ইরানের অভিজ্ঞতার কাছে হেরে সাহসী লড়াই বার্তা ভারতের, রইল শেষ ৪ সুযোগ
২০২৫ কাফা নেশনস কাপে (CAFA Nations Cup) নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী দল ইরান (Iran) মুখোমুখি হয়েছে ভারতীয় ফুটবল দল (India Football Team)। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে যেখানে ইরান ২০ নম্বরে, সেখানে ভারত ১৩৩ নম্বরে। শক্তির পার্থক্য বিশাল হলেও, মাঠে তার কোনও প্রভাবই দেখা গেল না। হিসোর সেন্ট্রাল স্টেডিয়ামে গোলশূন্য শেষ হয়েছে প্রথমার্ধ। দুর্দান্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে খালিদ জামিলের (Khalid Jamil) ছেলেরা।
তাজিকিস্তানের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয়ের পর ভারতীয় শিবিরে ছিল আত্মবিশ্বাসের জোয়ার। সেই আত্মবিশ্বাসই দেখা গেল ইরানের বিরুদ্ধে প্রথম ৪৫ মিনিটে। ভারতের রক্ষণভাগে সন্দেশ ঝিঙ্গান, অনোয়ার আলি, রাহুল ভেকে দারুণভাবে সামলেছেন ইরানের আক্রমণ। আর গোলকিপার গুরপ্রীত সিং সন্দু যেন এক অবিনাশী প্রাচীর।
কলকাতায় পা রাখলেন বাগানের নয়া ব্রাজিলিয়ান ‘গোলমেশিন’ রবসন
খেলার শুরু থেকেই ইরান আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে নামে। ৫ মিনিটেই দূরপাল্লার এক শট গুরপ্রীত সেভ করে দেন। এরপর একের পর এক কর্নার, সেট-পিস এবং দূরপাল্লার শটে ভারতীয় রক্ষণকে চাপে ফেলার চেষ্টা করেছে ইরান। ওমিদ, চেশমি, নাদেরি, রাহিমাবাদিরা একাধিক সুযোগ তৈরি করলেও, ভারতের জমাট রক্ষণভাগ সেই সব আক্রমণ ব্যর্থ করে দেয়।
২২ মিনিটে মেহেদি দুর্দান্ত এক ড্রাইভে দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে শট নেন, কিন্তু আবারও গুরপ্রীতের তালুবন্দি হয়ে আটকে যায় সেই বল। ৩৬ মিনিটে গোলের একদম সামনে থেকে নেওয়া আরেকটি শট দারুণ দক্ষতায় রুখে দেন ভারতের গোলকিপার।
এদিন ভারতের মূল পরিকল্পনা ছিল রক্ষণে জমাট থেকে ইরানের আক্রমণ ভেস্তে দেওয়া। একমাত্র ফরোয়ার্ড হিসেবে ইরফান ইয়াদওয়াদ মাঠে থাকলেও, বেশিরভাগ সময়েই ভারত আট থেকে নয় জন খেলোয়াড় নিয়ে রক্ষণ সামলেছে। মাঝেমধ্যে বিক্রম প্রতাপ সিং ও আশিক কুরুনিয়ান স্পিড ব্যবহার করে কাউন্টার অ্যাটাকে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন, যদিও গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেননি।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে ইরান আরও বেশি চাপ তৈরি করলেও ঝিঙ্গান, অনোয়ার, নিখিলরা মিলে সেই আক্রমণ সামাল দেন। ৪৫+৩ মিনিটে ইরান শেষ মুহূর্তে চেষ্টা করলেও, দুইটি ক্রস ব্লক করে দেন সন্দেশ ঝিঙ্গান ও অনোয়ার।
আত্মবিশ্বাসে ভর করে এশিয়ার দৈত্য ইরানকে চ্যালেঞ্জ জামিলের
প্রথমার্ধ শেষে ফলাফল ০-০। শক্তিশালী ইরানের বিরুদ্ধে ভারতের এমন প্রতিরোধ নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য। দ্বিতীয়ার্ধে ভারত কতক্ষণ এই প্রতিরোধ বজায় রাখতে পারে, কিংবা কি কোনও চমক দেখাতে পারে কিনা? সেদিকেই এখন নজর।