালিকায় ছিলেন, তার গতি ছিল ৩৬.২ কিমি/ঘণ্টা।

৩০. আর্লিং হল্যান্ড (৩৬.২২ কিমি/ঘণ্টা)
ম্যানচেস্টার সিটির স্ট্রাইকার আর্লিং হল্যান্ড কাউন্টার-অ্যাটাক গুলিতে তার গতি দিয়ে বহুবার ম্যাচের ভাগ্য পাল্টে দিয়েছেন। তার গতি ৩৬.২২ কিমি/ঘণ্টা ছিল।

২৯. ফেডেরিকো ভালভারদে (৩৬.৩ কিমি/ঘণ্টা)
রিয়াল মাদ্রিদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়, ফেডেরিকো ভালভারদে, তার গতি দিয়ে মাঠে ধারাবাহিকভাবে প্রতিপক্ষকে চমকে দিয়েছেন। তার গতির রেকর্ড ছিল ৩৬.৩ কিমি/ঘণ্টা।

বেঙ্গালুরুর বধ করে কী বললেন লোবেরা? জানুন

Advertisements

২৮. তাহিথ চং (৩৬.৩৭ কিমি/ঘণ্টা)
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এক সময়ের একাডেমি গ্র্যাজুয়েট, তাহিথ চং বর্তমানে লুটন টাউনে খেলা সত্ত্বেও তার গতির জন্য সমাদৃত।

২৭. আখরাফ হাকিমি (৩৬.৪৯ কিমি/ঘণ্টা)
পিএসজির হাকিমি তার অসাধারণ গতি এবং শারীরিক শক্তি দিয়ে ডিফেন্ডারদের চ্যালেঞ্জ করেছেন। তার গতি ছিল ৩৬.৪৯ কিমি/ঘণ্টা।

২৬. রাফায়েল লিও (৩৬.৫ কিমি/ঘণ্টা)
এসি মিলানের রাফায়েল লিও তার দুর্দান্ত গতি এবং দক্ষতার জন্য খ্যাত। তার গতির রেকর্ড ছিল ৩৬.৫ কিমি/ঘণ্টা।

২৫. আলফনসো ডেভিস (৩৬.৫১ কিমি/ঘণ্টা)
বায়ার্ন মিউনিখের আলফনসো ডেভিসের গতি অপরিসীম। তার গতি এবং বক্সে প্রবেশের দক্ষতা বায়ার্ন মিউনিখের আক্রমণকে আরও গতিশীল করে তোলে।

২৪. মৌসা দিয়াবি (৩৬.৫২ কিমি/ঘণ্টা)
ফ্রান্সের মৌসা দিয়াবি বর্তমানে সাউদি প্রো লিগে খেলছেন। তার গতি ছিল ৩৬.৫২ কিমি/ঘণ্টা।

নেই জোভানোভিচ, বাড়তি অ্যাডভান্টেজ বাগানের

বিশ্ব ফুটবলে দ্রুতগতির খেলোয়াড়দের মধ্যে এক নতুন নজির তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক তালিকায় ফুটবলের দ্রুততম ২৫ জন খেলোয়াড়ের নাম উঠে এসেছে, যেখানে শীর্ষে রয়েছেন ইংল্যান্ডের কাইল ওয়াকার (৩৭.৩১ কিমি/ঘণ্টা)। তবে তাকে টপকে প্রথম স্থানে রয়েছেন মিকি ভ্যান ডে ভেন, যিনি ৩৭.৩৮ কিমি/ঘণ্টা গতিতে দৌড়ে আসেন, যা তাকে বিশ্বের দ্রুততম ফুটবলার করে তুলেছে।

এছাড়া, এই তালিকায় লিভারপুলের দারুণ গতি সম্পন্ন ফরোয়ার্ড মহম্মদ সালাহ (৩৬.৬ কিমি/ঘণ্টা) এবং আর্সেনালের উদীয়মান তারকা ডমিনিক সোবোসলাই (৩৬.৭৬ কিমি/ঘণ্টা) স্থান পেয়েছেন। দুর্দান্ত গতির জন্য পরিচিত অ্যাডামা ট্রাওরেও (৩৬.৬ কিমি/ঘণ্টা) তালিকায় রয়েছে।

শুধু গোল স্কোর করা নয়, মাঠে তীব্র গতির সঙ্গে আক্রমণাত্মক খেলা ফুটবলারদের জন্য তাদের দলের জন্য একটি বড় সম্পদ হয়ে ওঠে। এই তালিকায় আরও অনেক তরুণ খেলোয়াড়ের নাম উঠে এসেছে। যারা ভবিষ্যতে বিশ্ব ফুটবলে নিজেদের শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হবে বলে মনে করা হচ্ছে।