এবার অমীমাংসিত ফলাফলে সিঙ্গাপুর ম্যাচ শেষ করল ভারতীয় ফুটবল দল। আজ ভারতীয় সময় বিকেল পাঁচটায় এএফসি এশিয়ান কাপের (AFC Asian Cup ) কোয়ালিফায়ার ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ব্লু-টাইগার্স। যেখানে প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল শক্তিশালী সিঙ্গাপুর ফুটবল দল। বর্তমান ফিফা তালিকা অনুযায়ী ভারতের থেকে বেশ কিছুটা পিছিয়ে থাকতে হলেও এবারের এএফসি এশিয়ান কাপের (AFC Asian Cup ) বাছাইপর্বে যথেষ্ট সক্রিয়তা দেখিয়ে আসছে সিঙ্গাপুর। তাঁদের দেশের মাটিতে তিন পয়েন্ট ছিনিয়ে আনা যে সহজ কাজ হবে না সেটা ভালো মতোই জানতেন খালিদ জামিল। তাই সব রকম ভাবেই খেলোয়াড়দের প্রস্তুত করেছিলেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলের অমীমাংসিত ফলাফলে শেষ হল এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। প্রতিপক্ষ দলের হয়ে এদিন গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন ইখসান ফান্দি। পরবর্তীতে অর্থাৎ ম্যাচের শেষ মুহূর্তে গোল করে দেশের হার বাঁচালেন রহিম আলি। সেই সাথে ভারতীয় ফুটবল দলের জার্সিতে নিজের প্রথম গোলটি ও করে ফেললেন তিনি। কিন্তু এই ম্যাচ থেকে পুরো পয়েন্ট না আসায় যথেষ্ট হতাশা রয়েছে সকলের মধ্যে। বলাবাহুল্য, ম্যাচের প্রথম থেকেই যথেষ্ট আক্রমণাত্মক মেজাজে দেখা গিয়েছিল সিঙ্গাপুর দলের ফুটবলারদের। তাঁদের আক্রমণ রোধ করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছিল ব্লু-টাইগার্সদের।
তবে মাঝে মধ্যেই সুযোগ বুঝে প্রতি আক্রমণে উঠে আসতে ছাড়েনি ভারতীয় ফুটবলাররা। দ্বিতীয় কোয়ার্টারের মাঝামাঝি সময় সেরকম এক ভাসানো বল থেকেই গোলের সুযোগ চলে এসেছিল ম্যাকার্টন লুইস নিক্সনের পাশাপাশি ফারুক চৌধুরীদের কাছে। কিন্তু বিপক্ষের জমাট বাঁধানো রক্ষণে তা সম্ভব হচ্ছিল না কিছুতেই। প্রথমার্ধে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত পরিস্থিতির খুব একটা পরিবর্তন না ঘটলেও অতিরিক্ত সময় এক মিনিটের মধ্যেই বদলে যায় ম্যাচের ছন্দ। ভারতীয় ডিফেন্ডারদের এক মুহূর্তের অসাবধানতার সুযোগ নিয়েই গোল করে সিঙ্গাপুরকে এগিয়ে দিয়েছিলেন ফান্দি।
তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই ঘুরে দাঁড়াতে তৎপর ছিল ব্লু-টাইগার্স। সেই মতো যথেষ্ট হাইপ্রেস ফুটবল খেলতে শুরু করেছিল ভারত। সুনীল ছেত্রী থেকে শুরু করে ফারুক চৌধুরী হোক কিংবা লিস্টন কোলাসো। প্রতিপক্ষের মাঝ মাঠে ফাঁটল ধরিয়ে গোলের মুখ খোলার চেষ্টা করেছেন বারংবার। এমনকি মাঝে একবার রক্ষণভাগ থেকে বল নিয়ে প্রতিপক্ষের আক্রমণভাগে ও উঠে আসতে দেখা গিয়েছিল আনোয়ার আলিকে। যদিও শেষ পর্যন্ত বাধাপ্রাপ্ত হতে হয়েছিল তাঁকে। শেষ পর্যন্ত ৯০ মিনিটের মাথায় প্রতিপক্ষের ভুল বোঝাবুঝির সুযোগ নিয়ে আচমকা বলে নিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন রহিম আলি। সিঙ্গাপুরের গোলরক্ষক তাঁকে বাঁধা দেওয়ায় চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত তা কাজে আসেনি। কার্যত ফাঁকা বারেই গোল করে গেলেন তিন।