ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের ৭ উইকেটের বিশাল জয়

India vs England 1st T20I: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টি২০আই ম্যাচে ভারত ৭ উইকেটে জয়লাভ করেছে। এদিনের ম্যাচটি ছিল উত্তেজনাপূর্ণ এবং ভারতীয় দলের পারফরম্যান্স ছিল দারুণ।…

India Dominates England by 7 Wickets in Thrilling 1st T20I Victory

India vs England 1st T20I: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টি২০আই ম্যাচে ভারত ৭ উইকেটে জয়লাভ করেছে। এদিনের ম্যাচটি ছিল উত্তেজনাপূর্ণ এবং ভারতীয় দলের পারফরম্যান্স ছিল দারুণ। বিশেষ করে অভিষেক শর্মার দুর্দান্ত অর্ধশতক ভারতের জয়ের পথে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ভারতের লক্ষ্য ছিল ১৩৩ রান, যা তারা ৪৩ বল বাকি থাকতেই সফলভাবে অতিক্রম করেছে। অভিষেক শর্মা তার বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে ২০ বলের মধ্যে অর্ধশতক পূর্ণ করেন এবং তার ঝলকানো ইনিংস ভারতকে সহজ জয় এনে দেয়।

ম্যাচের শুরুতে ভারতের পরিস্থিতি ছিল কিছুটা নাজুক। শুরুতেই সঞ্জু স্যামসন এবং সূর্যকুমার যাদব দ্রুত আউট হয়ে যান। সঞ্জু স্যামসন ২২ রান করেছিলেন এবং সূর্যকুমার যাদব কোনো রান না করেই ফিরে যান। কিন্তু এরপর অভিষেক শর্মার দাপটই ম্যাচের চিত্র পাল্টে দেয়। তিনি একে একে ইংল্যান্ডের বোলারদের উপর চড়াও হন এবং ভারতের রান তোলার পথ মসৃণ করেন। ইংল্যান্ডের একমাত্র সফল বোলার জোফরা আর্চার, যিনি স্যামসন ও সূর্যকুমারকে আউট করেন, কিন্তু তার বাকি বোলাররা ভারতের জন্য কোনো বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেননি।

   

ইংল্যান্ডের ইনিংস শুরু হয়েছিল কিছুটা স্বপ্নময়, কিন্তু ভারতের বোলিং ছিল দুর্দান্ত। ইংল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৩২ রানে অলআউট হয়ে যায়। জস বাটলার একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন এবং ৬৮ রান করেন। কিন্তু বাকি সবাই একে একে ফিরে যান এবং ইংল্যান্ডের রান যেন কোনোভাবেই জমে না। ভারতের বোলাররা, বিশেষ করে অক্ষর প্যাটেল, রবি বিশনোই এবং ভারুণ চক্রবর্তী, দুর্দান্ত স্পিন বোলিং করে ইংল্যান্ডের ব্যাটিংকে অস্বস্তিতে ফেলে দেন। ভারুণ চক্রবর্তী ছিলেন দিনের সেরা বোলার, ৩/২৩ সংগ্রহ করে তিনি ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি ভারতীয় দলের হাতে এনে দেন। এছাড়া, আর্শদীপ সিং ২/১৭ নিয়েছেন এবং ভারতের জয় নিশ্চিত করেছে।

এদিন ম্যাচে মোহাম্মদ শামি ছিলেন একেবারে বাইরে, ভারতের একাদশে তার কোনো স্থান ছিল না, যা ছিল বড় একটি চমক। ভারতীয় অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন। পরে, ভারতীয় দল আশা করে যে শামি মাঠে নামবেন, কিন্তু তিনি অবশেষে খেলেন না। ভারতীয় দলে যেহেতু নতুন মুখ ছিলেন না, সুতরাং দলের মধ্যে একসাথে চলা ভালো ফুটবল একত্রিত হতে সময় লাগেনি।

অক্ষর প্যাটেল এবং রবি বিশনোই দারুণ স্পিন বোলিং করে ইংল্যান্ডকে চাপে ফেলেছিলেন এবং দলের বোলিংয়ে ভারুন চক্রবর্তী সত্যিই ম্যাচের ফোকাস। ব্যাটিংয়ের দিক থেকে অভিষেক শর্মার ব্যাটিং ছিল অসাধারণ। সঞ্জু স্যামসনের আউট হওয়ার পর, তিনি মাঠে নেমে একের পর এক বাউন্ডারি মারতে থাকেন এবং ইংল্যান্ডের বোলারদের একেবারে শাসন করেন। তার খেলা এতটাই ঝলমলে ছিল যে, তিনি ২০ বলের মধ্যে অর্ধশতক পূর্ণ করে ইংল্যান্ডের বোলিং আক্রমণকে মিথ্যা প্রমাণ করেন।

ভারত ১ম টি২০আই ম্যাচটি জয়লাভ করায় দলের জন্য এটি একটি বড় আত্মবিশ্বাসের জয়। তাদের বোলিং ছিল চোখে পড়ার মতো এবং ব্যাটিংও যথেষ্ট শক্তিশালী ছিল। অভিষেক শর্মার এই ইনিংসটি ছিল নিশ্চিতভাবে নজরকাড়া এবং ভারতীয় ক্রিকেটে এই মুহূর্তটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এই ম্যাচে ভারতের ডমিন্যান্স নিশ্চিতভাবে সামনে আসল।

ইংল্যান্ডের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ, বিশেষত তাদের ব্যাটিং বিভাগে। জস বাটলার ছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যানই ভালো কিছু করতে পারেননি। তাদের বোলিং আক্রমণও ভারতের সামনে খুব একটা প্রতিরোধ গড়তে পারেনি। ভারতীয় দলের জন্য এটি একটি উজ্জ্বল মুহূর্ত, বিশেষত তাদের স্পিন বিভাগ এবং অভিষেক শর্মার ইনিংসকে দেখে তারা নিশ্চিতভাবেই আগের থেকে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবে।

ভারত এখন সিরিজের পরবর্তী ম্যাচগুলোতে আরও শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বিতার দিকে নজর দেবে, তবে এই ম্যাচটি দলটির জন্য একটি আদর্শ সূচনা।