ট্রফিহীন চ্যাম্পিয়ন ভারত! ভারতীয় সেনাকে সম্মান জানাতে বিরাট সিদ্ধান্ত সূর্যের

এক নজিরবিহীন ঘটনা। মাঠে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে এশিয়া কাপ জিতেও ট্রফি (Asia Cup 2025) হাতে পেল না ভারতীয় ক্রিকেট দল (India)। অভিযোগ, ট্রফি ও বিজয়ী…

India wins Asia Cup 2025 title but Suryakumar Yadav refuses trophy slams ACC politics Sparks Controversy

এক নজিরবিহীন ঘটনা। মাঠে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে এশিয়া কাপ জিতেও ট্রফি (Asia Cup 2025) হাতে পেল না ভারতীয় ক্রিকেট দল (India)। অভিযোগ, ট্রফি ও বিজয়ী দলের (India Cricket News) মেডেল নিয়ে হোটেলের ঘরে চলে যান এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (ACC) বর্তমান চেয়ারম্যান ও পাক ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান মহসিন নকভি (Mohsin Naqvi)। এবিষয়ে বিস্ময় আর ক্ষোভে ফেটে পড়েছে ভারতীয় দল। অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব বলেন, “ক্রিকেট জীবনে কখনও এমন কিছু দেখিনি।” (Bengali Sports News)

Advertisements

সূর্য জানিয়ে দেন, ভারত কোনও ভাবেই নকভির হাত থেকে ট্রফি নেবে না। সেই অবস্থানেই অনড় থেকেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। সূর্য স্পষ্ট করে দেন, দেশের একজন মন্ত্রীর হাত থেকে ট্রফি নেওয়া সম্ভব নয় যখন দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক এতটাই উত্তপ্ত। ফলে মাঠে জিতে গিয়েও, হাতে ট্রফি না পাওয়ার এক অভূতপূর্ব ঘটনায় সাক্ষী থাকল ক্রিকেটবিশ্ব।

   

আরও পড়ুন : এশিয়া কাপের আগে নকভির সঙ্গে করমর্দনের ভিডিও দিয়ে বিতর্ক উস্কাল শিবসেনা

 

খেলা শেষ হওয়ার প্রায় ৭৫ মিনিট পর পুরস্কার বিতরণী শুরু হলেও দেখা যায়। ভারতীয় দলের হাতে নেই বিজয়ীর ট্রফি। সূর্য-জসপ্রীতের দল ট্রফির কল্পনা করেই উদযাপন করেন। একই ভঙ্গিতে যেভাবে ২০২৪-র টি২০ বিশ্বকাপ ট্রফি তুলেছিলেন রোহিত শর্মা। পরবর্তীতে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই মুহূর্তের ছবি ফটোশপ করে পোস্ট করে তিলক বর্মা, অভিষেক শর্মারা কটাক্ষ করেন এসিসিকে।

Suryakumar Yadav gives befitting reply to Pak minister over Asia Cup trophy act

ভারতীয় বোর্ডের দাবি, সূর্যদের ট্রফি নিতে অনিচ্ছার সুযোগ নিয়ে এসিসি সভাপতি ট্রফি ও মেডেলসহ অনুষ্ঠান ছেড়ে চলে যান। বিসিসিআই সচিব দেবজিৎ শাইকিয়া বলেন, “নীতিগত কারণেই আমরা এমন একজন ব্যক্তির হাত থেকে ট্রফি নিতে পারি না, যিনি পাকিস্তানের বর্তমান মন্ত্রী। তবে তার মানে এই নয়, তিনি ট্রফি নিয়ে পালিয়ে যাবেন। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অপেশাদার আচরণ।”

বিসিসিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, নভেম্বর মাসে দুবাইয়ে আইসিসির বৈঠকে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাবে ভারত। এসিসি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ তোলা হবে আন্তর্জাতিক মঞ্চে।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে নাটকের পর নাটক চলতে থাকে। ব্যক্তিগত পুরস্কার বিতরণের পর পাকিস্তান দলের রানার-আপ মেডেল গ্রহণের সময়ও বিতর্ক তৈরি হয়। সঞ্চালক সাইমন ডুল বলেন, মেডেল দেবেন নকভি। কিন্তু পরে দেখা যায়, এসিসির অন্য কর্তা আমিরুল ইসলাম মেডেল বিতরণ করছেন। চূড়ান্ত উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তান অধিনায়ক সলমন আলি আঘা পুরস্কারের চেক মঞ্চেই ছুঁড়ে ফেলে দেন।

এই ঘটনাকে ঘিরে বিস্তর সমালোচনা শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। অন্যদিকে সেনাবাহিনীকে সম্মান জানিয়ে নিজের পুরো ম্যাচ ফি দান করার কথা ঘোষণা করে আলোচনায় এসেছেন ভারত অধিনায়ক সূর্য। তিনি বলেন, “আমি সব ম্যাচের ফি ভারতীয় সেনাকে উৎসর্গ করছি। এটাই আমার তরফে তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা।”

এখানেই শেষ নয়। ভারত-পাক ম্যাচে জাতীয় সংগীতের সময় পাকিস্তানের দুই ক্রিকেটার হ্যারিস রউফ ও শাহিন শাহ আফ্রিদির হাসাহাসি এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন ‘প্লেন ক্র্যাশ’ সেলিব্রেশন নিয়েও বিতর্কের ঝড় ওঠে। ভারতীয় সমর্থকরা এই ঘটনাকে দেশের অসম্মান বলেই ব্যাখ্যা করেন।