ব্রিসবেনে ভারতের ক্রিকেট দলের (Indian Cricket Team) প্রথম দিনের পারফরম্যান্স এবং অধিনায়ক (Captain) রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) টস জয় নিয়ে আলোচনা চলছে। পুরো দিনেই গাব্বার (Gabba) ২২ গজ ছিল কালো মেঘে ঢাকা। ইনিংসের প্রথম সেশনে মাত্র ১৩.২ ওভার খেলা সম্ভব হয়েছিল এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেশনে এক বলও হয়নি। তবে, এই সীমিত সময়ে ভারতের বোলাররা যা উপহার দিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে, ভারতের পেস আক্রমণ যশপ্রীত বুমরাহ (Jasprit Bumrah) এবং মহম্মদ সিরাজের (Mohammed Siraj) শুরুটা ছিল আশানুরূপ । রোহিত শর্মা টস জিতে অস্ট্রেলিয়া (Australia) ক্রিকেট দলকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন। কারণ ব্রিসবেনের আকাশ ছিল মেঘলা, পিচে ছিল কিছুটা ঘাস এবং মাটি ছিল নরম। রোহিতের আশা ছিল নতুন বলে এই পরিস্থিতি কাজে লাগিয়ে ভারতীয় বোলাররা উইকেট তুলে নেবেন, কিন্তু সে আশা পূর্ণ হয়নি।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বিতর্কের মধ্যে জোড়া ধাক্কা পাকিস্তান দলে
রোহিত শর্মা টস জিতে বলেছিলেন, “আমরা বল করব। আকাশ মেঘলা, পিচে ঘাস রয়েছে। মাটি একটু নরম রয়েছে মনে হচ্ছে। এই পরিস্থিতি কাজে লাগাতে চাই।” তাঁর মতে, ব্রিসবেনের পিচে বোলারদের জন্য একটা সুবিধা থাকার কথা ছিল। কিন্তু প্রথম দিনের বোলিং পরিসংখ্যান দেখলে এটা পরিষ্কার হয়ে যায় যে ভারতীয় পেস বোলাররা সে সুবিধা পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারেনি। যশপ্রীত বুমরাহ এবং মহম্মদ সিরাজ নতুন বল দিয়ে শুরু করেছিলেন। বুমরাহ কিছুটা চেষ্টা করলেও সিরাজের পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। ৪ ওভারে ১৩ রান দিয়ে সিরাজ কিছুটা চাপ সৃষ্টি করতে পারলেন না, আর বুমরা কিছুটা লম্বা লেংথে বল করে চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিলেন।
নাইট শিবিরে যোগ দিতেই কি চাকরি খোয়াতে হল !
এখানে একটি বড় প্রশ্ন উঠেছে, তা হল ব্রিসবেনের মত পিচে বোলিং করার জন্য কি আদৌ সিরাজ বা বুমরাহ যথাযথ প্রস্তুতি নিয়েছিলেন? ব্রিসবেনের পিচে সাধারণত বাউন্স বেশি থাকে, যা একটি পেস বোলারের জন্য বড় সুযোগ বলে মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু ভারতীয় বোলাররা সেই সুবিধা নিজেদের পকেটে ভরতে ব্যর্থ হন। এই ভুলে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে, যেমন সুনীল গাওস্কর ও হরভজন সিং তাঁরা বারবার বলছিলেন যে, বুমরাহ ও সিরাজকে ফুল লেংথে বল করতে হবে। কিন্তু ভারতীয় বোলাররা তাঁদের পারফরম্যান্সে যে ভুল করেছেন, তা স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছিল। তবে ব্রিসবেনের এই পিচে আকাশ দীপের প্রভাব ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আকাশ ৩.২ ওভারের মধ্যে দু’টি মেডেন ওভার দেন এবং মাত্র ২ রান দেন, যা তার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের প্রমাণ।
মরশুম শেষে দলের অবস্থান কোথায় হবে ফাঁস মোহনত্যাগী হাবাসের
তবে, পুরো ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণের জন্য এখন অনেক কিছু বাকি। দ্বিতীয় দিনটা বৃষ্টির কারণে ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে, কিন্তু তবুও ভারতীয় বোলারদের জন্য এটি একটি শিক্ষা হতে পারে। বিশেষ করে, বুমরাহ এবং সিরাজদের জন্য এই ধরনের উইকেটে বোলিংয়ের কৌশল নিয়ে আরও সচেতন হতে হবে। যদি তারা এই ভুলগুলো শুধরাতে পারে এবং বোলিংয়ের পদ্ধতি নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে, তবে ভারত অবশ্যই খেলা জেতার সুযোগ পাবে।
কেরালা ম্যাচের আগে ফুটবলারদের ধমক মোলিনার!
যেহেতু সারা দিনটা বৃষ্টিতে কাটল, সেই হিসেবে যদি একদিনের খেলা ওভার সংখ্যা কমে যায়, তবে বোলারদের জন্য আরও চ্যালেঞ্জ বাড়বে। ক্রিকেটে কখনও কিছুই নিশ্চিত নয়, তাই পরবর্তী সেশনগুলোতে কী হতে পারে তা নিয়ে আরও সতর্ক এবং প্রস্তুত থাকতে হবে ভারতীয় দলকে।