Indian Football Team to play Thailand in FIFA International Friendly on 4 June ahead of AFC Asian Cup 2027 qualifiers
এএফসি এশিয়ান কাপ ২০২৭ (AFC Asian Cup 2027) বাছাই পর্বের ফাইনাল রাউন্ডে অংশ নিচ্ছে ভারতীয় ফুটবল দল (Indian Football Team)। তার আগেই নিজেদের আরও প্রস্তুত করতে আন্তর্জাতিক প্রীতি (International Friendly) ম্যাচে মাঠে নামতে চলেছে ব্লু টাইগার্সরা। আগামী ৪ জুন, ২০২৫ বুধবার থাইল্যান্ডের রাজধানীর নিকটে থামাসাত স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে ভারত ও থাইল্যান্ড (India vs Thailand)। এই ম্যাচ ভারতের জন্য শুধু একটা সাধারণ প্রস্তুতি ম্যাচ নয়, বরং এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের আগে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার একটা বড় সুযোগ মানোলো মার্কুয়েজের (Manolo Marquez) ছাত্রদের সামনে।
ভারতের কোচ মানোলো মার্কুয়েজ ইতিমধ্যেই বুঝে গিয়েছেন, টানা ম্যাচ না খেলায় দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাব তৈরি হয়েছে। সেই ঘাটতি পূরণ করতেই থাইল্যান্ডের বিপক্ষে একটি শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হিসেবে ম্যাচ খেলতে চলেছে সুনীল ছেত্রীদের দল। ফিফা র্যাঙ্কিং অনুসারে থাইল্যান্ড রয়েছে ৯৯ নম্বরে, অন্যদিকে ভারত রয়েছে ১২৭তম স্থানে। কাজেই, শক্ত প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলে দলটির মধ্যে বোঝাপড়া এবং ম্যাচ ফিটনেস ফিরে পাওয়া সম্ভব বলেই মনে করছেন ভারতীয় কোচ।
দিল্লি বধ করেই এই নতুন অঙ্কে প্লে-অফের স্বপ্ন দেখছে নাইটরা
ভারতীয় দল আগামী ১৮ মে থেকে কলকাতায় প্রস্তুতি শিবির শুরু করবে। এরপর ২৯ মে থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে দল। সেখানে ৪ জুন ম্যাচ খেলেই তারা সরাসরি হংকং চলে যাবে, যেখানে ১০ জুন তাদের বাছাইপর্বের পরবর্তী ম্যাচ। এই ম্যাচটি ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ গ্রুপ ‘সি’ তে থাকা চারটি দলই আপাতত সমান ১ পয়েন্ট করে নিয়ে রয়েছে। মার্চ মাসে প্রথম ম্যাচে ভারত শিলংয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করেছিল। একই দিনে সিঙ্গাপুর বনাম হংকং ম্যাচটিও ড্র হয়।
গ্রুপ ‘সি’-তে রয়েছে ভারত, হংকংয়, বাংলাদেশ এবং সিঙ্গাপুর। সব দলই সমান শক্তিশালী হলেও ভারতীয় দলের লক্ষ্য থাকবে অ্যাওয়ে ম্যাচ থেকে সর্বাধিক পয়েন্ট সংগ্রহ করা। কারণ ঘরের মাঠে সুবিধা করে নিতে গেলে বাইরে থেকে পয়েন্ট আনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ক্র্যাটকি বনাম জামিল হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে কালিঙ্গতে উত্তেজনার মহারণ
ভারত ও থাইল্যান্ড এখন পর্যন্ত মোট ২৬ বার একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে। এর মধ্যে ভারত জিতেছে ৭টি ম্যাচে, হার মেনেছে ১২টিতে, এবং ৭টি ম্যাচ ড্র হয়েছে। যদিও শেষ দুই ম্যাচে (২০১৯ সালে) থাইল্যান্ডকে পরাজিত করেছিল ভারত। একবার এএফসি এশিয়ান কাপে ৪-১ ব্যবধানে, এবং পরের বার কিংস কাপে ১-০ ব্যবধানে। সেই অতীত রেকর্ড কিছুটা হলেও ভারতের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে।
তবে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স ভারতীয় দলের পক্ষেই কথা বলছে না। গত একবছরে বড় মঞ্চে খুব বেশি ম্যাচ খেলেনি ব্লু টাইগার্স। তাই একদিকে যেমন দলের ফিটনেস এবং ট্যাকটিক্যাল বোঝাপড়া বাড়ানো দরকার, অন্যদিকে মানসিকভাবে খেলোয়াড়দের তৈরি করাও জরুরি হয়ে উঠেছে। কোচ মানোলো মার্কুয়েজ সেই কাজেই মন দিয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বে সুনীল ছেত্রী, মনবীর সিং, বিশাল কাইথদের নিয়ে গঠিত দলটি আরও সংগঠিত হয়ে মাঠে নামবে বলে আশাবাদী ভারতীয় ফুটবলপ্রেমীরা।
জামশেদপুরকে হুঙ্কার দিয়ে ‘বিস্ফোরক’ মুম্বই কোচ ক্র্যাটকি
সব মিলিয়ে জুন মাসের প্রথম ভাগটা ভারতীয় ফুটবলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। প্রথমে থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রস্তুতি ম্যাচ, তারপর হংকংয়ের বিপক্ষে বাছাইপর্বে জয় অর্জনের লড়াই – এই দুটি ম্যাচই ঠিক করে দেবে ভারত কোন পথে এগোবে এশিয়ান কাপ ২০২৭-এর যোগ্যতা অর্জন পর্বে।