ভারতের দুর্দান্ত ফর্ম এবং সঞ্জু স্যামসনের (Sanju Samson) বিস্ফোরক ব্যাটিং দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) বিরুদ্ধে প্রথম টি টোয়েন্টিতে (T20) টিম ইন্ডিয়ার (Indian Cricket Team) জয় সহজ করে দিয়েছে। তবে, গকেবেরহার স্ট জর্জ পার্কে দক্ষিণ আফ্রিকার রেকর্ড ভালো, যেখানে তারা টি-২০ ক্রিকেটে বেশিরভাগ সময়ই জয়ী। সেখানেই কয়েক মুহূর্তের পর ভারতের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে প্রোটিয়ারা (India vs South Africa)।
স্বাধীনতার স্বাদ, পরাধীনতার শেকল ছিঁড়ে আজই আজাহারদের বিরুদ্ধে মাঠে নামে প্রোটিয়ারা
দক্ষিণ আফ্রিকা ২০০৭ সালেরটি-২০ বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে গেলেও, পরবর্তীতে এখানে তাদের জয় খুবই নিয়মিত। ২০১২ সালে নিউজিল্যান্ড, ২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়া এবং ২০২৩ সালে ভারতের বিরুদ্ধে তারা গকেবেরহার স্ট জর্জ পার্কে জিতেছে। এবার তাদের বিরুদ্ধে ভারতের লক্ষ্য হবে তাদের রেকর্ড ভেঙে জয় পাওয়া।
ঘরের মাঠে পাকিস্তানের কাছে ওয়ানডে সিরিজে পরাজয় অস্ট্রেলিয়ার
ভারতের ওপেনার সঞ্জু স্যামসন এই মুহূর্তে দারুণ ফর্মে আছেন, এবং তার বিধ্বংসী ব্যাটিং তাদের জয় নিশ্চিত করেছে। এবারের সিরিজে স্যামসনের পারফরম্যন্স ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য বড় ইতিবাচক সংকেত। ২০২৪ সালের টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দল দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলতে এসেছে এবং গত কয়েক মাসে তারা যে রকম ফর্মে আছে, তাতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে চ্যালেঞ্জ জানানো তাদের জন্য কঠিন হবে না।
KKR : মেগা নিলামে কেকেআরের লক্ষ্যে ৫ ক্রিকেটারের তালিকায় দুটি বড় নাম কারা?
ভারত এই বছর ২৩টি T20I ম্যাচ খেলেছে এবং তাদের মধ্যে ২২টি ম্যাচ জিতেছে। তাদের খেলার ধরনে বড় পরিবর্তন এসেছে, যেখানে তারা আগের দিনের তুলনায় অনেক বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে। ভারত তাদের শেষ তিনটি ম্যাচে ২০০ রান ছাড়িয়েছে, এর মধ্যে সবচেয়ে বড় রান ছিল ২৯৭/৬, যা একটি রেকর্ড।
ভারতের পেসার আর্শদীপ সিংয়ের আগুনে বোলিংও তাদের জয়ের অন্যতম কারণ। ২০২৩ সালে ২১ ম্যাচে ৩৩টি উইকেট নিয়ে তিনি ভারতের পক্ষে সবচেয়ে সফল বোলার। তাঁর প্রথম পাওয়ারপ্লে উইকেটগুলি ভারতকে ম্যাচে চাপে রাখতে সহায়তা করেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকা এই সিরিজে কাগিসো রাবাডা এবং কুইন্টন ডি ককের অভাবে কিছুটা দুর্বল। তাদের জন্য ভারতীয় ব্যাটিং অর্ডার নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হতে পারে, বিশেষত যখন স্যামসন, বিরাট কোহলি এবং শুবমান গিলের মতো ব্যাটাররা ছন্দে আছেন।
এখন দেখার বিষয় হবে, গকেবেরহার স্ট জর্জ পার্কে দক্ষিণ আফ্রিকা কি তাদের পুরোনো রেকর্ড বজায় রাখতে পারে, নাকি ভারত তাদের ধারাবাহিক জয় দিয়ে আবারও ইতিহাস গড়বে।