ছত্রিশের অলিম্পিকের আসর বসাতে প্রস্তুত ভারত: ক্রীড়ামন্ত্রী

ভারত ২০৩৬ সালের অলিম্পিক গেমস (2036 Olympics) আয়োজনের জন্য ইতিমধ্যেই আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থা আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সংস্থাকে সরকারিভাবে চিঠি পাঠিয়েছে অলিম্পিক আয়োজনের জন্য।…

ভারত ২০৩৬ সালের অলিম্পিক গেমস (2036 Olympics) আয়োজনের জন্য ইতিমধ্যেই আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থা আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সংস্থাকে সরকারিভাবে চিঠি পাঠিয়েছে অলিম্পিক আয়োজনের জন্য। এর পরেই সংসদে প্রশ্ন উঠেছে যদি ভারত অলিম্পিক আয়োজনের বরাত পায়, তবে দেশের প্রস্তুতি কেমন? এই প্রশ্নই এবার অভিনেতা তথা ঘাটালের সাংসদ দেব (MP Dev) কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যর (Mansukh Mandaviya) কাছে তুলেছেন।

দেব তার প্রশ্নে জানতে চান, যদি ভারত ২০৩৬ অলিম্পিক আয়োজনের সুযোগ পায়, তাহলে সরকার কী কী পদক্ষেপ নেবে এবং তাদের পরিকল্পনা কী? তিনি আরও জানতে চান, এই আয়োজনের জন্য সরকার পরিকাঠামোগত দিক থেকে কতটা প্রস্তুত? এছাড়া আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে কোনও পরিকল্পনা করা হবে কি না।

   

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য দেবের প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিয়ে সরকারের বিভিন্ন ক্রীড়া উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, “ক্রীড়া প্রশিক্ষণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। প্রতিটি রাজ্য সরকারের ক্রীড়া পরিকাঠামো উন্নয়ন করা তাদের প্রাথমিক দায়িত্ব।”

তিনি আরও বলেন, “রাজ্য সরকারকে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক খেলো ইন্ডিয়া প্রকল্পের মাধ্যমে সাহায্য করছে। এই প্রকল্পের আওতায় রাজ্যগুলোর স্পোর্টস কমপ্লেক্স উন্নয়ন, সিন্থেটিক ট্র্যাক, সিন্থেটিক হকি ফিল্ড, ফুটবল মাঠ এবং সুইমিং পুল নির্মাণের জন্য সহায়তা করা হচ্ছে।”

এছাড়াও মন্ত্রী ‘খেলো ইন্ডিয়া’র ওয়েবসাইটের কথা উল্লেখ করেন। দেশের খেলোয়াড়রা তাদের প্রশিক্ষণ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে পারেন। তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণের জন্য বিভিন্ন সেন্টারে অ্যাথলিটদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

ক্রীড়ামন্ত্রী মাণ্ডব্য আরও বলেন, “আগামী ১২ বছর সাইয়ের বিভিন্ন সেন্টারে প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের উন্নতি ঘটানো হবে। এর পাশাপাশি ন্যাশনাল সেন্টার অফ এক্সেলেন্স, এক্সটেনশন সেন্টার ফর এসটিসি, ন্যাশনাল স্পোর্টস ট্যালেন্ট কন্টেস্টের মতো সেন্টারগুলোতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। বর্তমানে ১৮৭টি সাই সেন্টারে ৩৪টি ডিসিপ্লিনে ৯,৫৫৫ জন ক্রীড়াবিদ প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।”

মন্ত্রী আরও জানান, সাইয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন ডিসিপ্লিনে প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের কোচিং, কিটস ও উন্নত পরিকাঠামো প্রদান করা হচ্ছে। এটি তাদের ভবিষ্যতে বড় টুর্নামেন্টগুলোতে সফলতা অর্জনের জন্য প্রস্তুত করবে।

এছাড়া মন্ত্রী বলেন, “এই উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা আগামী দিনে ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের আন্তর্জাতিক স্তরে ভালো পারফর্মেন্স দেখাতে সক্ষম হব।” ২০৩৬ সালের অলিম্পিক গেমস আয়োজনের জন্য এই ধরনের পরিকাঠামোগত এবং প্রশিক্ষণমূলক প্রস্তুতি ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের আন্তর্জাতিক মঞ্চে আরও সফলতা এনে দেবে, এমন আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।

এরপর তিনি সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা তুলে ধরে জানান যে, দেশের ক্রীড়া পরিকাঠামো উন্নয়নে এই প্রক্রিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।