মঙ্গলবার, দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) নেতৃত্বে ভারত (India) এবং স্টিভ স্মিথের (Steve Smith) নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়া (Australia) একে অপরের মুখোমুখি হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ (Champions Trophy 2025) প্রথম সেমিফাইনালে (Semi Final)। এই ম্যাচটি শুধুমাত্র টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং এটি ভারতের জন্য ২০২৩ বিশ্বকাপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হারার প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগও হতে পারে।
গ্রুপ পর্বে ভারত নজরকাড়া পারফরম্যান্স প্রদর্শন করেছে। তারা তাদের তিনটি ম্যাচই জিতেছে এবং শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৪৪ রানে পরাজিত করেছে। অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়াও বেশ শক্তিশালী দল হিসেবে পরিচিত। তারা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ জন্য প্রস্তুত এবং তাদের স্কোয়াডে বহু অভিজ্ঞ খেলোয়াড় রয়েছে, যেমন স্টিভ স্মিথ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এবং অ্যাডাম জাম্পা।
ভারতীয় দলের সম্ভাব্য একাদশ:
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুভমান গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, কেএল রাহুল (উইকেটকিপার), হার্দিক পান্ডিয়া, অক্ষর প্যাটেল, রবীন্দ্র জাদেজা, হর্ষিত রানা, অর্শদীপ সিং, বরুণ চক্রবর্ত্তী।
ভারতীয় দলের ব্যাটিং লাইনে রয়েছেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি এবং কেএল রাহুলের মতো অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানরা, যারা ম্যাচের গতিপথ বদলে দিতে সক্ষম। পাশাপাশি, হার্দিক পান্ডিয়া এবং রবীন্দ্র জাদেজার অলরাউন্ডার ভূমিকা ভারতের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ার সম্ভাব্য একাদশ:
ট্র্যাভিস হেড, কুপার কনোলি, স্টিভ স্মিথ, মার্নাস লাবুশেন, জশ ইংলিস, অ্যালেক্স ক্যারি, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, স্পেন্সার জনসন, বেন ডোয়ারশুইস, নাথান এলিস, অ্যাডাম জাম্পা।
অস্ট্রেলিয়া দলের শক্তি তাদের মিডল অর্ডার এবং স্পিনারদের উপর নির্ভরশীল। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এবং অ্যাডাম জাম্পা দুইজনই ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। বিশেষ করে দুবাইয়ের পিচে স্পিনারদের সুবিধা হতে পারে, যা অস্ট্রেলিয়ার জন্য একটি বড় সুবিধা।
হেড-টু-হেড পরিসংখ্যান:
ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া এখন পর্যন্ত একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫১ ম্যাচ খেলেছে, যার মধ্যে অস্ট্রেলিয়া ৮৪ এবং ভারত ৫৭ ম্যাচ জিতেছে। বাকি ১০ ম্যাচ অমীমাংসিত হয়েছে। এই পরিসংখ্যানই প্রমাণ করে, ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে এক জমজমাট যুদ্ধ হতে চলেছে।
পিচ রিপোর্ট:
দুবাইয়ের পিচ সাধারণত ব্যাটসম্যানদের জন্য খুব বেশি সহায়ক নয়। বল ধীরে আসে এবং স্পিনারদের জন্য সহায়ক হতে পারে। তাই, দুটি দলের জন্যই তাদের স্পিন আক্রমণ খুব গুরুত্বপূর্ণ হবে। অস্ট্রেলিয়া ও ভারত, দুই দলই যদি স্পিনের উপরে ভরসা রাখে, তবে ম্যাচটি আরও উত্তেজনাপূর্ণ হতে পারে। এই ম্যাচটি শুধু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল হিসেবে নয়, বরং দুই দলের জন্য মিনি বিশ্বকাপের জয়ের আকাঙ্ক্ষার এক নতুন অধ্যায় হতে পারে।