বাছাইপর্বের আগে বড় চ্যালেঞ্জ, ইরাকের মুখোমুখি সুহেল-অভিষেকদের সতীর্থরা

এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বের (AFC U23 Asian Cup Qualifiers) আগে ভারতীয় দলের (Indian Football Team U-23) সামনে আরও এক কঠিন পরীক্ষা। ২৮ আগস্ট…

U23 Indian Football Team coach Naushad Moosa renews contract with NorthEast United FC

এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বের (AFC U23 Asian Cup Qualifiers) আগে ভারতীয় দলের (Indian Football Team U-23) সামনে আরও এক কঠিন পরীক্ষা। ২৮ আগস্ট তথা বৃহস্পতিবার, কুয়ালালামপুর ফুটবল স্টেডিয়ামে ইরাক অনূর্ধ্ব-২৩ দলের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে মাঠে নামবে জুনিয়র ব্লু টাইগার্সরা।

প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে ভারত ১-২ গোলে হেরে গেলেও কোচ নৌসাদ মুসা (Naushad Moosa) সেই ম্যাচকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন। ম্যাচ শেষে তিনি জানান, “এটি ছিল একটি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ এবং আমাদের জন্য খুবই মূল্যবান অভিজ্ঞতা। এই ধরনের ম্যাচ ছেলেদের আন্তর্জাতিক ফুটবলের চাহিদা বুঝতে সাহায্য করে এবং আমাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস জোগায় যে আমরা লড়াই করতে পারি।”

   

মুসা আরও বলেন, “ছেলেরা দ্রুত মানিয়ে নিচ্ছে এবং শেখার ইচ্ছা দারুণ। এমন মানসিকতা ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খেলোয়াড়দের প্রচেষ্টা, মনোভাব এবং লড়াইয়ের স্পৃহা আমাকে সন্তুষ্ট করেছে।”

প্রথম ম্যাচ থেকে শিক্ষা নিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে পরিবর্তন আনার ইঙ্গিতও দিয়েছেন কোচ। তিনি বলেন, “আমরা কিছু পরিবর্তন করব, নতুন কম্বিনেশন চেষ্টা করব এবং আরও খেলোয়াড়দের সুযোগ দেব। আমাদের লক্ষ্য হল গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং কৌশলগত সংহতি বাড়ানো।”

Advertisements

ভারতীয় যুব দলের জন্য এই প্রস্তুতি ম্যাচটি শুধু একটি প্রীতি ম্যাচ নয়, বরং কাতারে অনুষ্ঠেয় এএফসি বাছাইপর্বের আগে একপ্রকার মহড়া। ইরাকের মতো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলে নিজেদের দুর্বলতা ও শক্তি যাচাই করার এক দুর্দান্ত সুযোগ এটি।

ইরাক অনূর্ধ্ব-২৩ দল ঐতিহ্যগতভাবে এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী দল হিসেবে পরিচিত। তাদের বিপক্ষে ম্যাচ মানে হলো কড়া পরীক্ষা। তবে ভারতীয় শিবির আত্মবিশ্বাসী। দলের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব, কঠোর পরিশ্রম এবং কৌশলগত উন্নতির লক্ষ্যে কাজ চলছে পুরোদমে।

ভারতীয় কোচ জানিয়েছেন, “এই ম্যাচগুলি আমাদের প্রস্তুতির একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। আমাদের প্রধান লক্ষ্য হলো দলগত বোঝাপড়া বাড়ানো, চাপের মধ্যে পারফরম্যান্স উন্নত করা এবং ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে দোহায় প্রবেশ করা।”