নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আজ এএফসি এশিয়ান কাপের (AFC Asian Cup) যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচ খেলতে নেমেছে ভারত। যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হচ্ছে শক্তিশালী সিঙ্গাপুর ফুটবল দলের বিপক্ষে। নিজেদের দেশের মাঠে ম্যাচ থাকায় প্রতিপক্ষ দল যে অনেকটাই শক্তিশালী হয়ে উঠবে সেই ইঙ্গিত আগেই পেয়েছিল সকলে। ম্যাচের আগে সাংবাদিক বৈঠকে ও সে কথা জানিয়েছিলেন জাতীয় দলের ফুটবলার সহ কোচ খালিদ জামিল। তাই সবদিক মাথায় রেখেই নিজেদের একাদশ সাজিয়েছিলেন এই নয়া দায়িত্বপ্রাপ্ত কোচ। যেখানে রক্ষণভাগে স্থান পেয়েছেন সন্দেশ ঝিঙ্গান থেকে শুরু করে আনোয়ার আলির মতো ফুটবলাররা।
পাশাপাশি ফরোয়ার্ডে ঝড় তোলার জন্য সুনীল ছেত্রীর পাশাপাশি লিস্টন কোলাসোর মতো ফুটবলারদের উপর ভরসা রাখেন কোচ। কিন্তু এদিন প্রথম থেকেই যথেষ্ট আক্রমণাত্মক মেজাজে দেখা যায় গ্যাভিন লিয়ের ছেলেদের। তাঁদের আক্রমণ রোধ করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছিল ব্লু-টাইগার্সদের। তবে মাঝে মধ্যেই সুযোগ বুঝে প্রতি আক্রমণে উঠে আসতে ছাড়েনি ভারতীয় ফুটবলাররা। দ্বিতীয় কোয়ার্টারের মাঝামাঝি সময় সেরকম এক ভাসানো বল থেকেই গোলের সুযোগ চলে এসেছিল ম্যাকার্টন লুইস নিক্সনের পাশাপাশি ফারুক চৌধুরীদের কাছে।
কিন্তু গোলের মুখ খোলা সম্ভব হয়নি। তারপর সুযোগ বুঝেই বারংবার ভারতীয় রক্ষণে হানা দিতে দেখা গিয়েছিল হারহিস স্টুয়ার্ট থেকে শুরু করে গ্লেন কোয়েহের মতো ফুটবলারদের। তবে যথেষ্ট দক্ষতার সাথে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছিলেন ভারতীয় ফুটবল দলের গোলরক্ষক গুরপ্রীত সিং সান্ধু। প্রথমার্ধের নির্ধারিত ৪৫ মিনিট পর্যন্ত বজায় ছিল অমীমাংসিত ফলাফল। তারপর ম্যাচ রেফারি তরফে অতিরিক্ত ১ মিনিট সময় সংযুক্ত করা হয়। সেখানেই ঘটে যায় বিপত্তি। প্রথমার্ধের গোটা সময় জুড়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চললেও এক মুহূর্তের অসাবধানতা বদলে দেয় ম্যাচের পরিস্থিতি।
৪৬ মিনিটের মধ্যেই সতীর্থ ফুটবলারের মাঝ মাঠ থেকে ভাসানো বল রিসিভ করে আচমকা ভারতের রক্ষণে ঢুকে পড়েন ইখসান ফান্দি। সন্দেশ ঝিঙ্গান থেকে শুরু মহম্মদ উভাসের মতো ফুটবলার। কিন্তু তাঁকে আটকানো সম্ভব হয়নি। যারফলে প্রথমার্ধের শেষে একটি গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থাকল সিঙ্গাপুর।